আসলামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন।
বিজ্ঞান আমাদের এই জীবনে অনেক কিছুর পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।অনেক অজানা,সুক্ষ বিষয়কে আমরা বিজ্ঞানের সাহায্যে এখন অনেক বিস্তারিতভাবে জানতে পারি।আমাদের সামনে ঘটে যাওয়া অনেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখা বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি।আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের সাথে নিত্যদিন ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় নিয়ে কথ বলবো যেগুলো আমাদের কাছে আগে ক্লিয়ার ছিলোনা।
১. মেঘ আকাশে ওড়ে কেন? Image source
=মেঘ অত্যান্ত হালকা তাই হাওয়ায় ভেসে চলে।হাওয়ার বেগ যেদিকে থাকে মেঘও সে দিকে ওড়ে।গ্রীষ্মকালে বাতাস দক্ষিন থেকে বয়ে যায় বলে মেঘকে উওরে ভেসে যেতে দেখা যায়।আর শীতকালে উওর থেকে বাতাস বয় বলে মেঘ দক্ষিনে উড়ে যায়।
২.প্লেন আকাশে উড়ে গেলে মাটিতে ছায়া পড়ে না কেনো?Image Source
= কারন,সূর্যের আলো চারদিক ছড়িয়ে পড়ে,প্লেন অস্বচ্ছ বস্তু।তাই পৃথিবীর উপরের অংশ পর্দার কাজ করে।প্লেন মাটির অনেক উপরে থকায় এর গতি প্রচ্ছায়া শঙ্কু মাটি স্পর্শ করতে পারেনা।তাই ছায়া পড়েনা।কিন্তু নিচু দিয়ে উড়লে ছায়া পড়ে।
৩.শীতকালে ঠোঁট ফাটে কেন?
= শীতকালে বায়ুমন্ডুল শুকনো থাকে অর্থাৎ বায়ুমন্ডলে জলীয় বাষ্প কম থাকে।ফলে বায়ুমন্ডল যে কোনো জায়গা থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করার চেষ্টা করে।দেহের অনাবৃত অংশ যেহেতু ঠোঁট তাই সেখান থেকে বায়ুমন্ডল যখন জলীয় অংশ টেনে নেয় তখন ঠোঁট ফাটে।
৪.পাখি গাছের ডালে ঘুমালেও পড়ে যায় না কেনো?Image Source
==পাখি গাছের ডালে বসে ঘুমিয়ে থাকলেও পড়ে যায়না।কারন পাখির পায়ের মাংসপেশি বিশেষভাবে তৈরি।বসে থাকার সময় মাংশপেশীর টানে পাখির আঙ্গুল জুড়ে যায়।নিজে থেকে না খুললে তা খোলে না,শিকলের মতোই তা গাছের ডালে আঁকড়ে থাকে।
৫.আমাদের হাঁচি হয় কেনো?Image Source
==আমাদের নাকের স্নায়ুকেন্দ্রগুলো অতি সুক্ষ।শরীরের পক্ষে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ নাকের মধ্য দিয়ে শরীরে ঢোকার চেষ্টা করলেই স্নায়ুতন্ত্রে তা বাধাপ্রাপ্ত হয়।এর ফলেই হাঁচি হতে থাকে।
৬.অনেকক্ষন পা গুটিয়ে থাকলে পা ঝিন ঝিন করে কেনো?
==অনেক্ষন পা গুটিয়ে থাকলে পায়ের উপর সমস্ত দেহের চাপ পড়ে।চাপের ফলে স্নায়ুর কাজ কিছুক্ষন বন্ধ হয়ে যায়।কিন্তু স্নায়ু চায় কাজ সম্পুন্ন করতে।হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় তারা ছটপট করতে শুরু করে।আর এটাই ঝিন ঝিন ভান আনে।
৭.গরমের দিনে কুকুর জিহ্বা বের করে হাফায় কেনো?Image source
==কুকুরের শরীরে ঘাম হয়না।তাই গ্রীষ্মকালে কুকুরের জিহ্বা থেকে পানি বাষ্পীভূত হওয়ায় জিভ থেকেই তারা প্রয়োজনীয় লীন তাপ নেয়।এ কারনেই তারা গরমের দিনে জিভ বের করে হাঁফায়।
৮.দুধে সর পড়ে কেন?
==দুধে মাঘন জাতীয় স্নেহপদার্থ থাকে।যে তাপ দেওয়া হয় বা দুধ ফোটানো হয়,অমনি খানিকটা মাঘন আলাদা হয়ে যায়।মাঘন দুধের থেকে হালকা আর যা হালকা তা থাকবে ওপরে।তাই স্নেহ জাতীয় পদার্থ মাঘন ভাসে দুধে।আর যেই দুধ ঠান্ডা হয়,তখনই স্নেহ জাতীয় মাঘন সরের চেহারা নেয়।আমরা দেখি দুধের ওপর সর পড়েছে।
৯.নাক ডাকে কেনো?Image Source
==ঘুমিয়ে পড়ার পর শ্বাস-প্রশ্বাসের বাধা থেকেই নাক ডাকা শুরু হয়। অপেক্ষাকৃত স্থুলকায় ব্যাক্তি,যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, তারাই এই সমস্যায় বেশি ভোগে।
১০.নৌকা থেকে লাফিয়ে নামতে গেকলে নৌকাটা পেছনে সরে যায় কেনো?
==নৌকা থেকে লাফিয়ে নামতে গেলে নৌকা পেছনে সরে যায়।কারন,গোড়ায় নৌকা এবং যাএীর ভরবেগ শূন্য থাকে।কিন্তু নামতে গেলেই তার তার আর নৌকার ভরবেগ সমান ও বিপরীতমুখী হয়।
[উৎস]--- (বিজ্ঞান কি বলে) বই থেকে
#Writter_খায়রুল আলম মনির
এ দুটো লাইন দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?
vai kindly akn dakhen
এইভাবে কোন একটা বই থেকে লিখাগুলো তুলে দিয়ে বই এবং লেখক এর নাম দিয়ে দিলেই হবেনা। এইখানে আপনার নিজের কন্ট্রিবিউশন কতটুকু সেটা ভেবে দেখবেন।