হ্যামিলটন টেস্টে বাংলাদেশের সমস্যা কোথায় ছিল?
ব্যাটিংয়ে নাকি বোলিংয়ে?
অনেকেই খুব সহজেই বলে দিতে পারবেন সমস্যা ছিল ব্যাটিংয়ে। তরুন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে না আছে কোন ধারাবাহিকতা না আছে ভাল করার ইচ্ছা। ভাল করার ইচ্ছা নেই বললে ভুল হবে কেননা কেউই মাঠে গিয়ে খারাপ খেলতে চায়না। তবে তরুণরা তাদের সুযোগ গুলোকে কাজে লাগাতে ব্যার্থ হওয়ার পিছনে কোন একটি কারণ তো রয়েছেই নিশ্চয়। যাকগে সে কথা, এমন একটি ব্যাটিং পিচ এ ২৩৪ রানেই অল আউট হয়ে যাওয়া মোটেও ভাল ব্যাটিং নয়। বাংলাদেশর ব্যাটিং লাইন আপে দূর্বলতা বেশ আগে থেকেই লক্ষণীয়। কখনও ব্যার্থ হয় টপ অর্ডার, কখনও ব্যার্থ হয় মিডল অর্ডার, আবার কখনও ব্যার্থ হয় লোয়ার অর্ডার এবং মাঝে মধ্যে সবাই একই সঙ্গে ব্যার্থ। ব্যার্থতার মাঝেই যেন ডুবে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বর্তমানে ধারবাহিকভাবে খারাপ করার পিছনে অবশ্য এই ব্যাটিং ব্যার্থতাকেই দায়ী করতে হবে।
তবে হ্যামিলটন টেস্টে ও কি ব্যাটিং ব্যার্থতার জন্যই হেরেছে বাংলাদেশ?
হ্যা, ম্যাচটি হারার জন্য ব্যাটিং ব্যার্থতা ও দায়ী আছে কিন্তু সবথেকে বেশি দায়ী বাংলাদেশের পেস বোলাররা। পেস বোলিং পিচেও তারা সুবিধা করে নিতে পারলেন না। তাইতো নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে ৭১৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন। পেস বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক বিদায় নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের পেস বোলারদের ধার কমতে শুরো করেছে। ধীরে ধীরে তাদের প্রতিভা শূণ্যের কোটায় নেমে আসতে শুরু করেছে। এর জন্য অবশ্য বর্তমান পেস বোলিং কোচ কোল্টর্ণি ওয়ালস কে ই দায়ী করা উচিত। কেননা তিনি আসার পরে পেস বোলারদের কোন উন্নতি দেখা যায়নি বরং আরও অবণতি হয়েছে। তাইতো তিনি বারবার সংবাদমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। এবার তার ভিন্নতা দেখা যায়নি। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
হ্যা, বোলিংয়ে আমরা পুরোপুরি ব্যার্থ। বিশেষ করে পেসার রা। এর জন্য আমি বলব তাদের অনভিজ্ঞতা দায়ী। তাদের মধ্যে যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে, তারা অত্যন্ত ভাল মানের বোলার। শুধুমাত্র তারা অভিজ্ঞতার অভাবে ভাল করতে পারেনি। তারা দিনের শুরুতে নতুন বলে যথেষ্ট ভাল বল করেছে কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে সেখানে ধারাবাহিক হতে পারেনি। এর জন্যই তারা কিউই ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন নি।
তিনি আরও বলেন, হ্যামিলটন ব্যার্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ওয়েলিংটন এ ভাল করব।
আগামী ৮ মার্চ থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি। নিউজিল্যান্ডের বৈরী পরিবেশে প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা বাজেভাবে ব্যার্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ কিছু করে দেখিয়েছে। তাই ব্যাটসম্যানদের উপর ভরসা রাখাই যায়। বোলাররা যদি তাদের প্রথম ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভুল সংশোধন করে নিতে পারেন তাহলে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি জেতার আশা করতেই পারি।