আমি বই ভালবাসা দিবস এর ইতিহাস জানিনা। কে কেন কোন উদ্দেশ্য করে এই ৯ই আগস্টকে বই ভালবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে তার আদি অন্ত আমার জানা নাই। তবে এটা যে ভাল উদ্দেশ্যে নিয়ে শুরু করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মানুষ বই পড়বে, বই ভালবাসবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষ বই পড়ে বিদ্যা অর্জন করবে, লেখা পড়া করে নিজেকে সমাদৃত করবে । বইকে ভালবাসার মাধ্যমে নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবে, যাহবে মানুষের জন্য এক পরম পাওয়া। এই সব দিক থেকে চিন্তা করলে বইকে ভালবাসার জন্য একটা দিন বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা খুবই যুক্তি যুক্ত।
তবে বই ও বই সংক্রান্ত বিচার বিশ্লেষণ নিয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের একটা যুগ ছিল যখন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই যেমন উপন্যাস, সাইন্সফিকশন, গোয়েন্দা কাহিনী পড়ে পড়ে সময় কাটাতাম। কিন্ত এখন আর তা দেখা যায়না। ছোট থেকে বড়রা পর্যন্ত মোবাইল নাম যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে সময়ের কালো গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। বই এর দিকে তাদের কোন দৃষ্টি বা খেয়াল নেই। ছোট ছোট বাচ্চারাও এই মোবাইলের ফাঁদে পড়ে নিজেদের লেখাপড়ার ইচ্ছে শক্তিকে ক্ষয় করে ফেলছে।
আরেকটা বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, সেটা হল- আমরা ভালবাসা দিবস খুব ঘটাকরে পালন করলেও খুবই আফসোসের বিষয় হলে, বইকে ভালবাসার একটা দিবস যে আছে সেটা আমরা জানিই না। তাই আমাদের নতুন করে বই নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। আমরা যদি বই থেকে দূরে সরে যাই তাহলে আমরা পৃথিবীর অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে পরব। তাই বই এর জন্য এই ভালবাসা আমাদেরকে ছড়িয়ে দিতে হবে সকলের মাঝে। সবাই ভাল থাকবেন ।