১দিনের ডে ট্যুর।
খরচ ৪০০-৫০০ টাকা
ঘুড়ে আসতে পারেন আড়িয়াল বিল থেকে।।
আড়িয়াল বিল নামটার প্রতি কেন যেন একটা টান কাজ করতো।একদিন গ্রুপে একটি পোস্ট দেখে আকর্ষন আরও বেড়ে গিয়েছিল।ইচ্ছে ছিল বিলের মধ্যে গিয়ে নৌকার ইন্জিন বন্ধ করে পাখিদের ডাক শুনবো আর বাতাসে গা জোরাবো।এই উদ্দেশ্যেই গত দুইদিন আগে আমরা ৫ জন একটি গাড়ি ভাড়া করি আড়িয়াল বিলে যাওয়র জন্যে।ঢাকা থেকে খুব বেশি দূরের পথ না।মাওয়া পৌছার আগেই শ্রীনগর থেকে হাতের বামে ঢুকে প্রায় ৩/৪ কিমি গেলেই গাদীঘাট পরবে।আমাদের পৌছাতে একটু বেশি সময় লেগে যায় দেরিতে রৌনা দেয়ার জন্য।আপনারা অবশ্যই আগেই রৌনা দিবেন।গাদীঘাট নেমেই চা খেয়ে ব্রীজের পাশ থেকে ইন্জিন নৌকা ভাড়া নিলাম দুই ঘন্টা ঘুরার জন্যে।বর্ষায় এ বিলে প্রচুর পানি থাকে।শীতকালে একেবারেই থাকে না।বরষায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাওয় জায়।একদম টাটকা মাছ।দামও কম।আমরা বিকোলটা কাটালাম নৌকার উপর।সত্যি এ এক অসাধারন অনুভূতি।বিলের বাতাস যেন গা ছুয়ে যায়।এভাবে অনেক্ষন ঘুড়ার পর যখন ফিরে আসবো তখনি আকাশ জুরে নেমে আসে মেঘের ঘণঘটা।একটা বেপার সবসময় খেয়াল রাখবেন হাওর/বিল এ বিদ্যুতের বাজ খুব বেশি পরে আর নৌকা ছোট হলে অতিরিক্ত বাতাসে ডুবে যেতে পারে।।যদিও আমাদের নৌকা বড় ই ছিল।আসার পথে বৃষ্টি একটু বিরক্ত করলেও সর্বোপরি খুব ভালো লেগেছে।সবচেয়ে ভালো লেগেছে সূর্যাস্তের সময়।থমথমে পানির উপর যখন রক্তিম আভা লাগে সে এক অন্যরকম মুহূর্ত।কিছু দেশি মাছ কিনে নিয়ে আনলাম আসার সময়।দামও তুলনামূলক কম।
এই সল্প ট্যুরের সাথে আমাদের মতো যোগ করতে পারেন মাওয়া ঘাট থেকে ইলিশের ভর্তা,বেগুনভাজা আর ইলিশ ভাজা দিয়ে সুস্বাদু খাবার।টাকা টা উসুল হয়ে যাবে ইলিশের স্বাদে।
(আরও ছবি দেখতে চাইলে আইডিতে এলবাম করা রয়েছে)
যেভাবে যাবেন:
গাড়ি নিয়ে সরাসরি/গলিস্থান থেকে মাওয়াগামী বাসে করে শ্রীনগর ৫০ টাকা।শ্রীনগর-গাদীঘাট অটোতে ২০ টাকা ভাড়া।ঘাটথেকে নৌকাভাড়া ১০০০ টাকা ২ ঘন্টা।৪০০/৫০০ খরচ করলেই জনপ্রতি ঘুড়ে আসতে পারবেন।।
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং