আজ বিকেল থেকে ঠান্ডাটা একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। পিঠাপুলির আয়োজনে বাড়ি সরগরম করে রাখার মত শীত এখনো পড়েনি তা সত্য। কিন্তু উঠানের অস্থায়ী চুলার চারপাশে গোল হয়ে বসে ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে ধোঁয়া ওঠা গরম চিতই পিঠার আয়োজনকে বড় উৎসব বলা না গেলেও শীতকে বরণ করার পক্ষে তা এক জৌলুসহীন জাকজঁমকতা।ক্যাম্পাস থেকে ফিরে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে বুঝতে পারছি আজকের শীতটা চিতই পিঠা খাওয়ার শীত। শীতের বিকেলে হৃদয়ে অতীত ফিরেছে বর্ষার প্লাবনের মত উদ্যমতা নিয়ে!! কিন্তু বাড়ির বাইরে থেকে পড়াশোনা করার আরেকটি বাস্তবতা হলো এখানে উৎসব আর উৎসব পালনের কর্মব্যস্ততা দুটো-ই বেশ কম।
(ছবিটি সংগৃহীত )
খুব ব্যতিক্রম না হলে প্রতি বছর শীতের একটা নির্দিষ্ট সময় কিন্তু কাটে পড়াশোনার ব্যস্ততা নিয়ে।এই সময় মোটামুটি প্রতিটি ক্লাসেই বার্ষিক পরীক্ষা চলে, ছেলেমেয়েরা শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে পড়াশুনা করে আর প্রতিক্ষার প্রহর গুনে পরীক্ষা শেষ হবার। যেই না পরীক্ষা শেষ, এক ছুটে সোজা নানির বাড়ির আঙিনায় উপস্থিত। যখন ছোট ছিলাম তখন মোবাইলের প্রচলনটা এখনকার মতো ছিল না। এখন আমরা হয়ে গিয়েছি মোবাইলের মত গতিশীল,আর আমাদের পুরনো আবেগগুলো হয়েছে শ্লথ। দুই-তিন মাস আগে থেকেই নানি জানতেন পরীক্ষা শেষ হবার তারিখ এই দিনে। সে অনুযায়ী তার প্রস্তুতিও নেয়া থাকতো। আমার অদ্ভুত একটা খাবার মেনু ছিল - হিমশীতল গুড়ের দুধ চা আর তার সাথে ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা। নানি বাড়ি পৌঁছানোর পর এটা প্রস্তুত হতে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় লাগত না। আজকে হঠাৎ খু-উ-ব মনে পড়ছে!!
নানি বাড়ির শীতের গল্পগুলো আরেকদিন করব। এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর থেকে নানা ব্যস্ততায় খুব একটা সক্রিয় থাকতে পারেনি। আপনাদের উৎসাহ পেয়ে নিয়মিত হতে চাই।
সবাইকে শীতের শুভেচ্ছা!
সবার জন্য অনেক শুভকামনা!
ধন্যবাদ।।