জলজ্যান্ত ছেলে মানুষ হয়ে ও আজকে আমাকে
পরতে হচ্ছে শাড়ি! এই দিন ও জীবনে আসবে তা
কখনো ই ভাবিনি। শাড়ি পরে তীনাকে ফোন দিলাম,
তীনা শাড়ি পরা শেষ।
তীনা ঝারি দিয়ে বললো, ভালো করে পরছো?
মাঝপথে আবার খুলে যাবে না তো?
আমি মনের দুঃখে বললাম, কোনোরকম সারা গায়ে
প্যাঁচিয়ে নিয়েছি। আমি কী মেয়ে না কী যে
ভালো করে পরতে পারবো?
তীনা হিহিহি করে হেসে বললো, লক্ষ্মী
ছেলে। এবার লক্ষ্মী মেয়ের মতো চলে
আসো।
আমি মনে মনে তীনাকে বকে বললাম, বোরকা
পরে আসি? তাতে কমপক্ষে কেউ আমার মুখ
দেখবে না।
তীনা বললো, যা বলছি তা করবে না আমি কিছু
করবো?
আমি, না না আসছি।
বলে ফোন কেটে দিলাম। আমার গায়ে শাড়ি
code
দেখে মা বললো, ভালো ভালো এতো দিনে
তাহলে তুই মানুষ না হতে পারলে ও মেয়ে তো
হয়েছিস। দেখে ভালো লাগছে। ঐ পুতুল তোর
ভাইরে একটু লিপস্টিক লাগিয়ে দে তো।
আজকে আমার সহ্য করার দিন। মায়ের ডাক পেয়ে
ই মহারাণী লিপস্টিক নিয়ে হাজির! একটা বার কেউ
জিজ্ঞেস ও করলো না যে আমি কেনো শাড়ি
পরেছি?
পুতুল ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দিচ্ছে আর
বলছে, জোস লাগছে তোকে ভাইয়া। তোকে
মনে হয় আল্লাহ্ ভুল করে ছেলে বানিয়ে
ফেলেছে রে। এ কী? মাথায় তো চুল নেই!
রাখ আলগা চুল আনছি।
এটুকু ও বাকী রাখলো না! মাথায় আলগা চুল লাগিয়ে
দিয়ে বললো, পুরোপুরি মেয়ে লাগছে
তোকে রে। সুন্দরী জয়। না না জয় হবে না।
সুন্দরী জয়াপু আমার।
আমি ঝারি দিয়ে বললাম, হাতে চুড়ি পরার বাকী আছে
না? আপনার চুড়িগুলো ও আনেন। ওগুলো কী
অপরাধ করেছে?
যেই কথা সেই কাজ। সে চুড়িগুলো এনে
আমাকে পরিয়ে দিলো। আমি এই অবস্থায় বের
হলাম!
বিকেল বেলা।
রাস্তায় যেতে ই এক বান্ধবীর সাথে দেখা। সে
তো আমাকে দেখার সাথে সাথে ই কয়েক টা
সেলফি তুলে নিলো! রিকশাওয়ালাকে ডাকার পর সে
বললো, ভাই রূপবানের অভিনয় করবেন না কী?
আমি বললাম, ইঁদুরের অভিনয় করবো। যান তো।
রিকশাওয়ালা মুচকি মুচকি হাসছে। মন টা চাচ্ছে কচু
খাইয়ে দিতে! রিকশা থেকে নামার পর বললো, ভাই
আজকে আপনার ভাড়া নিবো না। আপনি যা
দেখাইলেন পুরা জোস।
আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বললাম, মজা নিবেন না দয়া
করে। আপনার পারিশ্রমিক আপনি নিবেন। নিন ধরুন।
রিকশাওয়ালা আমার কোনো কথা ই শুনলো না! হো
হো করে হেসে চলে গেলো! আরেকবার
পেয়ে নেই বাবা তোমাকে, রূপবানের নাচ
দেখাবো।
শ্বশুরবাড়ির সামনে যেতে ই দারোয়ান বললো,
আপনি কী আপামণীর ননদ?
আমি মুচকি হেসে বললাম, না আমি আপনার আপামণীর
আম্মু।
আরেকটু সামনে যেতে ই শালিকা হাজির! আমাকে
দেখে অজ্ঞান হয়ে যাবে এমন। সে
কোনোরকম বললো, ও আল্লাহ্ গো! ভূত
আসছে ভূত।
আমি শালিকাকে সামলিয়ে বললাম, আমি তোর দুলাভাই
ছেমড়ি।
নাহ সে আমার কথা শুনলো ই না। অজ্ঞান হয়ে ই
গেলো! মরে যাক কচু। আরেকটু সামনে
যেতে ই শ্বশুরমশাই বললো, এই দাঁড়াও দাঁড়াও। তুমি
কে?
