২৮৬ রান মাত্র ১ বলে!
খেলার মাঠে মাঝে মাঝে ঘটে যাওয়া বিচিত্র, উদ্ভট আর হাস্যরসাত্মক মুহূর্তগুলো নিয়েই আমাদের আয়োজন “খেলারঙ্গ”
ক্রিকেট খেলা নিয়ে শত শত উপকথা ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাপী। হয়তো এই উপকথাগুলো বর্তমান সময়ে বিশ্বাস করতে একটু কষ্টই হয়, হয়তো এগুলোর কোন সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য সূত্রও নেই। তবুও এই উপকথাগুলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
প্রায় ১৫০ বছর আগে (সূত্রমতে ১৮৬৫ সালে) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বানবেরিতে ভিক্টোরিয়া আর প্রতিবেশী দল স্ক্র্যাচ একাদশের মধ্যে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই ম্যাচেই হয়েছিল অবাক করা এই স্কোর!
খেলা শুরু হওয়ার পর প্রথম বলেই ভিক্টোরিয়ার এক ব্যাটসম্যানের জোরালো শটে বল বাউন্ডারি পার হওয়ার আগেই মাঠের মধ্যে অবস্থিত একটি গাছের উঁচু ডালে আটকে যায় আর ব্যাটসম্যানরা রানের জন্য দৌড়ানো শুরু করে। স্ক্র্যাচ একাদশের খেলোয়াড়রা আম্পায়ারের কাছে বল হারিয়ে যাওয়ার আবেদন জানায়। কিন্তু আম্পায়ার তো স্পষ্টভাবে দেখছেন গাছের ডালে বল আটকে আছে, বল হারিয়ে যাওয়ার সঙ্কেত কীভাবে দিবেন? স্ক্র্যাচ একাদশের খেলোয়াড়রের আবেদনে সাড়া না দিয়ে আম্পায়ার গাছের ডাল ছেঁটে আম পাড়ার মতো করে বল পাড়ার নির্দেশ দেন গ্রাউন্ড স্টাফকে। অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও স্টাফরা গাছের ডাল থেকে বল পাড়তে পারছিলেন না। এরপর গ্রাউন্ড স্টাফ মরিয়া হয়ে রাইফেল দিয়ে বল লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। বেশ কয়েকটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর একটি গুলি লক্ষ্যে পৌঁছায় এবং অবশেষে বল মাটিতে পড়ে। ততক্ষণে ভিক্টোরিয়ার ব্যাটসম্যানরা দৌড়ে দৌড়েই ২৮৬ রান করে ফেলেন! তবে এই ঘটনার যথেষ্ট প্রমাণাদি নেই।
যে সকল বন্ধু থেকে শত্রু ভাল
জীবন বন্ধু ছাড়া অচল, আবার জীবন অতিষ্ট করে তুলতে কিছু বন্ধু তো থাকবেই। চলুন দেখে আসি আমাদের জীবন তেজপাতা বানানো বন্ধু গুলো কারা।
ফার্স্ট বয়
আপনার কোন বন্ধু যদি ক্লাসের ফার্স্ট বয় হয়, আর আপনি যদি হন দুর্বল ছাত্র, তাহলে আপনার জীবনে সুখ-শান্তির ইতি ঘটাতে ঐ বন্ধুটিই যথেষ্ট। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলেই মা’র কাছে খোটা শুনবেন ‘ইমন তো সব পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়, তুই কি গাধার ঘাস কাটিস? যা ইমনের পা ধোঁয়া পানি খেয়ে আয়।’
ধারওয়ালা
টাকা ধার নিয়ে বেমালুম ভুলে যাওয়া বন্ধুগুলো সবচেয়ে বেশি কিউট। ‘গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন’ প্রবাদটা পদে পদে মনে করিয়ে দেবে আপনার এই বন্ধুগুলো। যখন আপনার টাকা দরকার তখন এরা ভুল করেও আপনার ফোন রিসিভ করবে না। দেখা হলে বলবে ‘আমি ঘুমে থাকি, আমার হিসাব থাকে না’।
লাভ গুরু
আপনি যদি একজন ভাল পরামর্শদাতা হয়ে থাকেন, তাহলে আগ বাড়িয়ে কাউকে প্রেমের পরামর্শ দিতে যাবেন না। কারণ প্রেম হয়ে গেলে আপনার বন্ধুটি আপনাকে ভুলে যাবে, কিন্ত কোন ঝামেলা হলেই সব দোষ আপনার কাঁধে এসে পড়বে। তখন শুনবেন, ‘তোর জন্যই এসব হইছে, তুই না বললে আমি প্রেমই করতাম না।’
টিস্যু!
ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ কাঁদল হেনা।
নিজেকে ওর একটা টিস্যুর মতো মনে হচ্ছে। বাবা-মা, ভাই, বন্ধু, ভালোবাসার মানুষ-সবাই যেন যে যেভাবে পারে সেভাবেই ব্যবহার করে যাচ্ছে ওকে। হেনার সামান্য চাকরি। বাবা-মাকে যতটা দেওয়া হয় তাতে কিছুই হয় না। আরো চান তারা। হেনা জানে, চাওয়াটা বাবা-মায়ের না, তার ভাইদের। তাদের নিত্যনতুন সব গ্যাজেট লাগবে, দামী পোশাক লাগবে। অথচ ওরা সবাই জানে হেনার কাছে নিজে চলার মতোই টাকা আর থাকে না সব খরচ শেষে। বাড়তি টাকা সে কীভাবে দেবে? রেহানকে ভালোবাসে সে। সেও আজকাল আর দেখা করে না হেনার সাথে। বোঝে হেনা। এই পুরো পরিবারের বাড়তি ঝামেলা সহ হেনার সাথে প্রেম করে আর কুলাচ্ছে না রেহানের। বন্ধুরা বোঝে না। হেনা কলেজে থাকতেই চাকরি শুরু করেছিল, ওর নিশ্চয় অনেক টাকা- এমনটাই ভাবে সবাই। হেনা ওদের সাথে দামী জায়গায় খেতে যেতে পারে না। সবাই ওকে দেমাগী ভাবে। হাতের টিস্যুটাকে আরো একবার দেখলো হেনা। কেন? কেন ও এই টিস্যুর মতো হয়ে গিয়েছে? হাতের উপরে চোখের এক ফোঁটা পানি পড়তেই চমকে উঠলো হেনা। মুছে ফেললো টিস্যু দিয়ে কান্নাটুকু। সে কেন টিস্যু হবে? অন্যরা কেন না? শক্ত পায়ে উঠে দাড়ালো হেনা। ওকে না বলতে শিখতে হবে, পারতে হবে। আর না! এভাবে আর টিস্যুর জীবন না। হাতের টিস্যুটাকে ঝুড়িতে ফেলে ঘরের দরজা খুলল সে।
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://bodyspace.bodybuilding.com/
hey mamun, where are u from ?
Bangladesh
we create a group work?
Yes ✔️ give me group link
Congratulations @mamun1237! You have completed the following achievement on Steemit and have been rewarded with new badge(s) :
Award for the number of comments received
Click on the badge to view your Board of Honor.
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP