যেসব শিশু নিউরোফিব্রোমাটোসিস টাইপ ওয়ান (অটিজমের সাথে সম্পৃক্ত রোগের লক্ষণ) এ আক্রান্ত, তারা মোটামুটি দশ মাস বয়স থেকেই পারষ্পরিক মানুষের সাথে স্বতস্ফূর্তভাবে যোগাযোগ করতে পারেনা, “মোটর প্রবলেম” নামক সমস্যার ভোগে। এই মোটর প্রবলেমই নিউরোফিব্রোমাইটোশিস টাইপ ওয়ান (এনএফ ওয়ান) ব্যধির কেন্দ্রবিন্দু। প্রতি চারজন নিউরোফিব্রোমাইটোসিস টাইপ ওয়ান-এ আক্রান্ত শিশুর মধ্যে একজন অটিজমেও আক্রান্ত, জরিপে জানা গিয়েছে।
এনএফওয়ান এ আক্রান্ত শিশুর স্নায়ুর উপর একধরণের টিউমার দেখা যায় জন্মের সময় বা জন্মের কিছু পরে, ত্বকের উপরেও কিছু দাগ দেখা যায়। এসব শিশুরা একদম ছোটবেলা থেকেই যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় ভোগে। ব্রিকবেক, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রভাষক এমিলি জোনসের মতে তাদের সম্পাদিত জরিপ ও আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবক উভয়ের পর্যালোচনাতেই দেখা গিয়েছে আক্রান্ত শিশু অনেক দেরীতে যোগাযোগ করার জন্য সাড়া দেয়।
এই এনএফওয়ান অটিজমের অনেক আগে সনাক্ত করা সম্ভব, তাই ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও সুবিধা হয় আগে থেকে সম্ভাব্য অটিজম রোগী সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে। ইন্ডিয়ানাপোলিসের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক ডঃ অনন্ত শেখরের মতে এই এনএফওয়ান অটিজম সনাক্তরকরণের একটা উপায় যখন রোগটা বিস্তারের একেবারে শুরুর দিকে থাকে।
অটিজমের থেকে এনএফওয়ান সনাক্ত করাও সহজতর কেননা কেবলমাত্র একটা জিনের মিউটেশানের মাধ্যমেই এই লক্ষণের বিকাশ দেখা যায়। আগে থেকে বোঝা গেলে গবেষকরা কিংবা ডাক্তাররা অনেক আগে থেকেই এই এনএফওয়ান আক্রান্ত জিনটিকে মিউটেট করে ফেলতে পারেন।
জোনস আর তাঁর সহকর্মীরা ৩০ জন শিশুর মধ্যে গবেষণা চালান যাদের মধ্যে এনএফওয়ান লক্ষণে আক্রান্ত দশ মাস বয়সী ৬ জন মেয়ে ও ৪ জন ছেলে রয়েছে। তারা মূলত উক্ত শিশুদের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা, যোগাযোগ ও ভাষাগত দক্ষতা, অটিজমের লক্ষণ সম্পর্কে গুরুত্ব প্রদান করেন। এসব বিষয় থেকে পাওয়া তথ্য তারা আরও আলাদা ২৩৮টা স্বাভাবিক শিশুর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের সাথে তুলনা করে দেখেন।
যেসব শিশুদের এনএফওয়ান আছে তারা যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে দেরী করে, যেমন খেলনা ধরা বা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে সাড়া প্রদান না করা, কোন বস্তু হাত দিয়ে ধরতে না পারা, বসে থাকা অবস্থান থেকে দাঁড়াতে না পারা ইত্যাদি – যা সাধারণ অন্যান্য দশ মাস বয়সী স্বাভাবিক শিশুরা করতে পারে। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে “মলিক্যুলার অটিজম” এ। এনএফওয়ানে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে সময়ের অনেক আগেই এই ভাষাগত সমস্যার কথা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ওয়েদারহল ইন্সটিটিউটের মলিক্যুলার মেডিসিনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অ্যানি গোরিয়েলির মতে এসব গবেষণালব্ধ ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আগে থেকে অটিজমে আক্রান্ত শিশু সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে। আগে থেকে জানা গেলে উক্ত শিশুদের পরিবারও ছোটকাল থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে এই রোগ মোকাবিলা করার জন্য।
অটিজম চিকিৎসা এর জন্য কোথায় যাবেন?
সঠিক টেস্ট, চিকিৎসা, থেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুদের ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ জীবন আচরণ স্বাভাবিক গন্ডির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব। বর্তমানে দেশের অনেক শিশুই অটিস্টিক হওয়া সত্তেও স্বাভাবিক জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে। এই জন্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে নিউরোজেন। আমাদের আছে দেশের সেরা থেরাপিস্ট, জেনেটিক এক্সপার্ট এবং কাউন্সিলর। তারা আপনার শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
Source
Plagiarism is the copying & pasting of others work without giving credit to the original author or artist. Plagiarized posts are considered spam.
Spam is discouraged by the community, and may result in action from the cheetah bot.
More information and tips on sharing content.
If you believe this comment is in error, please contact us in #disputes on Discord
You got a 4.78% upvote from @bdvoter courtesy of @maniksarker!
Delegate your SP to us at @bdvoter and earn daily 100% profit share for your delegation & rewards will be distributed automatically daily.
500 SP, 1000 SP, 2500 SP, 5000 SP, 10000 SP.
If you are from Bangladesh and looking for community support, Join BDCommunity Discord Server & If you want to support our service, please set your witness proxy to BDCommunity.
দোস্ত কি অটিজম শিশু নিয়ে কাজ করো নাকি.............