আমি মেয়েলীকণ্ঠে বললাম, আমি আপনাদের
নতুন কাজের মেয়ে, জোৎস্না
শ্বশুরমশাই খুশি হয়ে বললো, এতো সুন্দর আর
যুবতি কাজের মেয়ের খবর যে তীনার মা
কোথায় পেলো!
আমি কোনোরকম পাশ কাটানোর জন্য বললাম,
আপনি শুনলে খুশি হবেন যে আমি অবিবাহিত।
কচুর খাইষ্ঠ্যা শ্বশুরমশাই খিলখিল করে বললো,
আচ্ছা আচ্ছা সময় হলে একটু আমার রুমে এসো
তো।
আমি, আচ্ছা।
বলে চলে গেলাম সোজা তীনার কাছে। সে
কী! তীনা দেখি আমার লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পরে
বসে আছে! আমাকে দেখেই বললো, ওয়াহ
ওয়াহ। আমার লাল টুকটুকে বৌটাকে তো সেই
লাগছে আজকে।
এই হলো তীনা। আস্ত একটা পাগলী। এই
পাগলীটাকে ই ভালোবাসে বিয়ে করেছি। এজন্য
ই আমার কপালে এতো কিছু। আমি বললাম, এবার খুশি
তো আপনি?
তীনা ঝারি দিয়ে বললো, ঐ একদম উঁচু গলায় কথা
বলবে না। নাহলে কিন্তু ঝুলায়ে দিবো।
আমি অবাক হয়ে বললাম, কী ঝুলায়ে দিবে?
তীনা একটু ভাবসাব নিয়ে বললো, চাকরীচ্যুতের
পেপার। ভুলে গিয়েছো না কী যে আমি
তোমার বস?
আমি পিচ্চিদের মতো ওয়াঁ ওয়াঁ করে কান্না করার
চেষ্টা করলাম কিন্তু তীনা আমার চোখের পানি পানি
মুছে দিয়ে বললো, লক্ষ্মী আমার একদম কাঁদে
না। একটু হাসো তো দেখি।
আমি তীনার হাত ধরে বললাম, জানো আমি
তোমাদের বাসার জামাই হয়ে ও আজ কাজের
মেয়ে হয়ে এসেছি?
আমি পুরো কথা টা বলতে পারলাম না। তার আগেই
তীনা বললো, ঐ জামাই কে শুনি? তুমি আমার বৌ। লাল
টুকটুকে বৌ। কাজের মেয়ে জোৎস্না তুমি চাঁদের
মেয়ে না। কথা দিলে কথা রাখো ফাঁকি দেও না।
অস্থির না গান টা?
তীনা এরকম সীমাবদ্ধতার বাইরে পাগলামী এমনি
এমনি করে না। কোনো মস্ত বড় ভুল করলে
পরে আমাকে এরকম শাস্তি পেতে হয়। এর
আগে বহুত কিছু হয়েছি। এবার কাজের মেয়ে
সাজতে হলো।
আমি নরমস্বরে বললাম, খুব ই সুন্দর গান। এখন তুমি
বলো আমার সাথে এরকম করার কারণ কী?
তীনা গম্ভীর হয়ে বললো, কালকে যে
তোমাকে বলেছিলাম আমাকে একটা চিঠি লিখে
দিতে তুমি ভুলে গেলে কেনো?
আমি অবাক হয়ে বললাম, এতো কাজের ভিতরে
আবার চিঠি লিখার সময় পেয়েছি না কী?
তীনা আবারো হেসে বললো, এজন্য ই তো
আমার টুকটুকে বৌটাকে আমি এতো ভালোবাসছি। বৌ
আসো আমরা দুজন এখন লুকোচুরি খেলবো।
আমি ঝারি দিয়ে বললাম, তোমার চাকুরীর গোষ্ঠী
কিলাই। আমি গেলাম। ভুলে যাইয়ো তোমার একজন
কেউ ছিলো।
তীনা আমার হাত টা ধরে বললোজলজ্যান্ত ছেলে মানুষ হয়ে ও আজকে আমাকে
পরতে হচ্ছে শাড়ি! এই দিন ও জীবনে আসবে তা
কখনো ই ভাবিনি। শাড়ি পরে তীনাকে ফোন দিলাম,
তীনা শাড়ি পরা শেষ।
তীনা ঝারি দিয়ে বললো, ভালো করে পরছো?
মাঝপথে আবার খুলে যাবে না তো?
