১] মেয়েরা সৃষ্টিগত ভাবে বাঁকা, মানে তারা পুরুষের পাজরের বাঁকা হাড় থেকে তৈরী তাই তাকে বেশী সোজা করতে যাবেন না, সহনীয় পর্যায় রাখুন । আবার একেবারে ঢিল দিবেন না তাতে আরো বেঁকে যেতে পারে ।
.
২] স্ত্রী কে ভালোবাসু এবং মন থেকেই ভালোবাসুন, স্ত্রীর সামনে অন্য কোন নারীর প্রশংসা করবেন না । যথা সম্ভব তার রূপের প্রশংসা করুন বিশেষ করে চোখ, ঠোঁট এবং চুলের ।
.
৩] তরকারি বা অন্য কোন খাবার রান্নার পরে সরাসরি সেই খাবারের খুঁত ধরবেন না । বললেন রান্না খুবই ভালো এবং মজা হয়েছে, তবে লবণ বা মসল্লা একটু সামান্য কম বা বেশী হয়েছে । রান্নার বিষয় নিয়ে কখনোই স্ত্রী সাথে ঝগড়া করবেন না । সব স্ত্রী চায় তার স্বামী তার রান্নার প্রশংসা করুক । একসময় সে ঠিকই পাকা রাঁধুনী হয়ে যাবে ।
.
৪] স্ত্রীকে মাঝে মাঝে কিছু উপহার দিন হোক সামান্য একটা ফুল বা অন্য কিছু । আর কখনোই বিশেষ দিন গুলোর কথা ভুলবেন না । স্ত্রীর জন্মদিন, বিয়ে বার্ষিকি, প্রথম দেখা, এই সব বিশেষ দিনগুলোর ক্ষেত্রে অবশ্যই স্পেশাল কিছু উপহার দিন স্ত্রী কে ।
.
৫] চার দেয়াল, সংসারের ঝামেলা, ছেলে মেয়ে মানুষ করা, এই সব করতে গিয়ে এক সময় আপনার স্ত্রী হাঁপিয়ে উঠে । দম বন্ধ হয়ে যায় তাদের । আর তাই আপনার স্ত্রীকে নিয়ে বাইরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন মাঝে মাঝেই । এতে আপনার স্ত্রীর মন ফ্রেস হবে খিট খিটে স্বভাব দূর হবে ।
.
৬] রোমান্টিক হতে চেষ্টা করুন । প্রতিটি স্ত্রী চায় তার স্বামী রোমান্টিক হোক । মাঝে মাঝে তার সাথে কৌতুক করুন । সময়ে অসময়ে তাকে একটু বিরক্ত করুন । আদর করে নিজ হাতে খাইয়ে দিন ।
অফিসে বা কাজে থাকলে ফোন করে স্ত্রীর খোঁজ খবর নিন । কিছু ভালোবাসাময় কথা বলুন ।
.
৭] সংসারের সুখী হওয়ার জন্য একে অপরের প্রতি ভালবাসার কোন বিকল্প নেই । বিশ্বাস একটা বড় জিনিস । সেই বিশ্বাসে অমর্যাদা কখনই করবেন না । আপনার সাবেক প্রেমিকা বা বন্ধুবী যেই থাকুক না কেন । স্ত্রীর অগোচরে কখনোই কথা বা মোবাইলে চ্যাটিং করবেন না, যা করুন স্ত্রীর সামনে করুন । এতে আপনার প্রতি বিশ্বাস এবং ভালোবাসা তার আরো বেড়ে যাবে ।
.
৮] মানুষ মাত্র চাহিদার শেষ নেই, স্ত্রীদের ক্ষেত্রে সেটা আরো ঊর্ধ্বে । অল্পে সন্তুষ্ট থাকার জন্য স্ত্রী কে শিক্ষা দিন । সাধারণত মেয়েরা পাশের বাড়ির ভাবি, ভাড়াটিয়া বা অন্য কারো সাথে তুলনা দিবে ঠিক সেই সময় প্রয়োজন বোধে আশেপাশের অভাবী মানুষ গুলোর দিকে ইঙ্গিত করুন, তাদের জীবনযাত্রা সম্বন্ধে তাকে অবহিত করুন । তবে কখনোই ঝগড়া করবেন না । আপনার মাসিক বেতন বা আয় তার কাছে প্রকাশ করুন । আপনার অক্ষমতা জানাতেও দ্বিধা বোধ করবেন না ।
.
৯] সংসারে সুখী হওয়ার আরেকটা ফেক্ট ছেলে মেয়ে । অনেক সময় আপনার ছেলে মেয়ে আপনাকে অসুখী করে তোলে । স্ত্রী কে ভালোবাসার পাশাপাশি ছেলেদের মেয়েদের ভালোবাসুন তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিন । আপনার অবসর সময়গুলো বাইরে বন্ধু বান্ধবদের সাথে না কাটিয়ে ছেলে মেয়েদের সাথে কাটান । তাদের পড়া লেখার খোঁজ খবর নিন । তারা কোথায় যায় কি করে কাদের সাথে মিশে গোয়েন্দাদের মতো খুঁজে বেড় করুন এবং সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন ।
.
১০] সবশেষে বলব ইসলামিক অনুশাসন গুলো মেনে চলুন অথবা আপনার ধর্মের অইন কানন গুলো । কারণ ধর্মের ভেতর থাকলে, কখনোই কারো মনে অতিরিক্ত লোভ, চাহিদা , হিংসা বিদ্বেষ কাজ করবে না । একে ওপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায় ধর্ম । ধর্মের অনুশাসন গুলো আপনি এবং আপনার স্ত্রী, ছেলে মেয়ে মেনে চললে কখনোই আপনারা অসুখী হবেন না ।
Sort: Trending
[-]
a-a-a (-7)(1) 6 years ago
$0.00
Reveal Comment