পহেলা বৈশাখ কি ইসলামের সাথে কোন বিরোধ আছে ?

in BDCommunity4 years ago

আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বছরের প্রথম দিন। আমরা বাংলাদেশীরা নানা ভাবে এই দিনটাকে পালন করে থাকি। কিন্ত এই দিন নিয়ে রয়েছে নানা মত পার্থক্য।

যেমন, বাদশা আকবরের সময় এই বাংলা সন চালু হয়। এই বাদশা আকবর আবার নতুন ধর্ম দ্বীনে ইলাহির প্রবর্তক। তাই বাদশা আকবর যেহেতু ইসলামকে বাদ দিয়ে নতুন ধর্ম চালু করে তাই তার এই বাংলা সন নিয়ে আমাদের মুসলিমদের একটা আবেগ কাজ করে। ইসলামের স্বীকৃত হিজরি সন আছে বলে এই বাংলাসন কে মানতে নারাজ। তাই অনেক মুসলিম মনে করে প্রচলিত ইংরেজি সন এর পরে যদি কোন সন কে অনুসরণ করতেই হয় তবে সেটা অবশ্যই হিজরি সন হওয়া উচিত।

শুভ-নববর্ষ.jpg

আরও একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি সেটা হল কালচার। বাংলা ভাষাভাষীর মধ্যে দুই ধর্মের লোকই বেশী, মুসলিম এর হিন্দু। তাই এখানে মুসলিমরা বাংলাসনকে তাদের মত করে করবে আর হিন্দুরা তাদের প্রচলিত নিয়মে করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কালের বিবর্তনে বিশেষ করে বাংলাদেশে মুসলিম আর হিন্দু কালচার মিশে গিয়েছে। তাই পহেলা বৈশাখ পালনে এখন এক ধরণের কালচার পরিলক্ষিত হয়। যারা ইসলাম কে বেশী প্রাধান্য দিচ্ছে তারা লক্ষ্য করেন যে, বিভিন্ন ধরণের পশুপাখির ছবি ও ত্রিমাতৃক ভাস্কর্য নিয়ে পহেলা বৈশাখকে গ্রহণ করছে যা ইসলাম সাপোর্ট করেনা। তাই এই পহেলা বৈশাখ নিয়ে আমাদের মাঝে তৈরি হয়েছে এক ধরণের উষ্ণ উত্তেজনা। অথচ এরই মাঝে আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমার আসল কালচার যেমন,

251f53dc12120a8a7688a711df417e20-5afd070a7ce2c.jpg

আমার গ্রামে চালু ছিল হালখাতার প্রচলন। যারা ব্যবসা করতেন তারা এই হালখাতা উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করতেন। আমরা দোকানের বাকি টাকা দিয়ে আসতাম আর মিষ্টি খেয়ে আসতাম। এই কালচার এখন আর তেমন একটা দেখতে পাচ্ছিনা। গ্রামাঞ্চলে এখন আর দেখা যাচ্ছেনা বৈশাখী মেলা। অনেক কমে গিয়েছে। এখন স্থান পাচ্ছে ভিনদেশী কালচার যা আমাদের সমাজের জন্য হিতকর নয়। তাই ইসলামিক মানুষ যারা আছেন তারা কিন্ত এই কারণে নড়েচড়ে বসেন।

প্রথম ছবির সোর্স
দ্বিতীয় ছবির সোর্স