আমি মনের দুঃখে বললাম, কোনোরকম সারা গায়ে
প্যাঁচিয়ে নিয়েছি। আমি কী মেয়ে না কী যে
ভালো করে পরতে পারবো?
তীনা হিহিহি করে হেসে বললো, লক্ষ্মী
ছেলে। এবার লক্ষ্মী মেয়ের মতো চলে
আসো।
আমি মনে মনে তীনাকে বকে বললাম, বোরকা
পরে আসি? তাতে কমপক্ষে কেউ আমার মুখ
দেখবে না।
তীনা বললো, যা বলছি তা করবে না আমি কিছু
করবো?
আমি, না না আসছি।
বলে ফোন কেটে দিলাম। আমার গায়ে শাড়ি
দেখে মা বললো, ভালো ভালো এতো দিনে
তাহলে তুই মানুষ না হতে পারলে ও মেয়ে তো
হয়েছিস। দেখে ভালো লাগছে। ঐ পুতুল তোর
ভাইরে একটু লিপস্টিক লাগিয়ে দে তো।
আজকে আমার সহ্য করার দিন। মায়ের ডাক পেয়ে
ই মহারাণী লিপস্টিক নিয়ে হাজির! একটা বার কেউ
জিজ্ঞেস ও করলো না যে আমি কেনো শাড়ি
পরেছি?
পুতুল ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দিচ্ছে আর
বলছে, জোস লাগছে তোকে ভাইয়া। তোকে
মনে হয় আল্লাহ্ ভুল করে ছেলে বানিয়ে
ফেলেছে রে। এ কী? মাথায় তো চুল নেই!
রাখ আলগা চুল আনছি।
এটুকু ও বাকী রাখলো না! মাথায় আলগা চুল লাগিয়ে
দিয়ে বললো, পুরোপুরি মেয়ে লাগছে
তোকে রে। সুন্দরী জয়। না না জয় হবে না।
সুন্দরী জয়াপু আমার।
আমি ঝারি দিয়ে বললাম, হাতে চুড়ি পরার বাকী আছে
না? আপনার চুড়িগুলো ও আনেন। ওগুলো কী
অপরাধ করেছে?
যেই কথা সেই কাজ। সে চুড়িগুলো এনে
আমাকে পরিয়ে দিলো। আমি এই অবস্থায় বের
হলাম!
বিকেল বেলা।
রাস্তায় যেতে ই এক বান্ধবীর সাথে দেখা। সে
তো আমাকে দেখার সাথে সাথে ই কয়েক টা
সেলফি তুলে নিলো! রিকশাওয়ালাকে ডাকার পর সে
বললো, ভাই রূপবানের অভিনয় করবেন না কী?
আমি বললাম, ইঁদুরের অভিনয় করবো। যান তো।
রিকশাওয়ালা মুচকি মুচকি হাসছে। মন টা চাচ্ছে কচু
খাইয়ে দিতে! রিকশা থেকে নামার পর বললো, ভাই
আজকে আপনার ভাড়া নিবো না। আপনি যা
দেখাইলেন পুরা জোস।
আমি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে বললাম, মজা নিবেন না দয়া
করে। আপনার পারিশ্রমিক আপনি নিবেন। নিন ধরুন।
রিকশাওয়ালা আমার কোনো কথা ই শুনলো না! হো
হো করে হেসে চলে গেলো! আরেকবার
পেয়ে নেই বাবা তোমাকে, রূপবানের নাচ
দেখাবো।
শ্বশুরবাড়ির সামনে যেতে ই দারোয়ান বললো,
আপনি কী আপামণীর ননদ?
আমি মুচকি হেসে বললাম, না আমি আপনার আপামণীর
আম্মু।
আরেকটু সামনে যেতে ই শালিকা হাজির! আমাকে
দেখে অজ্ঞান হয়ে যাবে এমন। সে
কোনোরকম বললো, ও আল্লাহ্ গো! ভূত
আসছে ভূত।
আমি শালিকাকে সামলিয়ে বললাম, আমি তোর দুলাভাই
ছেমড়ি।
নাহ সে আমার কথা শুনলো ই না। অজ্ঞান হয়ে ই
গেলো! মরে যাক কচু। আরেকটু সামনে
যেতে ই শ্বশুরমশাই বললো, এই দাঁড়াও দাঁড়াও। তুমি
কে?
আমি মেয়েলীকণ্ঠে বললাম, আমি আপনাদের
নতুন কাজের মেয়ে, জোৎস্না
শ্বশুরমশাই খুশি হয়ে বললো, এতো সুন্দর আর
যুবতি কাজের মেয়ের খবর যে তীনার মা
কোথায় পেলো!
