খালেদার বহর ফেরার পথে বাসে আগুন, বোমাবাজি

in #bd7 years ago

মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর মহিপাল অতিক্রমের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িসহ বহরের ৩০-৩৫টি গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

এসময় সড়কের উল্টো দিকে শান্ত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

এর পরপরই সেখানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়ে যায় এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ফিরতি পথে খালেদা জিয়ার ফেনী সার্কিট হাউজে যাত্রাবিরতি করার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম থেকে রওনা হতে দেরি হওয়ায় সেই পরিকল্পনা আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার পথে গত শনিবার মহিপালের কয়েক কিলোমিটার আগে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল একদল যুবক।

সেবারও খালেদা জিয়ার গাড়ি অতিক্রমের পরপরই বহরের পেছনের গাড়িগুলো আক্রান্ত হয়েছিল। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।
Feni-Khaleda-02.jpg

দলীয় চেয়ারপারসনের গাড়িবহর ফেনী জেলার সীমানায় ঢোকার পরপরই স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশ নেতা-কর্মী মোটর সাইকেল নিয়ে তাকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে দিচ্ছিল।
এর মধ্যেই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদার গাড়িসহ বহরের প্রথম দিকের গাড়িগুলো মহিপাল ফিলিং স্টেশন পার হয়ে যাওয়ার পরপরই বিস্ফোরণ দুটি ঘটে। এরপরই শান্ত পরিবহনের বাস দুটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

গাড়িবহরে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ফেনী জেলা বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন পাঠান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডামের গাড়ি অতিক্রম করার পর ওই বহরের আরও ১৫/২০টি পার হয়। এরপরই বাস দুটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে এবং বিকট শব্দও শুনতে পাই।”

তখন বাস দুটি থেকে ১৫/২০ গজ দূরে ছিলেন আলাউদ্দিন।

বিস্ফোরণ কীসের- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা ককটেল, না বোমা বিস্ফোরণে তা বুঝতে পারিনি।”

ফেনী সদর থানার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু বলেন, “বাসের আগুনের ঘটনা থেকে আমার দূরত্ব ছিল ১৫ গজ। বাস দুটি ঢাকামুখী ছিল।”

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে মহিপালে আগে থেকে জড়ো হয়ে ছিলেন ফেনীর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন জ্বলার পর তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি মিছিল করেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার বাসে আগুন ও বোমাবাজির জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন।
তাহের সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারি দলের লোকজন এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। আমরা যখন ম্যাডামকে মহিপালের কাছে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার গাড়িবহরকে এগিয়ে দিচ্ছিলাম তখন এটা ঘটানো হয়েছে।

“আমরা এর নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।”

এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি নির্বিঘ্নেই ওই এলাকা অতিক্রম করে যায়। বহরটি চৌদ্দগ্রাম অতিক্রমের সময় সেখানেও একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর কুমিল্লার কাছে ছিল।

বহরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমানউল্লাহ আমান, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাজিম উদ্দিন আলম, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান রয়েছেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার উদ্দেশে গত শনিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিলন খালেদা। শনিবার রাত চট্টগ্রামে কাটিয়ে পরদিন কক্সবাজার পৌঁছান তিনি। সোমবার তিনি উখিয়া গিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। মঙ্গলবার রওনা হন ঢাকার পথে।
যাওয়ার পথেও ফেনী জেলার সীমানার শুরুতে মোহাম্মদ আলী বাজারে খালেদার গাড়িবহরে হামলা হয়।

ওই ঘটনায় খালেদার বহরের এবং গণমাধ্যমের প্রায় ৩০টি গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও মঙ্গলবার বিকালে ফেনীর মহিপাল অতিক্রমের সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িসহ বহরের ৩০-৩৫টি গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

এসময় সড়কের উল্টো দিকে শান্ত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

এর পরপরই সেখানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়ে যায় এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ফিরতি পথে খালেদা জিয়ার ফেনী সার্কিট হাউজে যাত্রাবিরতি করার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম থেকে রওনা হতে দেরি হওয়ায় সেই পরিকল্পনা আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার পথে গত শনিবার মহিপালের কয়েক কিলোমিটার আগে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়েছিল একদল যুবক।

