প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ঈমানের পর ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এই নামাজ। মুসলিমে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) ভাষায় মুসলিম আর অমুসলিমের মধ্যে ফারাক হলো নামাজ। ফরজ এই নামাজ পুরুষদের জন্য মসজিদে আদায় করা ওয়াজিব। মহানবী (সা.) একদিকে যেমন মসজিদের জামাতে নামাজ না পড়া লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর সব বাণী উচ্চারণ করেছেন; অন্যদিকে তুলে ধরেছেন মসজিদে নামাজের বহু ফজিলত। হাদিসে বর্ণিত সেসব ফজিলতের সারমর্ম ফুটে ওঠে নিচের ১১টি বিষয়ে :
নামাজের জন্য মসজিদে গমন করলে গোনাহ ক্ষমা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।
প্রতিটি কদমে ১০টি করে নেকি লেখা হয়।
মসজিদের উদ্দেশে ঘর থেকে বের হয়ে ফেরা পর্যন্ত নেকি লেখা হতে থাকে।
তিনিই শ্রেষ্ঠ নামাজি, যিনি বেশি দূর থেকে হেঁটে মসজিদে আসেন।
নামাজের উদ্দেশ্যে বের হলে প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে সদকার নেকি লেখা হয়।
মসজিদের দিকে বেশি কদম ব্যবহার করে গমন করলে সীমান্ত পাহারার মতো প্রভূত নেকি লাভ হয়।
যখনই কেউ মসজিদে যাতায়াত করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি দস্তরখানা প্রস্তুত করেন।
অন্ধকার মাড়িয়ে মসজিদে গমনকারীদের আল্লাহ কেয়ামতের দিন পূর্ণ নূর দান করবেন।
যিনি পবিত্র হয়ে নামাজের জন্য বাসা থেকে বের হন, তাকে হজের নেকি দান করা হয়।
মসজিদের উদ্দেশে বের হওয়া ব্যক্তির রিজিক ও নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ যথেষ্ট হয়ে যান।
আল্লাহ তায়ালা মসজিদে আগমনকারী ব্যক্তির ঈমান ও অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন।
টাঙ্গাইলটাইমস