আমি কোনোরকম পাশ কাটানোর জন্য বললাম,
আপনি শুনলে খুশি হবেন যে আমি অবিবাহিত।
কচুর খাইষ্ঠ্যা শ্বশুরমশাই খিলখিল করে বললো,
আচ্ছা আচ্ছা সময় হলে একটু আমার রুমে এসো
তো।
আমি, আচ্ছা।
বলে চলে গেলাম সোজা তীনার কাছে। সে
কী! তীনা দেখি আমার লুঙ্গি আর পাঞ্জাবি পরে
বসে আছে! আমাকে দেখেই বললো, ওয়াহ
ওয়াহ। আমার লাল টুকটুকে বৌটাকে তো সেই
লাগছে আজকে।
এই হলো তীনা। আস্ত একটা পাগলী। এই
পাগলীটাকে ই ভালোবাসে বিয়ে করেছি। এজন্য
ই আমার কপালে এতো কিছু। আমি বললাম, এবার খুশি
তো আপনি?
তীনা ঝারি দিয়ে বললো, ঐ একদম উঁচু গলায় কথা
বলবে না। নাহলে কিন্তু ঝুলায়ে দিবো।
আমি অবাক হয়ে বললাম, কী ঝুলায়ে দিবে?
তীনা একটু ভাবসাব নিয়ে বললো, চাকরীচ্যুতের
পেপার। ভুলে গিয়েছো না কী যে আমি
তোমার বস?
আমি পিচ্চিদের মতো ওয়াঁ ওয়াঁ করে কান্না করার
চেষ্টা করলাম কিন্তু তীনা আমার চোখের পানি পানি
মুছে দিয়ে বললো, লক্ষ্মী আমার একদম কাঁদে
না। একটু হাসো তো দেখি।
আমি তীনার হাত ধরে বললাম, জানো আমি
তোমাদের বাসার জামাই হয়ে ও আজ কাজের
মেয়ে হয়ে এসেছি?
আমি পুরো কথা টা বলতে পারলাম না। তার আগেই
তীনা বললো, ঐ জামাই কে শুনি? তুমি আমার বৌ। লাল
টুকটুকে বৌ। কাজের মেয়ে জোৎস্না তুমি চাঁদের
মেয়ে না। কথা দিলে কথা রাখো ফাঁকি দেও না।
অস্থির না গান টা?
তীনা এরকম সীমাবদ্ধতার বাইরে পাগলামী এমনি
এমনি করে না। কোনো মস্ত বড় ভুল করলে
পরে আমাকে এরকম শাস্তি পেতে হয়। এর
আগে বহুত কিছু হয়েছি। এবার কাজের মেয়ে
সাজতে হলো।
আমি নরমস্বরে বললাম, খুব ই সুন্দর গান। এখন তুমি
বলো আমার সাথে এরকম করার কারণ কী?
তীনা গম্ভীর হয়ে বললো, কালকে যে
তোমাকে বলেছিলাম আমাকে একটা চিঠি লিখে
দিতে তুমি ভুলে গেলে কেনো?
আমি অবাক হয়ে বললাম, এতো কাজের ভিতরে
আবার চিঠি লিখার সময় পেয়েছি না কী?
তীনা আবারো হেসে বললো, এজন্য ই তো
আমার টুকটুকে বৌটাকে আমি এতো ভালোবাসছি। বৌ
আসো আমরা দুজন এখন লুকোচুরি খেলবো।
আমি ঝারি দিয়ে বললাম, তোমার চাকুরীর গোষ্ঠী
কিলাই। আমি গেলাম। ভুলে যাইয়ো তোমার একজন
কেউ ছিলো।
তীনা আমার হাত টা ধরে বললো, লক্ষ্মীটি আমার।
ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। এক লাফে ছাদ
থেকে নিচে পরে যাবো। আর সুইসাইড নোটটায়
কিন্তু তোমার নাম টা কড়কড়া করে লিখেছি হুম।
আমি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। তীনা
আবারো চোখ মুখ লাল করে বললো, তোমার
কত্ত বড় সাহস। আমি থাকতে তুমি অন্য মেয়ের
সাথে ঝগড়া করো। অন্য মেয়েকে ঝারি দাও।
তোমাকে তো আজকে আমি কুচিকুচি করে
কাটবো।
আমি করুণ কণ্ঠে বললাম, আমি তো আর কাউকে
ভালোবাসিনি।
তীনা শাড়ির আঁচল টা ধরে বললো, ঐ হাবলার বাচ্চা
জানিস না তুই ঝগড়া থেকে যে ভালোবাসা হয়ে যায়?
