জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দজ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
জ্যাকসন হাইটসের ৭৪ স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। ছবি: রিমন ইসলাম
শুধু নিউইয়র্ক নগর নয়, পুরো উত্তর আমেরিকার বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটস। নিত্যদিনের বাজার-সদাই করাসহ নানা প্রয়োজনে মানুষ এ এলাকায় আসে। ঈদ-পূজা-পয়লা বৈশাখে দূর-দূরান্তের অঙ্গরাজ্য থেকেও স্রোতের মতো মানুষ আসে। এই এলাকার ৭৩ স্ট্রিটে বাংলাদেশিদের ছোট-বড় আড়াই শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশি অভিবাসীদের কল্যাণে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্যও মন্দ নয়। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে কোনো উৎসবে এই স্ট্রিটে হয়নি কোনো আলোকসজ্জা। অথচ পাশের ৭৪ স্ট্রিটের ভারতীয়রা তাদের যেকোনো উৎসবে আলোকসজ্জা করছে যা চোখে পড়ার মতো।
অ্যাস্টোরিয়ায় আরবরা, ফ্লাশিংয়ে চায়নিজরা, করোনায় স্প্যানিশ অভিবাসীরাসহ সবাই নিজেদের উৎসবকে বর্ণাঢ্য করে নানা উপায়ে। শুধু বাংলাদেশি অধ্যুষিত ৭৩ স্ট্রিটে বেশ কয়েক বছর ধরে নেই কোনো বর্ণাঢ্য আয়োজন। ঈদ আসলেই সাধারণ মানুষের আলোচনার অন্যতম বিষয় এবারও কি আলোকসজ্জা হবে না? কেন হয় না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলা হয়।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনে (জেবিবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ পিয়ার বলেন, ‘আমি ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ২০১২-২০১৩ মেয়াদে আমরা ঈদের সময় ৭৩ স্ট্রিটের ৩৭ অ্যাভিনিউ থেকে ডাইভারসিটি প্লাজা পর্যন্ত তোরণসহ আলোকসজ্জা করেছিলাম। এতে প্রতিবছর খরচ হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ ডলার। এরপর যাঁরা দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা কেন করেননি, কী সমস্যা তার কিছুই আমি জানি না। আমার মনে হয়, তারা শুধু নেতা হওয়ার জন্য জন্য কমিটি করেছিল। কমিউনিটি ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখলাম না। এখন আমাদের অ্যাডহক কমিটি। তারা চাইলেই এমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে পারে না। কারণ এখানে অর্থ ব্যয়ের ব্যাপার আছে, যেখানে চেক ইস্যু করতে হয়। আশা করি, আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলে আবার আলোকসজ্জা হবে।’
জেবিবিএর সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ বলেন, ‘আমাদের ২০০৮ সালে যে কমিটি হয়েছিল, তারা ব্যাংক হিসাবে ৯৮ হাজার ডলার রেখে এসেছিল। পরে আমি যখন ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিই, তখন ব্যাংক হিসাবে কোনো অর্থ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালে সর্বশেষ যাঁরা আলোকসজ্জা করেছিলেন, তাঁরা সেই টাকা পরিশোধ করেননি। যে প্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করেছিল, তাদের আগের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা নতুন করে কাজ করতেও রাজি হয় না। সেই বকেয়া পরিশোধসহ নতুন করে টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের ছিল না।’
জেবিবিএর এক অংশের নির্বাচিত বর্তমান কমিটির সভাপতি শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘যেকোনো উৎসবে জ্যাকসন হাইটসে আলোকসজ্জা হোক, সবার মতো এটি আমিও চাই। কিন্তু আমাদের সংগঠনের বর্তমান তহবিলে আগের বকেয়া পরিশোধ করার মতো অবস্থা নেই। তবে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগ নেয়, আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব।’
জ্যাকসন হাইটস অঞ্চলে আলোকসজ্জার দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইলোমিনেশনের মালিক আদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। আদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার আগের টাকা না দিলে আমি নতুন করে ৭৩ স্ট্রিটে কোনো কাজ করব না। নতুন কোনো সংগঠন বা ব্যক্তিও যদি কাজ করাতে চায়, তাহলে মোহাম্মদ পিয়ার আমার ৬ হাজার ৬০০ ডলারের যে বকেয়া করেছিল, তা পরিশোধ করতে হবে। ঈদেও শুভেচ্ছা বার্তাসহ যে তোরণ আমরা বানিয়ে ছিলাম, তা এখনো আমাদের কাছে আছে।’
ডাউন টাউন ম্যানহাটন বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ৩২০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল কাদির লস্কর মিঠু বলেন, ‘একটি সংগঠনের কোন্দ
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.jcpenney.com/