সুহৃদ,
অবাক হয়ে উপলব্ধি করলাম, এখনো তুমি আমার কাছে আগের মতই অনুভূতো হও।
আজো তোমার মুখোমুখি হলেই, কেবলই ধরা পড়ে যাওয়া চোরের মত আমি একা একাই লজ্জিত, রঞ্জিত হই।
তখন আমার মনেই থাকেনা, তুমি জানোনা আমার অনুভূতির রঙ কেমন, চেনোনা আমার ভালবাসাকে। তাই আন্দাজও করতে পারোনা আমার লজ্জায় বিব্রত অভিব্যক্তিদের।
এই যে এতবছর পর যখন আচানক তোমার মুখোমুখি হলাম, আমি সেই আগের মতোই বিব্রত, লজ্জিত, রঞ্জিত ছিলাম।
সে মুহুর্তে আমার মনেই ছিলোনা, আমি মধ্য তিরিশ পেরিয়ে সংসার নিয়ে সুখী হওয়া এক রমণী। আমি যেনো দেখতেই পাচ্ছিলাম না টকটকে সিঁদুর পরে তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরেক রমণী!
সর্বোপরি আমি আবারো ভুলেই গিয়েছিলাম, তোমাকে আমার বলাই হয়নি আমার সে সুতীব্র অনুরাগের কথা।
তাই তুমি যখন হেসে বললে " আরে রাই! কেমন আছো?"
সেই চিরাচরিত হাসি দেখে, সেই হাস্যজ্জ্বোল মুখে বহুদিনের হারিয়ে যাওয়া নামটা শুনে, আমার যত কেতাদুরস্ত ভাব, চটপটে অভিব্যক্তি, প্রাঞ্জল বাগ্মীতা; সব কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো এক নিমিষেই!
আমি এমনকি পাল্টা কুশল জিজ্ঞাস করতেও ভুলে গিয়েছিলাম!
ভেবে এখন মরমে মরে যাই।
কী ভাবলে বলোতো তুমি! কেবলই মনে হচ্ছে নাক উঁচু, ঔদ্ধত্যে ভরা অবজ্ঞা ভেবে মনে কষ্ট পেলে কিনা! সম্ভবত এই অপরাধবোধ থেকেই তোমাকে আজ লিখতে বসা।
কি জানোতো, তোমাকে ভালবাসার কথা আমার কদাপি ছিলোনা।
আমার যাকে ভালবাসার কথা ছিলো, তোমার মাঝে তার কিছুই ছিলো না। অথচ দুষ্টুমির ছলে কখন ভালবাসা হয়ে গেলো টেরই পেলাম না।
টের পেলাম যখন, বড্ডো দেরি করে ফেলেছি তখন! তবে মজার ব্যাপার হলো, তোমাকে ভালবেসে কেমন শান্তি লাগে।
অনেকটা যেনো ভালবাসাটা "সুপাত্রে দান" করা হলো ব্যাপার!
যদিও মাঝে মাঝে বুকটা চিনচিন করে উঠে অপ্রাপ্তির বেদনায়।
কিন্তু তবুও, তোমাকে ভালবেসেই আমি ভীষণ সুখী অনিরুদ্ধ।
যখন বয়স কম ছিলো, কল্পনার ফানুসে যখন ইচ্ছেমত তোমাকে জড়ানোর অধিকার ছিলো, তখন আমি তোমার রাই কিশোরী হবো ভাবার পাপও করেছি জানো!
চুপিসারে সিঁথি জুড়ে টকটকে লাল সিঁদুর, কপালে বড় লালটিপ পরে আয়নায় দেখতাম!
বান্ধবীরা তা জেনে জাত-গেলো, কূল-গেলো বলে সে কি ধিক্কার আমাকে!
স্রষ্টার উপর খুব অভিমান করে বলেছিলাম,
"দুনিয়াজুড়ে কিনা তোমার ইনাকেই মিললো আমার এত সাধের ভালবাসার অর্ঘ্যের জন্য? কেনো বাপু ? সারাজীবন এই অপ্রাপ্তি নিয়ে থাকবো কি করে বলো দিকি!"
কিন্তু এই দেখো, দিব্যি থেকে যাচ্ছি। কেটে যাচ্ছে দিন, মাস, বছর।
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে তারপর থেকে ভাবা ছেড়ে দিয়েছিলাম বলেই বুঝি জীবন কেটেই যাচ্ছে তার নিয়মে।
বলতে চাচ্ছি- তোমাকে ভালবাসতে পেরে আমি কতটা সুখী।
তপ্ত রোদে দাঁড়িয়ে তোমার হাসি দেখে আমি সুখী।
তোমার পাশে সিঁদুর পরিহিতা রমণীকে দেখেও আমি অসুখী নই।
আমি সেদিন জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম খুব করে, "আমার চোখে কি কখনো ভালবাসা দেখেছো? দেখে কি দেবতার মত অহংকারী হয়েছো নাকি অবাক হয়েছো? নাকি কিঞ্চিৎ মায়া লেগেছে তোমার দস্যি স্নেহেশীষের ছেলেমানুষীর প্রতি!
চিঠি বড্ড ষড়যন্ত্রকারী এক ফাঁদ। এই ফাঁদে পড়ে নানান দোচাটনে পড়ে অবশেষে লিখেই ফেললাম। বহুদিনের পোড়াতে থাকা অব্যক্ততা উজাড় করে ঢেলে দিলাম। আশা করি অনাহূত এ অর্ঘ্য তোমায় খুব বেশী বিপদে ফেলবেনা!
গ্রহণের আশা বা নিগ্রহের ব্যর্থতা আমাকে আর ছোঁবেনা অনিরুদ্ধ। তাই এ নিয়ে ভেবোনা। #RaiAnirudhha
তুমি ভালো থেকো। আমার ভালো থাকায়ও কোনো অসুবিধে হয়না।
ইতি,
রাই-কিশোরী
Where is the picture from? Your shot?
Yes
impressive
the desk, the diary, the fountain pen, the miniature gramaphone....
is that your writing desk?
Thank you! 😅
You can say that.
Because I move around a lot, I don’t by furniture. So that small folding table is my desk when I need to write.!
মর্মস্পর্শী চিঠি। রাইকিশোরী সময়মত মনের দুয়ার খুলে সব বলে ফেললে হয়তো এই দূরত্ব সৃষ্টি হতো না। পুরুষেরা মোটামুটি ক্লু-লেস, এইটা ধরে নেয়া সবসময় সেইফ বেইট।
সুন্দর লেখা, মৌ, বাংলার উপর তোমার মত পড়ুয়ার কড়া দখল অবশ্য খুব অবাককর নয়। :)
মনের দুয়ার খুললেই যে দূরত্ব সৃষ্টি হতো কে বলেছে!
আবার দুয়ার খোলাটাও অত সোজা যে নয়, সেতো তুমিও জানো!
"পুরুষরা-ক্লুলেস" আমার কিছু অপ্রিয় বাক্যের একটা। এবং এটা একটা খোঁড়া যুক্তি ও ভ্রান্ত ধারণা। যেমনটা "পুরুরষদের কাঁদতে নেই" ব্যাপারটা।
ধন্যবাদ মনামি, সময় নিয়ে পড়ে অভিব্যক্তি জ্ঞাপনের জন্য। এতটাও আহামরি নই তোমার বা সাকিবের মতো! টুকটাক আরকি হচ্ছে। আমার তোলা ছবিটা আর সেই ছবির পেছনে ব্যয় করা আয়োজন কেমন হয়েছে তা বললেনা!
ছবি সুন্দর হয়েছে, কিন্তু লেখা এত সুন্দর, ছবির দিকে নজর দিতে পারিনি :P
পুরুষদের কাঁদতে নেই — এইটা সোশাল কন্ডিশনিং এবং একদমই ট্রু না। পুরুষেরা কাঁদে বটে, কিন্তু আড়ালে।
আবার পুরুষরা ক্লুলেস এইটা যতটা না সোশাল সমস্যা, অনেকখানিই ন্যাচারাল ও মনস্তাত্বিক। প্রকৃতিতে আরো প্রচুর প্রজাতির পুরুষদের ভেতর সেম জিনিস দেখা যায়। বত্ব,
তোমার এই দ্বীপ্ত নিশ্চিত বলিষ্ঠ কণ্ঠরে কাউন্টার দিবো তোমারই বলা লাইন দিয়ে,
হয় মাইনা লও নারী না হইয়াও আমি নারীর মনের খবর জানতে পারি, নয়ত মাইনা লও তুমি পুরুষের মনে কী আছে এইটা পুরুষ না হইয়া জানতে পারবা না। 😄🤣
আচ্ছা। মানিয়া লইলাম
"তোমার বেখেয়ালি আঙুলের ছোঁয়া! মনে হয়েছিলো বিদ্যুৎ ছুঁয়েছি।"
হৃদয়স্পর্শী চিঠি, আপনার মত বাংলায় দখল না থাকার কারণে হয়তো অনেক চিঠির ভাঁজ পর্যন্ত খোলা হয় নিই। অপ্রকাশিত রয়ে আছে। অন্তরে দানা বেধে এপাশ ওপাশ করছে।
আমারই বা কী আহামরি দখল আছে!
এক কাজ করুন না কেনো! আমাকে লিখে পাঠান আনাড়ি হাতের লেখা হলেও।
আমি খানিকটা সাহিত্যের আঁচড় দেবার চেষ্টা করে দেখলাম না হয়!
হামরা ধামরা যুবক হলেও আমি এইসবে একদম নাদান বাচ্চা। এতোদিনে বুঝলাম মা গাধা আর গরু এমনেই বলে না। আপনাদের শব্দ ভান্ডারের দখলদারিত্ব দেখে আমি হাত পা গুটিয়ে এখন ভাবতে থাকি কিতার মধ্যে সময় ঢাললাম এতোদিন🤣
Damnn.. How do you do that? :v
You must be honest with me. Like give me proper criticism if required.
You folks want me improve right!
You just got me speechless here, there are some words that I don't even know the meaning off :v which made me feel illiterate :3
P.S: Didn't expect it to be romance based, but damn the raw emotions you portrayed :v Just... damn.
লেখা সার্থক তাইলে।
I am looking forward to the 3rd of this, of how you like it 😶
huhh.. Now you got me intrigued :v what's in part 3?? :v
umm...no just if this part was a bit enjoyable to you, 3rd part will be a delicious I assumed. Coz to me 3rd part is my masterpiece as an execution!😶
But of course, it might not be either.
So don't feel burdened if it doesn't seem that good. You guys gotta criticize me for better.
Yoo you write what you wanna write :') but do fulfil my request :v