তোর আমার কথা মনে নেই? আর আমি বেঁচে
থাকতে তোর অন্য কারো সাথে ভালোবাসা হয়ে
যাবে। নাহ নাহ তোর আজকে খবর আছে।
আমি কেঁদে কেঁদে বললাম, তুই করে বললে?
খেলবো না আর।
তীনা শাড়ির তলের গেঞ্জি টা ধরে বললো, তুই
একটা তুই। তুই তুই তুই। আর তুই খেলবি না মানে? তুই
খেলবি আর তোর বাপ ও খেলবে।
সাথে সাথে ই তীনা কী শুঁকিয়ে যেনো
আমাকে অজ্ঞান করে ফেললো! জ্ঞান ফেরার
পরে দেখি আমি ফুলের আবেশে সাজানো
বিছানায়! লাফ দিয়ে উঠে আয়নার সামনে গেলাম। এ
কী! আমার তো ঠোঁটে লিপস্টিক ছিলো!
তাহলে কপালে, ঘাড়ে, বুকে আসলো কোথা
থেকে?
ভয় পেয়ে বুকে থুঃথুঃ দিয়ে নিলাম। হঠাৎ দেখি
আয়নার ফ্রেমে আরেকজন দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি
হাসছে! আমি চিৎকারে দিয়ে ভূত ভূত বলার সাথে
সাথে ই কেউ একজন আমাকে জড়িয়ে বললো,
ভূত না সোনা, বস।
বস
লেখকঃ- সিয়াম আহমেদ জয় (গান গবেষক)
আমি অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে রইলাম। তীনা
আবারো চোখ মুখ লাল করে বললো, তোমার
কত্ত বড় সাহস। আমি থাকতে তুমি অন্য মেয়ের
সাথে ঝগড়া করো। অন্য মেয়েকে ঝারি দাও।
তোমাকে তো আজকে আমি কুচিকুচি করে
কাটবো।
আমি করুণ কণ্ঠে বললাম, আমি তো আর কাউকে
ভালোবাসিনি।
তীনা শাড়ির আঁচল টা ধরে বললো, ঐ হাবলার বাচ্চা
জানিস না তুই ঝগড়া থেকে যে ভালোবাসা হয়ে যায়?
তোর আমার কথা মনে নেই? আর আমি বেঁচে
থাকতে তোর অন্য কারো সাথে ভালোবাসা হয়ে
যাবে। নাহ নাহ তোর আজকে খবর আছে।
আমি কেঁদে কেঁদে বললাম, তুই করে বললে?
খেলবো না আর।
তীনা শাড়ির তলের গেঞ্জি টা ধরে বললো, তুই
একটা তুই। তুই তুই তুই। আর তুই খেলবি না মানে? তুই
খেলবি আর তোর বাপ ও খেলবে।
সাথে সাথে ই তীনা কী শুঁকিয়ে যেনো
আমাকে অজ্ঞান করে ফেললো! জ্ঞান ফেরার
পরে দেখি আমি ফুলের আবেশে সাজানো
বিছানায়! লাফ দিয়ে উঠে আয়নার সামনে গেলাম। এ
কী! আমার তো ঠোঁটে লিপস্টিক ছিলো!
তাহলে কপালে, ঘাড়ে, বুকে আসলো কোথা
থেকে?
ভয় পেয়ে বুকে থুঃথুঃ দিয়ে নিলাম। হঠাৎ দেখি
quoteআয়নার ফ্রেমে আরেকজন দাঁড়িয়ে মুচকি মুচকি
হাসছে! আমি চিৎকারে দিয়ে ভূত ভূত বলার সাথে
সাথে ই কেউ একজন আমাকে জড়িয়ে বললো,
ভূত না সোনা, বস।
বস
লেখকঃ- সিয়াম আহমেদ জয় (গান গবেষক)
You got a 0.97% upvote from @allaz courtesy of @abrafiq!
Congratulations! This post has been upvoted from the communal account, @minnowsupport, by abrafiq from the Minnow Support Project. It's a witness project run by aggroed, ausbitbank, teamsteem, theprophet0, someguy123, neoxian, followbtcnews, and netuoso. The goal is to help Steemit grow by supporting Minnows. Please find us at the Peace, Abundance, and Liberty Network (PALnet) Discord Channel. It's a completely public and open space to all members of the Steemit community who voluntarily choose to be there.
If you would like to delegate to the Minnow Support Project you can do so by clicking on the following links: 50SP, 100SP, 250SP, 500SP, 1000SP, 5000SP.
Be sure to leave at least 50SP undelegated on your account.