কিছুক্ষণ আগে আমি আমার ১২তম ক্রাস মাইশাকে লাভ লেটার দিয়েছি। মেয়েটি আমার সামনেই পড়ছিল চিঠিটা।
আমি তার ছামনে দাড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছিলাম।কারণ আজ লাভ লেটারটা যেভাবে লিখেছি পড়লে বাংলার যেকোন মেয়েই প্রেমে পড়বে।
আমার মন বলে হুমায়ুন আহমেদ হয়তো এরকম চিঠি দিয়েই শাওনকে পটিয়ে ছিল।
কিছুক্ষণ পর লেটারটা একটা থাপ্পড় সহ আমার মুখে এসে পড়লো।আমি কিছু বুঝলাম না কি থেকে কি হলো?
আসলে আমার কপালটায় খারাপ।নইলে ১২তম বারও আমি আনসাকসেস কেন?
আমার মনে একটা সন্দেহ হলো।আমি চিঠিটা পড়তে লাগলাম।চিঠিটা ছিল---------
প্রিয় কাউয়া সুন্দরী
তোমাকে দেখলেই আমার শরীরের সব অঙ্গের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।শুধু পেট ছাড়া। তোমাকে দেখলেই আমার পেটের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে।যেন বমি এসেই গেল।তোমার শকুনের মতো আখি,জিরাফের মতো লম্বা লম্বা ঠ্যাং, বিড়ালের মত নাক,হাড়ির কালির মতো ফর্সা মুখ দেখলে আমি সহ্যই করতে পারি না।আর তোমার হাটা দেখলে মনে হয় এক খোড়া হেটে যাচ্ছে।আর তুমি যা লিপস্টিক দাও তারতো অর্ধেকই খেয়ে ফাল তাহলে দেওয়ার কি দরকার???আর হ্যা আগেই বলেছি তোমাকে দেখলে আমার বমি আসে তাই তুমি আমার সামনে না আসলে খুসি হবো।
ইতি
হিরো অফ দ্যা কলেজ।।
ভাই আপনারাই কন এটা কোন লাভ লেটার হলো??আমাকে জুতা পেটা করেনি কপাল ভাল।
আপনার ভাবছেন চিঠিটা অন্য কারো লেখা??
আরে নাহ এটা আমারই লেখা।
এর একটা কাহিনী আছে একটু দাড়ান বলছি।।।
আমি হলাম রবি।এবার ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।
আমার একটা বান্ধবি থুক্কু একটা দোস্ত আছে নাম ঐশি।
আমরা একই ফ্লাটে পাশাপাশি ভাড়া থাকি। আমরা সেই ক্লাস ২থেকে একসাথে পড়ি।
ওকে আমার মেয়ে বলে মনেই হয়না।
কিছুদিন আগে আমার এক ব্যার্থতার দিনে ও বলছিল-----
তুই অন্য কোন মেয়েকে লাভ লেটার না দিয়ে আমাকেই দিলেই পারিস।যখন তখন একসেপ্ট।
তখন আমি ওকে ওই লেটারটা (যেটা পড়েছি) দিয়েছিলাম।
ওই ছাড়া কি লিখবো বলেন?আমার ওর প্রতি কোন ফিলিংসই আসে না।
আর আজ মাইশাকে দেবো বলে যে চিঠিটা লিখেছিলাম ঐটা ঐশীকে পড়তে বলেছিলাত।কেমন হলো দেখতে।
তারপর বলেছিলাম চিঠিটা ব্যাগে রেখে দিতে।
আর ও কি করলো চিঠিটা বদলে দিল।
ও আমাকে এমন ভাবে বাশ দিবে আমি কল্পনাও করিনি।
আজ ওকে এর শাস্তি পেতেই হবে।
আমি বাড়িতে গিয়ে আগে ওদের ঘরে গেলাম কিন্তু কাউকে পেলাম না।
এরপর আমাদের বাড়ীতে ঢুকে দেখি ওদের আর আমাদের বাড়ীর সবাই লাইন দিয়ে বসে আছে।
আমি কিছু মনে করলাম না কারণ এর আগেও দুবাড়ীর লোকজন এভাবে বসে থাকতো।
কিন্তু সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আমাকে আজ প্রথম দেখছে।
আমি আন্টিকে জিগ্যেস করলাম ঐশী কোথায়?
তখন মা বলে উঠলো ওকে খুজিস কেন? লাভ লেটার দেওয়ার সময় কিছু মনে ছিল না??
আমি:মা আমিতো কিছু বুঝতে পারছিনা। কি বলছো এসব??
বাবা:বুঝতে পারছো না? এটা কি??(আজকের লেটারটা)
আমিতো পুরায় অবাক!ঐশি এই চিঠি বাড়িতে দিলো কেন??
বাবা:তোমার যে ঐশিকে পছন্দ করো। এটা বাড়ীতে বললেই পারতে এতো কস্ট করে লাভ লেটার লেখ লাগতো না।
আমি:বাবা ওটাাআআ
বাবা:থাক আর বলতে হবে না।ঐশিকে আমাদের বউমা বানাতে আমি রাজি।
আমার মাথাই আকাশ ভেঙে পড়লো।যার প্রতি আমার কোন ফিলিংস নেই সে হবে আমার বৌ??
এতক্ষনে বুঝলাম ব্যাপারটা।ঐশি চিঠিটা বাড়িতে দেখিয়ে বলেছে ওইটা আমি ওকে দিয়েছি।
আমার লেখা লাভ লেটার আমার পিছনেই বাশ হয়ে ঢুকে গেল।।।
এসব ভাবছি এমন সময়
ঐশি:বাবা মা আপনাদের চা।(আমার বাবা মাকে)
আমি আজ খুব রেগে গেছি ওর উপর রাগী লুকে ওর দিকে ফিরে তাকালাম।
ও আজ একটা হলুদ শাড়ী পড়েছে।আজ ওকে অন্য রকম লাগছে।
ওর দিকে তাকিয়ে আমি নির্বাক আজ ওকে বড়ই সুন্দর লাগছে।
একটা মায়া কোথা থেকে এসে ওর মুখে আটকে গেছে।
আমি যেন সেই মায়ার প্রেমেই পড়ে গেলাম।
মনে মনে বল্লাম বাবা তা যখন রাজি তখন আরকি??
আমারও তো আজ ওকে পেতে মন চাইছে।
আজ থেকে ঐশীকেই ভাল বাসবো নইলে ১২*২=২৪টা লাভ লেটার লিখেও কোন মেয়ে পটাতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।
বেশ ভালো লিখেছেন আপনি। ঐশী বলতে গেলে ভাগ্যবতী, যে কিনা আপনার কোমল ভালোবাসা পেয়েছে। অার চিঠি ব্যাপরটা বেশ লোভনীয় আর আনন্দের । চালিয়ে যান....!!!
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=793052277559299&id=181287188735814&tn=%2AW-R
Please write unique content