একজন রিক্সাওয়ালা আরেকজন রিক্সাওয়ালাকে বলতে লাগল আরে ভাই টেনশন করিয়েন না.
অভাব আজ আছে তো কাল নেই।
একদিন না একদিন আমাদের সুসময় আসবেই.
কথাটা বলেই রিক্সাওয়ালটি বাড়িতে এসে দেখে রাতের খাবারের জন্য চাল নেই।
চাল কোনরকম কিনতে পারলেও মাছ-তরকারি কেনার সামর্থ্য নেই.
একটুআগে আরেকজন রিক্সাওয়ালাকে সান্ত্বনা দেওয়া মানুষটি এসে
একপ্লেট ভাত আর একগ্লাস পানি খেয়ে রাত্রি যাপন করলো।
তৃতীয় বারের মত সফলভাবে এবোশন করতে পেরে বফের হাত ধরে মেডিকেল থেকে হাসতে হাসতে বের হলো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
অপরদিকে কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।
সৃষ্টিকর্তার আরশ কেঁপে উঠার আর্তনাদের পরেও বিয়ের ১৫ বছর পার হয়ে গেল তবুও মা হতে না পেরে ডিভোর্সি হয়ে শেষবয়সে এসে ভিক্ষার তালা নিয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছিলো এক মহিলাকে।
রাতের পর রাত বছরের পর বছর শ্বশুর বাড়ির লোকদের থেকে কটু কথা,,স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেও প্রতিটা প্রার্থনাতে শুধু একটা সন্তান চেয়েছিলো।
সন্তান পাইনি কিন্তু বিনিময়ে পেয়েছে যন্ত্রণা আর একসাগর পরিমাণ দুঃখ।
একজন কোর্ট প্যান্ট পরে আর bmw গাড়ি নিয়ে এসে আরেকজন গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করেও ১০ বছর চাকরি না পাওয়া হতাশ বেকার যুবককে বলে "হুয়াট ইজ লাইফ".
জীবনে এখনো কি কি করছো?
জীবনে সফল হও আগে বাড়ো" তখন বেকার যুবকটি চিন্তা করে আসলেই জীবনে জন্ম নেওয়াটা বড় ভুল ছিলো সেখানে আগে বাড়িয়ে কি হবে.
মোটিভেশন স্পিচ দিয়ে তো আর পেটের ক্ষুধা সামলানো যায়না।
মোটিভেশন স্পিচ দিয়ে তো আর মা বাবার ঔষুধের টাকা জোগাড় করা যায় না।
আগে বাড়িয়ে কি হবে যেখানে পুরো ভবিষ্যৎটাই অন্ধকার আর অন্ধকার।
এরচেয়ে বরং সবচেয়ে বড় মোটিভেট হচ্ছে এক্কেবারে আগে বাড়িয়ে জীবন থেকে মুক্তি নেওয়া।
পরকালের জন্য তো আর মোটিভেশন দরকার পড়ে না।
আর্জেন্টিনা বাদ পড়ে যাওয়ার পর ব্রাজিল ০৭ গোল খাওয়ার পর জার্মানি প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পর যখন একটি মেয়ে চোখে একসাগর পরিমাণ ভালোবাসার দলের প্রতি জল নিয়ে এসে কান্না করে ঠিক সেই মুহুর্তে গার্মেন্টসের একটা মেয়ে গ্রামে আম্মুকে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল "আম্মু এই মাসে অসুস্থ ছিলাম তাই ওভার টাইম ডিউটি করতে পারিনি,
বাসা ভাড়া একজন থেকে কোনরকম ধার করছি,
খাবারের টাকা কিভাবে জোগাড় করব জানিনা।
আম্মু এই দুইহাজার টাকা গুলো রাখো তুমি ঔষুধ খেয়ে নিও আর আব্বুকে বলিও যাতে কাল থেকে আর সিমেন্টের বস্তা কাঁধে না নেয় আমি এ মাসে ওভার টাইম করে টাকা পাঠাবো।
