জীবন একটা গতিশীল সমুদ্রের মত.. সময় হল উত্তাল তরঙ্গ.. একটার পর একটা আসতে থাকে.. শেষ হয় না! কখনো ধীর-স্থিরভাবে আসে.. আবার কখনো ধাবমান ঢেউয়ের ঝাপটায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় আমাদের চারপাশ..
কোথায় যেন শুনেছিলাম.. life is nothing but struggle for existence.. আসলে আমাদের প্রতিটি মুহূর্তই সংগ্রাম..
আমি একবার মাছ ধরা নৌকায় করে দুই দিনের জন্য সমুদ্রে চলে গিয়েছিলাম জেলেদের সাথে.. সেখানে আমি দেখেছি- তারা প্রতিটি মুহূর্ত সতর্কতার সাথে তাদের কাজ করে যায়.. ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকা দুলে ওঠে.. তারা ভয় পায় না.. বরং বুক চিতিয়ে ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাছ ধরতে থাকে। যদি তারা ভয় পেত.. তাহলে কখনো মাছ ধরা হতো না.. তাদের জীবিকা নির্বাহ হতো না।
ঠিক আমাদের জীবনটা এরকম.. অনেক সংগ্রাম, অনেক বাধা, অনেক সমস্যা.. এগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদেরকে মাছ ধরতে হয়.. আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করতে হয়.. আমরা যদি সেই সংগ্রাম বাধা এবং সমস্যাগুলোকে ভয় পাই.. এবং থমকে যাই.. তাহলে কখনো সফলতা আসবে না।
একটা গান আমি প্রায়ই শুনতাম.. ইদানিংকালে গান খুব কম শোনা হয়.. তবে এখনো গুনগুনিয়ে গানটা প্রায়ই গাই.. এই গানটাকে আমার মানব জীবনের একটা প্রতিচ্ছবি মনে হয়.. সেটি হল- তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে
আমরা ক’জন.. নবীন মাঝি
হাল ধরেছি, শক্ত করে রে..
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে।
.
জীবন কাটে যুদ্ধ করে
প্রাণের মায়া সাঙ্গ করে
জীবনের স্বাদ নাহি পাই.. ও ও ও..
ঘরবাড়ির ঠিকানা নাই,
দিন-রাত্রি জানা নাই,
চলার সীমানা সঠিক নাই..
জানি শুধু চলতে হবে
এ তরী বাইতে হবে
আমি যে সাগর মাঝি রে..
.
জীবনের রঙে মনকে টানে না
ফুলের ওই গন্ধ কেমন জানি না
জোছনার দৃশ্য চোখে পড়ে না.. না না না..
তারাও তো ভুলে কভু ডাকে না..
বৈশাখের ওই রুদ্র ঝড়ে
আকাশ যখন ভেঙ্গে পড়ে’
ছেঁড়া পাল আরো ছিঁড়ে যায়..
.
হাতছানি দেয় বিদ্যুৎ আমায়
হঠাত কে যে শঙ্খ শোনায়
দেখি ওই ভোরের পাখি গায়..
তবু তরী বাইতে হবে
খেয়া পাড়ি দিতেই হবে
যতই ঝড় উঠুক সাগরে..
তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর
পাড়ি দেবো রে..
(মূল সংগীত ও সুরকারঃ আপেল মাহমুদ)
এই গানটির থিমকে উপজীব্য করে একটা ছবি আঁকার চেষ্টা করলাম.. বরাবরের মতো এবারও জলরঙে.. তবে এবার চেষ্টা করেছি একটু ভিন্নভাবে.. একেবারে কম তুলির আঁচড়ে ছবি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। এবারের ছবির শিরোনাম দিলাম: তীর হারা ঢেউ
অংকন উপকরণ:
- তুলি (ফ্ল্যাট ৮ নং)
- জলরঙ
- কার্টিজ পেপার (২০০ জিএসএম)
- পেপার হল্ডিং বোর্ড
ধারাবাহিক অংকন পদ্ধতি:
ছবিটি আঁকার বিভিন্ন সময়ে ধারণকৃত ছবি নিচে ধারাবাহিক ভাবে দেওয়া হল, যা দেখলে আশা করি ছবিটি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন..
আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
আমি কাব্য, কর্মের সন্ধানে নিয়োজিত এক স্বপ্নবাজ তরুণ। মূলত কবিতা লিখতে ভালোবাসি। দীর্ঘদিন ধরে কাব্যচর্চা করছি। পাশাপাশি সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও বিচরণ করি। পড়তে ভালো লাগে। ছবি আঁকি মনের আনন্দে।
লিখার সাথে সাথে অংকনের হাতটাও তো খুব ই ভালো। সুন্দর একেছেন ভাই।
উপরের কথাটার উওরে বলবো গোল ত প্রয়োজনই একটা,এবং লক্ষ্যটিও রাখতে হবে অটুট যাতে লক্ষ্যব্রষ্ট না হয়ে যায়।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। তবে বানান বিভ্রাট বেশি ছিল।
Congratulations @bdkabbo! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!