অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় তমব্রুতে সেনা মোতায়েন: পতাকা বৈঠকে বিজিপি

in #dlive7 years ago

aW1hZ2UtNzE0MjQtMTUxOTk5NjE4My5qcGc=.jpg
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। গতকাল রাতে গুলি ছোড়ার কথাও অস্বীকার করেছে তারা। আজ শুক্রবার বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকে এ কথা জানায় মিয়ানমার পক্ষ।

শুক্রবার বিকাল তিনটায় ঘুনধুম পয়েন্টে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষ হয় সাড়ে চারটায়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে সাত সদস্যের একটি দল অংশ নেয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে তমব্রু সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করে মিয়ানমার। এ ঘটনার কারণ জানতে বিজিবি পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর‌্যন্ত কোনো সাড়া দেয়নি দেশটি। পরে দেশটির ঢাকাস্থ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশ কড়া প্রতিবাদ জানায়। বাংলাদেশ সীমান্তে জোরদার করা হয় বিজিবির অবস্থান।

আমাদের প্রতিনিধি জানান, আজ পতাকা বৈঠকে যোগ দিলেও সীমান্তে সেনা সমাবেশ বন্ধ কিংবা প্রত্যাহার করেনি মিয়ানমার। বরং গতকালের চেয়ে আজ আরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে সীমান্তে। কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে কিছুদূর অন্তর অন্তর ভারী অস্ত্র হাতে অবস্থান নিয়ে আছে সেনা সদস্যরা। সেখান পাহাড়ের ঢালে বাংকারেও ভারী অস্ত্র বসানো হয়েছে।

মিয়ানমার সেনারা আজও বেশ কয়েকবার মাইকিং করেছে যাতে তমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় আটকে থাকা রোহিঙ্গারা সরে যায়। রোহিঙ্গারা তাতে সাড়া না দিলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই আতঙ্ক আছে এপারে স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্যেও।

বৃহস্পতিবার রাতে দুবার গুলি ছোড়ে মিয়ানমার সেনারা। প্রথমবার রাত পৌনে আটটার দিকে এবং দ্বিতীয়বার গুলি ছোড়ে গভীর রাত তিনটার দিকে। তবে এসব গুলির ঘটনা আজকের পতাকা বৈঠকে অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাখাইন থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা আনুমানিক সাত হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশের তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় আটকে রয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই মিয়ানমারের বিজিপি তাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার সামরিক পিকআপ, ট্রাক ও ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য শূন্যরেখা থেকে প্রায় ১৫০ গজ ভেতরে অবস্থান নেয়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধদের হত্যা-নির‌্যাতন, আগুনের হাত থেকে বাঁচতে গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্যয় নিয়ে আছে সেখানে।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/মোআ)

Sort:  

nice to meet you

Really. Thanks for comment

This post has received a 0.42 % upvote from @drotto thanks to: @muhammadkamal.

This post has received a 1.99 % upvote from @speedvoter thanks to: @kdjakirtgl.