কিছু কথা দিয়ে লেখা শুরু করছি।
অফিসে যাবো বলে উপর থেকে নিচে নামছিলাম..সিড়ির ভিতর দেখা হলো বাড়িওলার সাথে..তিনি সাথে সাথেই আমাকে একটা দুঃসংবাদ দিলেন..মানে আমাকে ৩দিনের মধ্যে বাসা খালি করে দিতে হবে।কারন তিনি একটা ভালো পরিবার পেয়েছেন।আর আমিও বাসা ছাড়তে বাধ্য।কারন কথা ছিলো যেকোন সময় আমাকে বাসা ছেড়ে দিতে হতে পারে..একটা ব্যাচেলরের কাছে এটাই সবথেকে বড় দুঃসংবাদ..অনেক কষ্ট বাসাটা ভাড়া পেয়েছিলাম..শিমু আমাকে বাসাটা ঠিক করে দিয়েছিলো..শিমু হলো আমার সাবেক প্রেমিকা..এখন আর নেই।সে নিজেই আমার থেকে মুক্তি চেয়েছিলো..আমিও তাকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি..আমাদের প্রেমের শুরু কলেজ জীবন থেকে..আমি যখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।শিমু ইন্টার ২য় বর্ষে পড়তো।ওর মাথাতে বিশাল লম্বা চুল ছিলো।যা আমাকে আকৃষ্ট করেছিলো..ব্যাস আমি একদিন প্রপোজ করলাম।কিছুদিন আমাকে ঘোরানোর পর গ্রহন করেছিলো..
২বছর খুব ভালোই চলেছিলো..কিন্তু যেদিন আমি চাকরি পেলাম।এবং খবরটা শিমুকে দেওয়ার জন্য দেখা করলাম..সেদিন শিমু হটাৎ করেই ব্রেকাপ চাইলো..আমি ব্রেকাপ দিয়ে দিয়েছিলাম..কারন আমি জানি জোর করে ভালোবাসা হয়না..
পুরানো কথা বাদ দিলাম..আজ ১ বছর ধরে একটা কোপ্পানিতে চাকরি করছি..যা পাই তা দিয়ে আমার ভালোভাবেই চলে যায়।কিন্তুু নিজেকে নিয়ে কত সময় ভাবা যায়।
কিছু বলার ভাষা নেই...!
যে থাকবে না তাকে জোর করে রাখাও যায় না