ঈদের পরপরই একটু অসুস্থতা তারমানে বাসায় বন্দী অন্যদিকে কিছু ভাগ্নে এসেছে বাড়িতে ঈদ করবে বিদায় কিন্তু এইদিকে কোথায় নিয়ে যায়নি। ত হঠাৎ চেপে ধরলো, আজ নিয়ে যেতেই হবে, এছাড়া বাচার কোনো উপায় নেই।
বাইরে প্রচন্ড রোদ তাও রেহাই নেই, কালো চশমা একটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে টেনে বের করলো। হাওড়ের মাঝে দিয়ে নতুন একখানা সড়ক হয়েছে, কাজ অল্প একটু বাকি। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকজনের ছবি দেখলাম, বেশ সুন্দর জায়গা, ভাবলাম সেখানেই তবে যাওয়া হোক।
প্রথমে রিক্সা তারপর ছোট নৌকায় চড়ে নদীর অর্ধেকটুকু পার হতে হয়েছে তারপর সেই ব্রীজ এ পৌছালাম। এরপরই শুরু রৌদ্রের ঝাঁজ, এত্ত গরম আর সেখানে কোনো ছায়া নেই, ছাতা নেওয়ার কথাও মাথায় আসেনি তাই কি আর করার সেখানেই কিছুক্ষণ এই তীব্র রৌদ্রের মাঝে হাটাহাটি, ছবি তুললাম। যদিও জায়গাটা বেশ সুন্দর লাগতেছিল।
না, বেশিক্ষণ থাকা গেল না। ঘন্টা খানিক পর বের হয়ে গেলাম এবং অপূর্ণ ভ্রমণ পূর্ন করার জন্য চলিলাম অন্য এক জায়গায় উদ্দ্যেশ্য। সেখানে সূর্যাস্ত দেখবো আর ততক্ষণ রিক্সায় যাত্রা উপভোগ করবো। সেখানে গিয়ে বাধল অন্য এক বিপত্তি, ঈদের ছুটি বিধায় প্রচন্ড ভীড়, তীব্র যানজট। রিক্সা থেকে নেমে, ভীড় ঠেলে এগিয়ে গিয়ে একটা শান্তশিষ্ট জায়গা খুজে নিলাম। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে বসেই বাকি সময়টুকু উপভোগ করেছি।
পুরো বিকেলের উত্তাপ এখানে সন্ধ্যার পর শীতল বাতাসে একদম ছাপিয়ে গেছে, সব ক্লান্তি আর ক্ষোভ নিমিষেই মিশে গেছে। সুন্দর একটা প্লে-লিস্ট, আমাদের আড্ডা, সাথে ঠান্ডা-গরম পানীয়, সবমিলিয়ে বেশ ভালো একটা সময় গিয়েছে।