প্রতিবছর দুই ঈদ মুসলমানদের প্রানের উৎসব। আর কুরবানী ঈদে যেনো ঈদের মজাটা একটু অন্যরকম হয়।
আজ ২১ শে জুলাই অর্থাৎ আরবি মাস হিসেবে ১০ জিলহজ্জ। এই দিনটা সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলামনদের জন্য কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব।
প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কুরবানী দেওয়ার জন্য গরু ক্রয় করছিলাম। আমার মামা এবং বাবা মিলে প্রতিবারে আমরা একসাথে কুরবানী দেই। কুরবানী দেওয়ার জন্য গরু অনেক আগেই আমরা ক্রয় করে রেখেছিলাম।আজ নামাজের পর গরু নিয়ে আমি এবং আমার মামাতো ভাই কুরবানী দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
আমাদের এলাকায় আমরা সবাই এক বড়ো মাঠে একএে কুরবানী দেই। যখন কুরবানী দেই তখন গরুর চোখের দিকে তাকালে যেনো এক অদ্ভুত মায়া হয়,হয়তোবা গরুর না বলা কিছু কথার মাঝেই অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে এই দৃষ্টিতে।
আল্লাহ তাআলা এই জন্যেই এই কুরবানীর মাঝে হয়তো এতো নেয়ামত রেখেছেন,নিজের পছন্দের জিনিসটাকে বিলিয়ে দিয়েই তো আল্লাহর কাছে কুরবানী করতে হয়। আল্লাহ তা'আলা কুরবানী মাংস চাননা,চান কুরবানী দাতার তাকওয়া,যার জন্য তাকওয়া সঠিকে তার কুরবানীয় কবুল।
আমরা গরু জবাই করে গোস্ত কাটা শুরু করলাম,কুরবানী মাংস কাটতে সাহায্য করার জন্য কাসিনরা সবাই ছিলেন। একদিনের জন্য যেনো সবাইকে কাসায় সাজতে হয় আর এই কুরবানীর মাংস কাটার মাঝেই যেনো কুরবানী দেওয়ার কিছুটা আনন্দ অনুভব করা যায়।
সবাই মিলে কুরবানী কাটা শেষ করে দুপুরের পর বাসা এসে সেগুলোকে তিনভাগ করতে হলো, একভাগ আত্মীয়দের মাঝে দেওয়ার দায়িত্ব পড়লো আমার মাঝে।
সবমিলে কুরবানী এর মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষ এক হতে পারে,সবার মাঝে হাসি ফুটে উঠে, সব বৈষম্য দূর হয় এটাই কুরবানীর সৌন্দর্।