একটি মেয়ে তার বাবার কাছে গিয়ে নালিশ করে বললঃ বাবা, এ তুমি কেমন ঘরে আমার বিয়ে দিয়েছো?
বাবাঃ কেন কি হয়েছে, জামাই কি খারাপ ব্যবহার করেছে?
মেয়েঃ তোমার জামাই তো দুই মাস পর পর বাড়ি আসে। সমস্যার কারণ তো আমার শ্বাশুড়ী। সারাদিন বলে শুধু বৌমা এটা করো, বৌমা ওটা করো।
সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত শুধুই খিট খিট করে যায়। আমার একটুও ভালো লাগে না।
বাবাঃ আরে এই বয়সে মানুষ একটু এই রকমই করেন।
মেয়েঃ না বাবা, ঐ বুড়ি যতদিন পযর্ন্ত না মরছে, আমি আর ঐ বাড়িতে ফিরে যাবোই না।
বাবাঃ এই রকম কথা বলতে নেই মা।
মেয়েঃ তুমি তো ডাক্তার এমন একটা কিছু ওষুধ দাও যাতে ঐ বুড়ি খুব তারাতারি মরে যায়।
বাবাঃ আমি ডাক্তার কসাই নয় এ কাজ আমি করতে পারবো না।
মেয়েঃ বাবা তুমি কি চাও না তোমার মেয়ে সুখে সংসার করুক?
বাবাঃ (একটু চিন্তা করার পর) ঠিক আছে মা, তোর মুখের দিকে তাকিয়েই আজ আমি এই কাজ করছি, তোকে আমি একটা ওষুধ দিচ্ছি। এই ওষুধ টা নিয়মিত প্রতিদিন দুই ফোটা করে গরম দুধের সাথে খাওয়াবি। দেখবি এক মাসের মধ্যেই তোর শ্বাশুড়ী মারা যাবে। তবে এই এক মাস তুই তোর শ্বাশুরীর খুব সেবা করবি এটা আমাকে কথা দে।
মেয়েঃ ঠিক আছে বাবা, কথা দিলাম।মেয়ে ওষুধ নিয়ে আনন্দের সাথে শ্বশুর বাড়ি চলে গেল। গিয়েই তার শ্বাশুড়ীকে মন দিয়ে সেবা করতে লাগলো আর নিয়মিত ওষুধ দিতে থাকলো। পাঁচ দিন পর শ্বাশুড়ী লক্ষ করলেন যে তার বৌমা আর আগের মত নেই। এখন সে তার আর কোন কথার ই অবাধ্য হয় না। আগের মত আর তার উপর বিরক্ত হয় না। আর খুবই বেশি সেবা করছে। ২০ দিন পর শ্বাশুড়ী তার বৌমাকে নিজের মেয়ের মত ভালবাসতে লাগলো। তখন তিনি নিজেই বৌমার জন্য স্পেশাল মেনু বানিয়ে খাওয়ালেন। বৌমাকে আর আগের মত কোন কাজের জন্য না বলে সেই কাজটা নিজেই সেরে নিতেন। বৌমার ঘুম ভাঙ্গার অপেক্ষা না করে নিজেই চা বানিয়ে বৌমার কাছে গিয়ে বৌমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে তার সামনে চায়ের কাপটা এগিয়ে দিয়ে বললেনঃ বৌমা চা খাও, দেখো আমি তোমার জন্য বানিয়েছি।
বৌমাঃ কেন, মা আপনি আমাকে ডাকতে পারতেন তো ।
শ্বাশুড়ীঃ কি যে বলো বৌমা, তুমি সারাদিন ধরে এত খেটে আমার সেবা করছো আর আমি এইটুকু করতে পারবো না?
দিনটা ছিল ২৭ তম।
এতদিনে শ্বাশুড়ী বৌমার সম্পর্কটা মা ও মেয়ের সম্পর্কে পরিনত হয়ে গেছে। তখন মেয়েটি তার বাবার কাছে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এসে বললঃ বাবা তুমি আমার শ্বাশুড়ী মাকে বাঁচাও। আর মাত্র তিন দিন বাকি। আমি চাই না যে আমার শ্বাশুড়ী আমাকে ছেড়ে চলে যাক। উনি যে ঠিক আমার মায়ের মত।
বাবাঃ চোখের জল মুছে ফেল মা। আমি জানতাম একদিন তুই তোর ভুল ঠিকই বুঝবি, তাই আমি তোকে কোনো বিষ দিইনি ঐ ওষুধে তোর শ্বাশুড়ীর কোন ক্ষতি হবে না বরং ঐ ওষুধ খেলে শরীরে পুষ্টি হবে। যা মা সুখের সংসার কর।
মেয়েটি হাসি মুখে বাবাকে সালাম করে বললোঃ “আই লাভ ইউ বাবা”
Visit Our Website