কি সুন্দর দুইটি টূন টুনি পাখি গাছের বড় পাতা ঠোট দিয়ে সেলাই দিয়ে সেলাই করে বাসা তৈরি করে।তাই এদর বলা হয় ‘দর্জি পাখি’।টনটুনি পাখি বিশ্বের সর্বত্র ‘দর্জি পাখি’ নামে পরিচিত।এদের ইংরেজি নাম tailor bird. আকার প্রায় ১৩ সে.মি.।টুনটুনি বাংলাদেশের গ্রাম-শহরে সবখানেই দেখা যায় । এরা বেগুন গাছে বাসা করতে বেশি পছন্দ করে।
এদের ডাক খুব তীব্র এবং অনেক দূর থেকে শোনা যায়।টুনটুনির লেজ দেখতে আকর্ষনীয়।লেজ পিঠের উপর তুলে নেচে নেচে বেড়ায় এ ডাল থেকে ও ডালে ।এদর মাথা ও পিঠের রঙ জলপাই সবুজ।বুক ও পেটের রঙ ঘোলাটে সাদা। মাথায় লালচে আভা রয়েছে। এরা বাসা বাধে বছরের ফাল্গুন মাস থেকে আশ্বিন মাসের মধ্যে।মেয়ে –পুরুষ উভয় মিলে ছোট গাছের বড় পাতা দিয়ে সেলাই করে বাসা তৈরি করে ।এতে সময় লাগে তিন থেকে পাচদিন। টুনটুনির প্রধান খাবার ফুলের মধু ও পোকামাকড়। একটু আলাদা কৌশলে খাবার সংগ্রহ করে। বাসায় ওর বাচ্চারা যে বিষ্ঠা তৈরী করে, ঠোটে করে ও তা রেখে আসে ভেজা মাটিতে, একরকমের পোকা আছে ঐ বিষ্ঠার আকর্ষনে গর্ত থেকে বেরিয়ে তা ঠেলতে ঠেলতে নিজের গর্তের দিকে নিয়ে যায়। আর এই সুযোগে মা টুনটুনি পোকাটাকে ধরে বাসায় নিয়ে যায় বাচ্চার জন্য।
Sort: Trending