তখন মানবতা,,বিবেক,,মনুষত্ব,,আর জীবন চিৎকার করে বলে "ফাক মাই লাক"।
এস,,এস,,সি তে গোল্ডেন A+ এবং এইছ,এস,,সি তে বোর্ড ফার্স্ট হয়েও যে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখতেছিলো ঠিক সেসময়ে যখন পরিবারের দ্বায় কে কাঁধে নিয়ে পড়াশোনা একপাশে রেখে টানা পাঁচবছর প্রবাসে জীবন যাপন করতে লাগলো তখন মন বলে "ফাক দ্যা সোসাইটি,,ফাক মাই লাক,,ফাক মাই লাইফ"।
বাস্তবতা যখন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে দাড় করায় তখন রোমাঞ্চ,,প্রেম,,ভালোবাসা,,আবেগ,,অনুভূতিরা জানান দেয় দুনিয়া তোর জন্য আসে নাই,
বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়ার মধ্যে তখন কোন কিছু আসে যায় না।
যে মেয়েকে ঘরে রাজকুমারীর মতো করে থাকার কথা সে মেয়ে যখন রোজ দুইবেলা করে দুইহাজার টাকা বেতনের আশায় ব্যাচেলরদের বাসায় গিয়ে গিয়ে রান্না করে তখন ভাগ্য চিৎকার করে জানিয়ে দেয় "ফাক মাই লাক"।
বয়ফ্রেন্ড থেকে ২০০০ টাকা দামের গিফট পাওয়ার পর যখন গার্লফ্রেন্ড হাসতে হাসতে আরেক বান্ধুবীকে বলে "দোস্ত আজ একটা বলদরে বোকা বানায়ছি"।
লাভ উ টাভ উ বলে দুই হাজার টাকা আচড়ায়ছি.
আর তখন ছেলেটি ভাবতে লাগলো যাক বাবা অন্তত সম্মানটা বাঁচলো,
আগামী এক মাস সকালের নাস্তা না খেয়ে চলতে হবে আরকি।
অথবা এবছরেও শপিং করা যাবেনা এরচেয়ে বেশি কিছু হবে না।
তখন মনুষত্ব আবার ডাক দিয়ে বলে "সুবোধ তুই পালিয়ে যা এখন সময় তুর পক্ষে না"।
ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছেলেটির পূর্ণ বিশ্বাস অর্জন করতে গিয়ে মেয়েটি যখন নিজের সতীত্বকে বিসর্জন দিয়ে সারাটি জীবনের জন্য একজন পতিতার চেয়ে নিচু লেভেলে চলে যাওয়ার পরেও যখন সে ভোগ করা বয়ফ্রেন্ডটি তাকে ছুড়ে ফেলে দেয় তখন কপালে হাত দিয়ে বলে "হায় জীবন হায় জীবন"।
অপরদিকে আরো একজন মেয়ের ভার্জিনিটি নষ্ট করে বন্ধুদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করতে লাগলো বিশ্বাসের সর্বোচ্চ ঘাতক বয়ফ্রেন্ড নামক ঘাতকটি।
সময় তখন বিপরীত রাস্তায় গিয়ে বলে "দুনিয়াতে প্রেম ভালোবাসা বলতে কিছু নাই সবই শরীর ভোগ করার ধান্দা"।
মনুষত্ব নামক শব্দটা এখন শুধু বইয়ের পৃষ্টায় সাদা কাগজে বন্দি।
বিবেক আজ বিলুপ্তির পথে।
মানবতা বলতে আদৌ কিছু আছে কিনা তা সন্দেহ.
এইভাবেই চলছে জীবন।
চলছে জীবনচক্র।
কারো আর্তনাদ শুনার সময় আজ নেই।
কপিটি সুন্দর হইছে কিন্তু চিতায় ধরছে যে
Hi! I am a robot. I just upvoted you! I found similar content that readers might be interested in:
https://www.txxx.com/latest-updates/5/