প্রথম খণ্ডের পর থেকে-
এরপর থকে প্রতিদিন রায়ান একই জায়গায় বসে থাকে রায়ান একটি বারের জন্যে তনয়া কে দেখতে। এভাবেই চলতে থাকে। স্বপ্নে জাগরণে তনয়া আর তনয়া।মজার বিষয় হল এখন পর্যন্ত তনয়া র চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখেনি রায়ান। রায়ান অনেক বার তনয়ার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু তনয়া কথা বলে না। রায়ান এর বন্ধু রা অনেক বার রায়ান কে বলছে মেয়েটিক ওরা তুলে নিয়ে আসবে কিন্তু রায়ান বলে না আমি তো ওকে সত্যিই অনেক বেশি ভালোবাসি আমি কখনোই ওর সাথে জোর করতে চাই না।রায়ান খুব কষ্ট পেতে থাকে। রায়ান প্রতিদিন ক্যাম্পাসের একটি বাচ্চা মেয়ের থেকে ফুল কিনে তনোয়া কে দেওয়ার জন্য কিন্তু তনয়া ফুল নেই না তখন রায়ান ফুল গুলো নিয়ে আবার বাচ্চা মেয়ে টিকে ফেরৎ দিয়ে দেয় বলে ও তো ফুল নিবে না তুই ফুল গুলো নিয়ে যা অন্য কারো কাছে বেঁচে দিস।এত কিছুর পরেও কোন কিছুতেই যেন তনয়া র মন গলে না। একদিন রায়ান তনয়া কে বলেছে একবার শুধু তোমার মুখটা দেখতে চায় তার কখনই আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করবো না একথা বলেতে বলতেই হঠাৎ করে তনয়া মাটিতে লুটিয়ে পরে জ্ঞ্যান হারিয়ে ফেলে। রায়ান তাড়াতাড়ি করে ওকে হাসপাতালে নিয়া জায়। ডাক্তার ওষুধ দিলে ওর জ্ঞ্যান ফিরে আসে। প্রথম দেখা হল হাসপাতালের বিসানায়। তনয়া এতটাই সুন্দর ছিল যে রায়ান চোখ ফিরাতে পারছিল না।কি মায়া ভরা মুখ।এরপর ওর মা বাবা আসলে ও ওখান থেকে চলে যায়।এরপর কিছু দিন যাবত তনয়া কে কায়াম্পাস এ দেখা যাচ্ছে না দেখে রায়ান অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে।অনেক খোজ নিয়েও তনয়Iর কোন খোজ না পেয়ে রায়ান দিশেহারা হয়ে পরে।তার ঠিক দুই দিন পর ওর একটা বান্ধবী রায়ান কে একটা চিরকুট দিয়ে বলে এটা আপনাকে তনয়া দিতে বলেছে। চিঠিতে লেখা আছে রায়ান আমি তোমার সাথে একবার দেখা করতে চাই কাল বিকালে তুমি লেকের পাশে থাকবে। আমি ওখানেই দেখা করব তোমার সাথে।রায়ান পরদিন দুপুর থেকে ওখানে ওয়েট করতে থাকে কখন আসবে তনয়া আর ওকে ওর মনের কথা বলে আনন্দে ছোটফট করতে থাকে রায়ান।বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায় সন্ধা গড়িয়ে রাত তবু তনয়া আসে না।এর পর একরকম জোর করেই রায়ান কে নিয়ে যাই ওর বন্ধুরা বলে যে ও আসবে না তুই চল।রায়ান বলে না ও আসবে আর এসে যদি আমাকে না পাই তাহলে ও তো অনেক কষ্ট পাবে। কিন্তু তনয়া আর আসে না।এর পর দিন ওর বান্ধবী রায়ান কে বলে ভাইয়া তনয়া ল্যাবএইডের ভর্তি আছে আপনার সাথে দেখা করতে চেয়েছে। একথা শুনার সাথে সাথে রায়ান হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়। দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে দেখে তনয়া বেড এ মুখে অক্সিজেন দেওয়া।রায়ান গেলে তনয়া রায়ান কে দেখে ওর দিকে তাকিয়ে কাদতে থাকে।ও কোনো কথা বলতে পারে না রায়ান ওকে এ অবস্থায় দেখে হতভম্ভ হয়ে যায়। তনয়া হাতের ইশারা করে বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি রায়ান। আর ওর হাতে থাকা ডায়েরি টা দিয়ে ওকে বলে এটা তোমার জন্য। ওখান থকে ও খুব দ্রুত চলে যাই।তনয়া কে এই অবস্থায় দেখতে পারছিল না ও কাদতে কাদতে বাসায় চলে যায়। ডায়েরির লেখা___
রায়ান আমকে তুমি ক্ষমা করে দিয়ো আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।প্রথম যেদিন কাম্পাস এ দেখেছিলাম সেদিনই তোমাকে আমার ভালোলাগে গিয়েছিল। আর যতবার তোমাকে দেখেছি আমার বুকের ভিতর ধকধক করে উঠত।কি যে অসম্ভব ভালোলাগার সে অনুভূতি সে আমি তোমাকে বলে বুঝাতে পারব না। জানো রায়ান তুমি আমার জন্য প্রতিদিন যে ফুল গুলো কিনে আমকে দিতে আমি তোমার সামনে ঠিকই ফেরৎ দিতাম কিন্তু আমি আবার ওই মেয়েটার কাছ থেকে কিনে তোমার দেওয়া ফুল গুলো আমি যত্ন করে রেখে দিতাম। জানো তোমার হাতের ছোয়া লাগা বই গুলো প্রতিদিন রাতে একবার করে চুমু খেয়ে আমি ঘুমাতাম । তোমাকে একদিন যদি আমি কম্পাসে না দেখতাম আমি বিরহে চোটফট করে মড়তাম।আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি তোমাকে বলতে রায়ান আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু এই নিষ্ঠুর পৃথিবী আমাকে বলতে দেইনি।এই চিঠিটি যখন তুমি পড়বে তখন হইতো এ পৃথবীতে আমি আর নেই । আমার ব্রেন টিউমার ডাক্তার বলে দিয়েছে আমি নাকি এই সুন্দর পৃথবীতে আর বেশিদিন নেই।তাই তোমাকে বলতে পারিনি আমি তোমাকে ভালোবাসি।আমি চাইনি তোমার সাথে মায়াই জড়িয়ে পড়ি। তাহলে আমি তোমাকে ছেড়ে কিভাবে যেতাম বল।আমি চাইনি তুমি আমার জন্য সারাজীবন কষ্ট পাও। তুমি নিজেকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিও আর হা আমার কথা ভেবে কষ্ট পাওয়া যাবে না কাদা যাবে না আমি ত তারা হোয়ে থাকব আকাশে তমাকে ঠিক দেখতে পাবো তখন তুমি যদি কাদো আমি ওই দূর আকাশে একা কিভাবে থাকব বল।আমি চাই তুমি অনেক বেশি গোছালো হয়ে যাও। সবসময় নিজের খেয়াল রাখবে।
তনয়া। রায়ানের চোখ অশ্রুসিক্ত।এমন সময়ে রায়ানের বন্ধু হাসিব এসে রায়ান কে জরিয়ে ধরে বলে রায়ান তনয়া আর নেই। The end.
জান্নাত
N/B: Don't copy/share this story without my permission All right reserved. Thanks.
apnar golpo sune khub emotional hoye porlam.btw sundor golpo
আপু আপনার গল্পটা আনেক ভালোলাগছে। @sisajol
You have received an upvote from @nicestbot. I am an automated curation bot trying to make minnows happy.
This post has received a 22.36 % upvote from @booster thanks to: @jannat.
You got a 1.24% upvote from @postpromoter courtesy of @jannat!
Want to promote your posts too? Check out the Steem Bot Tracker websitevote for @yabapmatt for witness! for more info. If you would like to support the development of @postpromoter and the bot tracker please