শ্বেতী রোগ (
শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের কোনো বিশেষ স্থানের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ বা মেলানোসাইট রোগাক্রান্ত হলে বা সংখ্যায় কমে গেলে অথবা মরে গেলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক (রং) তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই নির্দিষ্ট স্থানে সাদা দাগ পড়ে।শ্বেতী কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি নয়। বিজ্ঞানীরা এই রোগের কারণ এখনও জানতে পারেননি। বিশ্বে ১০ কোটি মানুষ বর্তমানে এ রোগে আক্রান্ত। তবে বেশি রোদে আক্রান্ত অংশ থেকে ক্যান্সার হতে পারে।।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ, পুরোপুরি না-ও সারতে পারে। দেহের লোমশ অংশের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়। কিন্তু যেসব জায়গায় লোম থাকে না, যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। সাধারণত কোনো ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ছাড়া শুধু রোগের লক্ষণ দেখেই এই রোগ নির্ণয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন।
ওষুধ সমূহ:
-স্টেরয়েড জাতীয় মলম,
-কেলসিপট্রিন মলম,
-টেক্রলিমাস অথবা পাইমেক্রলিমাস মলম,
- মুখে খাবার স্টেরয়েড (প্রেডনিসলন) ট্যাবলেট,
-রিভফ্লাভিন ট্যাবলেট ইত্যাদি।
ফটোথেরাপি/ লেজার থেরাপি :
-ন্যেরোবেন্ড আলট্রাভায়োলেট-বি (NB UVB),
-পুভা (PUVA),
-লেজার (308 nm exceimer laser).
কসমেটিক সার্জারি:
দুই বৎসর বা তার বেশি সময় ধরে যেসব ক্ষেত্রে সাদা দাগ স্থির থাকে বা নতুন দাগ আবির্ভাব হয় না অথবা ওষুধ এবং ফটোথেরাপিতে কাজ হয় না, সে ক্ষেত্রে কসমেটিক সার্জারি করা যায়। বিভিন্ন রকমের সার্জিক্যাল চিকিৎসা আছে-
-ইপিডার্মাল গ্রাফটিং,
-অটোলগাস মিনিগ্রাফ্ট,
-ট্রান্সপ্লানটেশন অব কালচার্ড অর নন কালচার্ড মেলানোসাইট ইত্যাদি।
এই গ্রুপ সবার জন্য উন্মুক্ত। নন মেডিকেল, মেডিকেল সবাই গ্রুপে পোস্ট করতে পারবেন। জানার কিছু থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।।