সেবারও খালেদা জিয়ার গাড়ি অতিক্রমের পরপরই বহরের পেছনের গাড়িগুলো আক্রান্ত হয়েছিল। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে।

দলীয় চেয়ারপারসনের গাড়িবহর ফেনী জেলার সীমানায় ঢোকার পরপরই স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশ নেতা-কর্মী মোটর সাইকেল নিয়ে তাকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে দিচ্ছিল।
এর মধ্যেই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে খালেদার গাড়িসহ বহরের প্রথম দিকের গাড়িগুলো মহিপাল ফিলিং স্টেশন পার হয়ে যাওয়ার পরপরই বিস্ফোরণ দুটি ঘটে। এরপরই শান্ত পরিবহনের বাস দুটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

গাড়িবহরে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ফেনী জেলা বিএনপি নেতা আলাউদ্দিন পাঠান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডামের গাড়ি অতিক্রম করার পর ওই বহরের আরও ১৫/২০টি পার হয়। এরপরই বাস দুটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে এবং বিকট শব্দও শুনতে পাই।”

তখন বাস দুটি থেকে ১৫/২০ গজ দূরে ছিলেন আলাউদ্দিন।

বিস্ফোরণ কীসের- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা ককটেল, না বোমা বিস্ফোরণে তা বুঝতে পারিনি।”

ফেনী সদর থানার ছাত্রদলের আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু বলেন, “বাসের আগুনের ঘটনা থেকে আমার দূরত্ব ছিল ১৫ গজ। বাস দুটি ঢাকামুখী ছিল।”

খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে মহিপালে আগে থেকে জড়ো হয়ে ছিলেন ফেনীর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন জ্বলার পর তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে লাঠি মিছিল করেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার বাসে আগুন ও বোমাবাজির জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন।
তাহের সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারি দলের লোকজন এই ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। আমরা যখন ম্যাডামকে মহিপালের কাছে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার গাড়িবহরকে এগিয়ে দিচ্ছিলাম তখন এটা ঘটানো হয়েছে।

“আমরা এর নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।”

এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো নেতার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে খালেদা জিয়ার গাড়ি নির্বিঘ্নেই ওই এলাকা অতিক্রম করে যায়। বহরটি চৌদ্দগ্রাম অতিক্রমের সময় সেখানেও একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর কুমিল্লার কাছে ছিল।

বহরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমানউল্লাহ আমান, হাবিব উন নবী খান সোহেল, নাজিম উদ্দিন আলম, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের জুয়েল, রাজিব আহসান, আকরামুল হাসান রয়েছেন।

কক্সবাজারের উখিয়ার উদ্দেশে গত শনিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়েছিলন খালেদা। শনিবার রাত চট্টগ্রামে কাটিয়ে পরদিন কক্সবাজার পৌঁছান তিনি। সোমবার তিনি উখিয়া গিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিয়ে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। মঙ্গলবার রওনা হন ঢাকার পথে।
যাওয়ার পথেও ফেনী জেলার সীমানার শুরুতে মোহাম্মদ আলী বাজারে খালেদার গাড়িবহরে হামলা হয়।

ওই ঘটনায় খালেদার বহরের এবং গণমাধ্যমের প্রায় ৩০টি গাড়ি ভাংচুরের শিকার হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন।

ওই হামলার জন্য বিএনপি ফেনীর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপি হামলার এই ঘটনা সাজিয়েছে।কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন।23_Khaleda+Zia_BNP_Clash_Bus+fire_Feni_311017_0004.jpg

ওই হামলার জন্য বিএনপি ফেনীর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দায়ী করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপি হামলার এই ঘটনা সাজিয়েছে।

Sort:  

Your blogg has been Beautiful

Congratulations @abrahman5! You have completed some achievement on Steemit and have been rewarded with new badge(s) :

You made your First Comment
Award for the number of comments
Award for the number of upvotes received
Award for the number of upvotes

Click on any badge to view your own Board of Honor on SteemitBoard.
For more information about SteemitBoard, click here

If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

By upvoting this notification, you can help all Steemit users. Learn how here!