সবাই আমরা কোনো না কোনো ভাবে বন্ধুদের বন্ধনে জড়িত।এই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে কতো কিছুই না মজা করা হয়।এমন কোনো বন্ধুদের গ্রুপ পাওয়া যাবেনা যেই গ্রুপে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে Nickname ধরে ডাকেনা। আজ তাই আমি আমার কিছু বন্ধুর মজাদার nickname নিয়ে আলোচনা করবো।
১.পোলিও
=ওর আসল নমাটা হচ্ছে শেখ শাহরিয়ার। ওর পোলিও নামটা করার পিছনে অনেক কারন ছিলো। আগে যখন আমাদের গ্রামে পোলিও খাওয়া হতো তখন তাদের বাড়ির উঠানেই সবাইকে গিয়ে পোলিও খেতে হতো। আর ও বিকেলে যখন আমাদের সাথে আড্ডা দিতো তখন ও বলতো সে নাকি সবার থেকে বেশি পোলিও খেয়েছে।তার পোলিও খাওয়ার গল্প আমাদের সামনে চলতে বেশ কয়েকদিন। তার এই পোলিও খাওয়া গল্প শুনতে শুনতে আমরা বাধ্য হয়েই তার নাম দিয়েছি পোলিও।![IMG_20210514_181221.jpg](
২...মাছ
=অনেক হয়তো ভাবছেন মাছ আবার মানুষের নাম কেমনে হয়।আসলে যখনে একজন মানুষের আচার-আচরণ মাছের মতো হয় তখন তার নাম কি রাখা হয় সেটা জানা নেই। মাছ যেমন পানির ভিতর দিয়ে কোন শব্দ ছাড়াই চলাচল করতে পারে,তেমনি সেও মছের মতো করে নিঃশব্দেই আমাদের আড্ডা চলাকালিন সময়ে হারিয়ে যায়। তার মাছ নাম রাখার আরেকটা কারন হচ্ছে তার মাছের মতো খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস। মাছ যেমন সারাদিন পক পক করে খাওয়া করে সেও ঠিক সেই একই লেভেলের।
৩.পেটলা
==ওর আসল নামটা হচ্ছে রোমান।অনেক ভদ্র স্বভাবের একজন মানুষ।আপনি যদি তাকে সারাদিন বকাচোকা করেন তবুও আপনি তার কাছ থেকে খারাপ কথা শুনবেন না।গানপ্রিয় একজন মানুষ।আড্ডা জমিয়ে রাখতে তার গলার গানেই যথেষ্ট।আড্ডায় তার গানের মাঝেমাঝে ভুলভাল লিরিক্র আমাদের মজা দেয় আমরা যখন আগে প্রতিদিন রাতে আড্ডা দিতাম তখন যদি কেউ তাকে ফোন দিতো তবে সে বলতো সে নাকি ভাত খাচ্ছে।এই ঘটনা আমাদের সবারি সাথে কমবেশি অনেকবার করে ঘটছে।সে এতো পরিমান খাদক যে যখনি ফোন দেওয়া হয় তখনি খাওয়ার গল্প।একটা মানুষ সবসময় খাওয়া করারি গল্প শুনাই তবে তার নাম কি দেওয়া উচিত??
৪.. জেজু
=জেজু পাখির স্বভাব আছে এক ডাল থেকে আরেক ডালে খুব কম সময়ের মধ্যে চলা।তেমনি এ এমন একজন মানুষ যে খুব কম সময়ে তার ক্যারিয়ারটা বদলানোর চেষ্টা করে।এই শুনা যায় সে চাকরি করে এইতো শোনা যায় সে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে।তার স্বভাবটা হচ্ছে জেজু টাইপের মতো।
৫.স্পিকার।
আপনারা আবার তাকে সংসদের স্পিকারের মনে করিয়েন না।এই স্পিকারের সম্পর্কটা শব্দের সাথে।
ছোটবেলায় তার কানের হালকা সমস্যা ছিলো।পরে তা ঠিক হয়ে যায়।কিন্তু সমস্যা শেষ হলেও স্বভাব কিন্তু শেষ হয়নি।তাকে যদি কেউ কোনো কথা বলে আর সেটা যদি হয় হেল্পের তাহলে সেই কথা তাকে কমপক্ষে ৪ বার বলতে হবে।শুনেও না শুনার একটা ভাব থেকে তার নাম রাখা হয় স্পিকার।
৬.বকদুল
নামটা তার বক্কর হলেও কামগুলো সব চক্করের মতো। একজনের কথা আরেকজনকে বলে দিয়ে তাদের মাঝে ঝগড়া লাগানোই তার কাজ।আর তার সব চাইতে মজার দিক হলো সে যদি একবার তার গল্প শুরু করে তবে সেটা খুব সহজে শেষ হবেনা এটা নিশ্চিত। তার জীবনের কমন একটা শব্দ টাকা নাই।
তার পকেটে হাজার টাকা থাকলেও সে বন্ধুদের সাথে ৫টাকা খরচ করতে রাজি নয়।
৭.টাকলা
=চুলের যে কি মর্ম সেটা আপনার চুল না থাকলেই বুঝতে পারবেন।আমার এই বন্ধুর দিনে দিনে সব চুল শেষ হয়ে গেছে।তাই শেষে সে বাধ্য হয়ে মাথায় সবসময় টুপি পড়ে বের হয়।তার জীবনের একটাই চাওয়া চুল গজানো কোনো ঔষধ।
আরও অবেক বন্ধ আছে যাদের Nicknameলিখা হলোনা।যদিও আমি ততো সুন্দর করে নামগুলো লুখে বুঝাইতে পারলাম না।বাস্তবে যে ভাবে আমরা মজা করে একে অপরকে ডাকি সেটা লিখে বুঝাতে পারবোনা
আপনারাও জানাতে পারেন আপনার বন্ধদের কিছু হাস্যকর Nickname.
ভালো থাকবেন সবাই।