আমরা পৃথিবীর মানুষ সচেতন কিংবা অবচেতন মনে হউক সবাই কোন না কোন পরম শক্তির কাছে মাথানত করি। মুসলিম, খ্রিস্টান, ইয়াহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ এইসব নামকরণের পেছনের কারণ হল এরা সবাই এক পরম শক্তির (সৃষ্টিকর্তা) কাছে মাথা নত করে।

পৃথিবীর সকল কিছুর কোন না কোন উপায় তৈরি, অর্থাৎ কেউনা কেউ সৃষ্টি করেছে। এইভাবে ক্রমান্বয়ে সৃষ্টির ধারাবাহিকতা সর্বোচ্চ আল্লাহ্ তাআলা পর্যন্ত পৌছায়। তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করছে ? এমন প্রশ্নের সমাধান শুধু মাত্র একটা বৈজ্ঞানিক সুত্রের সাহায্যে ব্যাখা করা যেতে পারে।
আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছি তারা শক্তির নিত্যতার সুত্রের কথা খুব ভাল করেই জানি। সূত্রটি হল, শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নাই। শক্তি কেবল এক রুপ থেকে অন্য রুপে স্থানান্তির হতে পারে। বিজ্ঞানের আবিষ্কার এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আজ পর্যন্ত যা আবিষ্কার হয়েছে তারমধ্য থেকে আমরা শক্তিকে পেলাম যার কোন সৃষ্টি নাই এমনকি বিনাশ ও নাই। তাহলে আল্লাহকে যদি আমার সুপার শক্তি হিসেবেই চিন্তা করি তাহলে তার সৃষ্টি ও বিনাশ থাকবেনা । সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ্ সোবহানাতালা) কি, কেমন তার বর্ণনা কোরআনে পাওয়া যায়। আমার পক্ষে হয়ত সেটা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। কিন্ত আমরা যারা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে অযথা মহাচিন্তা করি তাদেরকে বলব, তারা যেন বিজ্ঞানের এই শক্তির নিত্যতার সুত্রকে নিয়ে ভাবেন।
প্রথম যখন অবিশ্বাসীরা বলতে লাগল যে, ফেরেস্তারা যদি আলোর তৈরি হয় তাহলে তারা কাজ করে কিভাবে। তাদের কার্যক্ষমতার মূল উৎস কি ? তখন এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কখনই সহজ ছিলনা। কিন্ত এখন বিজ্ঞান বলছে আলো এক প্রকার শক্তি আর এই আলো এখন আমরা নানা শক্তির উৎস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছি। আমরা মানুষ হয়ে যদি এই সামান্য আলোক রশ্মিকে বিভিন্ন শক্তির মূল উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারি , তাহলে আল্লাহ্ কেন তার নুরের ফেরেস্তাকে দিয়ে সব কাজ করাতে পারবেন না ?

আমরা যদি এক্সরে আলোর কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যায় এই আলো মানুষের শরীরের ভেতর দিয়ে ঢুঁকে যেতে পারে অথচ আমরা বুঝতেই পারিনা যে, একটা শক্তিশালী আলো আমার ভিতের ঢুঁকে আমার শরীরবৃত্তীয় অনেক কাজ করে ফেলতে পারে। তাহলে একবার ভাবুনতো সেই নুরের তৈরি ফেরেস্তারা কেন আমাদের জান (জীবন) কবচ করতে পারবেনা ?
আল্লাহ্ সম্পর্কে এখানে যা বলেছি তা সবই আমার যুক্তি নির্ভর কথা। আল্লাহ্ তাআলাই ভাল জানেন আর অসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গভীরতা। তাই তার নিজের অবস্থান সম্পর্কে সেই সবচেয়ে ভাল জানেন।