লবনাক্ত একটা শরীর স্পর্শ করার আগে
কোনদিন হয়তো জিজ্ঞেস ও করা হয়না"তুমি ভালো আছো তো"?
দিন শেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীর ব্রা খুলতে ব্যস্ত থাকা স্বামী ভুলে যায়,
স্তন থেকে দু ইঞ্চি গভীরে একটা হৃদপিন্ড আছে!
রাস্তার মোড় থেকে কনডম কিনে ঘরে ফেরা স্বামীর মনে থাকে না,
একটা ছোট্ট কাজলের কৌটা নিয়ে আজ ঘরে ফিরলে কেমন হয়!
সংসার একটা উপভোগ করার জায়গা!
অথচ, আমরা অনেক সময় শুধু ভোগ করাটাকেই সংসার ভাবতে থাকি!
ভোগ আর উপভোগের মাঝখানের পার্থক্যটা বুঝতে কষ্ট হয় বলেই
আমাদের দাম্পত্য জীবনে একঘেয়ামী চলেআসে!
সংসার মানে আসলে নিয়ম করে ব্লাউজের বোতাম খোলা না,
এসব খোলামেলা নিয়মের বাইরেও অনেককিছু থাকে!
সংসার একটা দায়িত্ববোধের ব্যপার!
শারিরিক আকর্ষনের উন্মাদনা শেষে উল্টা পাশ হয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া দম্পতি টের পায়না,
ভালোবাসায় কখনো অনিহা আসে না!
বীর্য স্ফলনের পর যদি মানুষটাকে অসহ্য লাগা শুরু হয়,
তাহলে আপনি কামুক,এখনো প্রেমিক হয়ে উঠতে পারেননি!
প্রেমিক হলে, মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বিপরীত মানুষটার নিদ্রা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়!
একটা বয়সে আমরা প্রেমের পাশাপাশি শরীরটাকেও ভীষনভাবে প্রত্যাশা করি!
আবার একটা সময় শরীরের পাশাপাশি আমাদের প্রেমটাও ভীষন প্রয়োজন হয়!
নগ্ন দেহের প্রতি কোন মুগ্ধতা নেই!
মুগ্ধতা পাওয়া যায় প্রেমিকার চুলে,গালের টোলে, কপালের টিপে,চোখের কাজলে!
প্রেম মানে "তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ২৫৬ বার মরে যাওয়া যায়"!
প্রেম মানে "তুমি ঘুমাও, আমি একটা আস্ত রাত জেগে থেকে তোমাকে দেখি"!
ভালোবাসার জন্য আপনি শরীরকে অস্বীকার করতে পারবেন না,
তাহলে শরীরের জন্য কিভাবে ভালোবাসাকে অস্বীকার করেন!
ভালোবাসায় শরীর আসবেই,
তবে শরীরেও যাতে ভালোবাসা আসে!
শুধু স্তন নয়, স্তন থেকে দু ইঞ্চি গভিরে থাকা হৃদপিন্ড যে দেখতে পায়না,
সেআর যাই হোক ভালোবাসতেশিখেনি!
আমরা যোনীর গভীরতা আবিস্কার করতে শিখেছি,
অথচ হৃদপিন্ডের গভীরতা অনুসন্ধান করতে শিখিনি!
একটা রাত কাপড় খুলে শুয়ে না থেকে,
মানুষটার হাত ধরে বসে থেকে দেখুন!
দু চারটা সুখ-দুঃখের কথা শুনুন!
বিপরীত মানুষটাকে একটু সময় দিন!
তাতে পরস্পরের প্রতি ভালবাসা বাড়ে....
কারো মনে আঘাত করলে ক্ষমা চাইছি....