Credit: https://www.freepik.com/free-photos-vectors/rain-water
আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। বৃষ্টির দিন কার কেমন লাগে সেটা আমি জানি না, তবে আমি বৃষ্টি অনেক ভালবাসি। বৃষ্টির প্রতি ভালোবাসাটা আমার হুট করে জন্মায়নি। ছোটবেলা থেকেই বৃষ্টি আমার ভালো লাগে। যখন ছোটবেলায় আমি স্কুলে পড়তাম, তখন যদি কোনদিন ঘুম থেকে উঠে দেখতাম, বাইরে বৃষ্টি পড়ছে তাহলে আমার আনন্দের সীমা থাকত না। কারণ আমি ভালোমতোই বুঝে যেতাম যে সেদিন আমার স্কুলে যেতে হবে না। আবার যদি কখনো স্কুলে যাওয়ার পরেও বৃষ্টি আসে সেটাও অনেক আনন্দময় হতো। কারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম জন্য কোন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে আসতেন না। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতো না এবং যে গুটি কতক আসতো তারা ক্লাসের কোনায় বসে একে অপরের সাথে গল্প করত। আমি আমার প্রিয় বন্ধুদের সাথে কোন এক জানালার কোনায় বসে গল্পে মেতে উঠতাম। নানা ধরনের গান হাসির কথাবার্তা ইত্যাদি।
কিন্তু, এখন ওই বৃষ্টি মুখর দিনগুলোতে চাইলেও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এখন আমি কলেজ শিক্ষার্থী। স্কুলের সোনালি দিনগুলোকে মিস করেনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া হয়তো বিরল। বিশেষ করে আমি আমার স্কুল বন্ধুদের সাথে কাটানো ওই রঙিন মুহূর্তগুলো অনেক মিস করি। একটি বৃষ্টিমুখর দিনে একসাথে বসে গল্প করার মুহূর্তগুলো খুব প্রচন্ডভাবে মিস করি। হুট করেই কোন এক বৃষ্টি ভেজা দিনে জানালার ধারে বসে থাকতে থাকতে মনে পড়ে যায় সেই স্কুলের বৃষ্টি ভেজা শৈশব দিনগুলোর কথা। তখন বৃষ্টি সারাদিনব্যাপী হতো। স্কুল থেকে ফেরার সময় বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে গায়ে ময়লা মেখে বাড়িতে ফেরার পর মায়ের হাতের বকুনি মিস করি। এখনো দিনে জানালার ধারে বসে আনমনে হারিয়ে যাই সেই সব দিনে। বৃষ্টির টুপ টুপ শব্দের সাথে সাথে মনের ভিতরে এক ধরনের ডুগ ডুগ শব্দ বাজে। চাইলেও সেইসব দিনে ফিরে যাওয়া আর সম্ভব নয়।
এখনো বড় হওয়ার পরেও আমার সাথে বৃষ্টির ভালোবাসা সেই একই রকমই রয়ে গেছে। বৃষ্টির কোন একদিন জানালার পাশে বসে আগে উপন্যাস কিনবা কবিতার বই পড়তাম। কিন্তু এখন একটা জিনিস অল্প একটু বদলে গেছে, যদি এখন কোন বই পড়ি তাহলে তা হয় কোন একটা একাডেমিক বই। আগে যেমন কোন উপন্যাস বা কবিতা পড়তাম এখম আর পড়া হয় না। কারণ, এখন অনেক বড় হয়ে গিয়েছি।
আশা করছি লেখাটি আপনারা পছন্দ করেছেন। আপনাদের মন্তব্য জানাবেন।
বিদায় নিচ্ছি আজকে। ভাল থাকবেন সবাই।