দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির মাঝে ভেসে রয়েছে আস্ত একটা দেশ। এমনটাই হতে চলেছে আগামী চার বছরের মধ্যে। কোথায় হবে এমন দেশ? কী কী থাকবে সেখানে? জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ৪৯০০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ভাসমান দেশ বা ‘ফ্লোটিং নেশন’ তৈরি হতে চলেছে বলে জানিয়েছে পলিনেশিয়া। তবে, দেশটি পলিনেশিয়ার অন্তর্গত হলেও অধীনস্থ হবে না। বরং সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে তারা নিজেদের আইন প্রণয়ন করবে। থাকবে আলাদা মুদ্রাও।
দেশটির গঠন হবে জলে ভাসমান দ্বীপের মতোই। পলিনেশিয়া সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্পের কাজে হাত লাগিয়েছে সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট এবং ব্লু-ফ্রনিটারস নামে সংস্থা। প্রকল্পের ব্যয়ভার বহন করছে বিশ্বের অন্যতম অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা ‘পে প্যাল’-এর কর্ণধার পিটার থিয়েল।
২০১৭ সালে প্রথম এমন একটি দেশ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানায় ব্লু-ফ্রনিটারস এবং সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। গোটা প্রকল্পটি তাদেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া প্রজেক্ট’।
ব্লু-ফ্রনিটারস জানিয়েছে, প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রের মাঝে দেশটির আকৃতি কেমন হবে, কেমন ভাবেই বা সাজানো হবে গোটা দেশ, তার একটা সম্ভাব্য নকশা প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সেই গ্রাফিক।
পরিকল্পনা মাফিক ছোট ছোট শহর নিয়ে সেজে উঠবে গোটা দেশ। সাকুল্যে ২৫০-৩০০টি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ইঞ্জিনিয়রদের। তা ছাড়া থাকবে, হোটেল, রেস্তোরাঁ, অফিস এবং স্কুল।
দেশটিতে ‘গ্রিন রুফ’ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রত্যেক বাড়ির সঙ্গেই থাকবে লাগোয়া জমি এবং বাগান। তা ছাড়া থাকবে মাছ চাষের জন্য বিশেষ প্রযুক্তির অ্যাকোয়াকালচার ফার্ম। উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বায়ো গ্যাস তৈরির ব্যবস্থাও রাখা হবে।
ভবিষ্যতে দেশটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আদান প্রদানের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ব্লু-ফ্রনিটারস।
পলিটিকাল সায়েন্টিস্ট এবং এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা নাথালে মেজা-গার্সিয়া জানিয়েছেন, এমন একটা দেশ তৈরি হবে যা তার নিজস্ব নিয়মে চলবে। ফলে, দেশবাসী রাজনৈতিক হিংসা থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকতে পারবে। তা ছাড়া, ভবিষ্যতে শরনার্থীদের আশ্রয় দিতেও এই দেশ বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
গোটা দেশটি তৈরি হতে কত খরচ পড়বে জানেন? প্রকল্পের মুখ্য বিনিয়োগকারী পিটার থিয়েল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে মোট খরচ হতে পারে প্রায় সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। তবে, এখানেই শেষ নয়। ২০৫০ সালের মধ্যে এমন আরও ভাসমান দেশ তৈরির পরিকল্পনা করেছে ব্লু-ফ্রনিটারস।
wow satte khub e valo laglo