বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে অমর একুশে বই মেলাতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব৷
.....এবার একটা স্টল থেকে জিগাস করলাম গার্ডিয়ান পাবলিকেশনের স্টলটা কোথায়। তারা আমাকে ডিরেকশনটা বলে দিল। কিছু দূর সামনেই স্টলটা পাওয়া যায়বে। গার্ডিয়ান পাবলিকেশনে ইসলামিক বিভিন্ন বই প্রকাশ করে লেখকরা৷ তাদের মধ্যে বাংলাদের একজন নামকরা বড় স্কোলার মিজানুর রহমান আজহারি। দেশ বিদেশের মানুষ সবাই তাকে চিনেন। তার লেখা দুইটা বই আছে, প্রথমটার নাম ম্যাসেজ এবং দ্বিতীয়টা আহ্বান। প্রথম বইটা অনেক আগেই কিনেছিলাম। এবার ভাবলাম বই মেলাতে যেহেতু এসেছি দ্বিতীয় বইটাও নিয়ে যায়। একমাত্র গার্ডিয়ান পাবলিকেশন থেকে বইটা বাংলাদেশে প্রকাশ পেয়েছে বাংলায়। অনেক কষ্টে স্টল গুলোর নাম পড়তে পড়তে খুজে পেলাম সেই গার্ডিয়ান পাবলিকেশন৷ সামনে গিয়ে দেখি প্রচন্ড ভীর।
আমি একটু অপেক্ষা করলাম যাতে ভীর কমে। কিন্তু কেমার কোনো কথায় যেন, নাই৷ কি আর করব, ভীরের মধ্যেই মানুষকে ঢেলে সামনে গেলাম, তারপর আহ্বান বইটার নাম বলতেই তারা আমাকে বের করে দিল। আমি বইটা দেখে দাম জিগাসা করলাম। তিনি ২০% ছাড় দিয়ে ২৬০ টাকা মূল্য বললেন। আমি বললাম আর একটু কমানো যায় না। তারা জানালো বই মেলা উপলক্ষ্যে ২০% ছাড় দেওয়া হয়েছে, এমনিতে ১০% ছাড় থাকে। কি আর করার নিতে যেহেতু হবে তার আর বিলম্ব না করে নিয়ে নিলাম।
প্রথমবার বই মেলাতে এসে প্রথম বই কেনার মধ্যে যেন আলাদা ধরনের অনুভূতি, ভালো লাগা কাজ করে যা বলে বেঝানোর মতো না৷ বইটা কেনার পর দাম পরিশোধ করতেই তারা একটা ব্যাগের মধ্যে বইটা দিয়ে দিল। এরপর আমরা সেখান থেকে বের হলাম। এরপর কিছু ফটোতুলে নিলাম।😁😁 আসলে বইমেলাতে প্রথমবার গেছি আর ছবি তুলব না, তা তো হয় না৷ আমার বন্ধুরা যদিও জিগাচ্ছিল আমি এতো ছবি তুলে কি করব৷ যদিও আমি কোথা গুলো হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর একটা পাবলিকেশনের নাম দেখে একটু হেসেছিলাম। নাম ক্যারিয়ার পাবলিকেশন. যেখানে নিজের জীবন নিয়ে হতাশা ক্যারিয়ার কোথায় গিয়ে দাড়াবে সেটা জানি না,তার উপর আবার ক্যারিয়ার পাবলিকেশন।
যাই হোক, স্টলগুলো ঘুরে আর সারাদিনের ক্লান্তিতে অনেক খুদা লাগছিল। তাই আর বিরম্বনা না করে চলে গেলাম খাবারের দোকানগুলোর দিকে। অনেকগুলো দোকান দেখলাম কিন্তু পরিবেশ আর দাম দেখে খেতে মন চাইল না৷ পরে বন্ধুদের সাথে নুডুলস কিনে নিয়ে আসলাম যদিও দামটা বেশি ছিল। কিন্তু কি আর করার খেতে হবে তো আর কি খাওয়া শুরু।
খাবারের দোকানগুলোর সামনেই অনেকটা জাগা জুরে পুকুরের মতো পানি রাখা এবং সামনে একটা বড় টাওয়ার মতো তৈরি করা। আসলে এটা কিসের জন্য তৈরি করেছে আমি সেটা জানি না। তবে রাতে সাদা লাইটিং করার জন্য দেখতে অনেক ভালো লাগতেছিল।
এরপর আমরা হাঁটতে হাটতে মেইন গেটের দিকে চলে আসতে লাগলাম। আসলে ইচ্ছা থাকলেও আর বেশি ঘুরা হবে না, কারণ অনেক রাত হয়ে যাচ্ছিল। চলবে........