আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সকলে অনেক অনেক বেশি ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে ভাজা কৈ মাছে কচুর পাতার ভর্তা। আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। চলুন দেখে নিন এই মজাদার ভর্তাটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ লাগে।
উপকরণ -
১.কচুর পাতা,
২.কৈ মাছ,
৩.সরিষার তৈল,
৪.লবণ,
৫.হলুদ,
৬.মরিচের গুড়ি,
৭.রসুন বাটা,
৮.পেঁয়াজ বাটা,
১০.রসুনের কোয়ার,
১১.কাঁচা মরিচ,
১২.পেঁয়াজ কুচি,
১৩.জিরা বাটা,
১৪.ধইনার ঘড়ি,
১৫.আদা বাটা,
প্রস্তুত প্রণালী -
আগে থেকে আমি চারটা কৈ মাছ ভেজে নিয়েছি। এরপরে চুলায় একটা কড়াই দিয়েছি। মরিচ বাটা, পেঁয়াজ বাটা,, রসুন বাটা আদা বাটা দিয়েছি প্রায় ২ টেবিল চামচ। হাফ টেবিল চামচ ধইনার গুড়ি, হাফ টেবিল চামচ জিরার গুড়ি,পরিমাণ মতো লবণ, পরিমাণ মতন হলুদ, তিন টেবিল চামচ সরিষার তৈল । এবার সবকিছুকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিব। আগে থেকে যে কই মাছগুলো ভেজে রেখেছিলাম সেগুলোকে এর মাঝে দিয়ে মাখিয়ে দুই মিনিটের জন্য রেখে দিব। এবারে আমি কিছু কচুর পাতা নিয়েছি আর খুব ভালো করে ধুয়ে। এবার একটা একটা পাতা দিয়ে মাছ আর মসলা গুলো ঢেকে দিচ্ছি। সব পাতাগুলো যে পর্যায়ে দেওয়া হয়ে গেছে, একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছি। এবার চুলা জালটা হাই হিটে দিয়ে দিয়েছি। দুই মিনিট জাল করার পর চুলার জালটা লোতে এনেছি। এখন কয়েকটা কাঁচা মরিচ, আর চার কোয়ার রসুন দিয়ে দিয়েছি। পাঁচ মিনিট জাল করে নিব। এরই মাঝে খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার ভর্তাটা করে নেবার পালা। এখন আমি কাঁচামরিচ আর রসুনগুলো তুলে নিচ্ছি। তারপর একটা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে, হাত দিয়ে ভালো করে ডলে নিব। এখন কচুর পাতা টা তুলে ভালো করে হাত দিয়ে ভর্তা করে নিচ্ছি। এভাবেই তৈরি করে নিলাম ভাজা করি মাছে কচুর পাতা ভর্তা। গরম ভাতে খেতে কিন্তু ভীষণ মজার হায় এই ভর্তাটা। আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
এতক্ষণ যারা আমার এই রেসিপিটি দেখেছেন তাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি, আসসালামু আলাইকুম।
▶️ 3Speak