পৃথিবীতে তিন পথে ভ্রমণ করা যায়। যথা:১. আকাশপথ ,২. জলপথ, ৩. স্থলপথ। আবার স্থলপথ এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে ট্রেন,বাস,ট্রাক,রিক্সা,মোটরসাইকেল,সাইকেল, প্রাইভেট কার প্রভৃতি মাধ্যমে স্থলপথে ভ্রমণ করা যায়। বেশি দূরত্বের স্থলপথের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বাস এবং ট্রেনের ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের ট্রেন ব্যবস্থায় খরচ একটু কম পড়ে। বাসে একটু বেশি ভালো প্রয়োজন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহ বাদে প্রায় সকল জেলাতেই ট্রেনের মাধ্যমে ভ্রমণ করা যায়। ইনশা আল্লাহ পদ্মা সেতু হয়ে গেলে, আমরা ট্রেনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলেও যাত্রা করতে পারব। বাংলাদেশের সাধারণ নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষের অধিকাংশই ট্রেনের মাধ্যমে যাতে করে থাকে।
আমরা যারা ট্রেনে যাতায়াত করি তারা নিশ্চয়ই জানি ট্রেনের টিকিট পাওয়া একটু কষ্টকর। ৩ দিন পূর্বে অনলাইন থেকে সকাল ৮.০০ সময় টিকিট কাটতে হয়। আবার সকালে আটটার সময় টিকিট কাউন্টারে এসে লাইন দিয়ে টিকিট কাটতে হয়।ঘটনাগুলো তিনদিন পূর্বেই করতে হয় কারণ বাংলাদেশের তিন দিন পূর্বে অগ্রিম টিকিট ছাড়া হয়। ফলে যারা এই সময়টা ব্যবহার করতে পারেনা তারা আর টিকিট পায় না। আবার একজন একের অধিক টিকিট কাটে এবং পরে সেগুলো অধিক দামে বিক্রি করে অর্থাৎ ব্লাকে বিক্রি করে। যার ফলে আমরা সকলেই টিকিট পাই না। আর অনেক সময় অধিক দাম দিয়ে কিনতে হয়। যদিও অনেক যাত্রী আছে যারা টিকিট ছাড়া যাতায়াত করে, যেটা মানবিক দিক থেকে এবং সকল দিক থেকেই অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। আর এক মাস পরেই আমাদের রমজানের ঈদ। ঈদের সময় ট্রেনের চাহিদা আরো বেড়ে যায়। এই অবস্থাকে মাথায় রেখে বাংলাদেশে তাদের গত পাঁচ বছর ধরে চলা অনলাইন টিকিট পদ্ধতি এবং টিকিটের ব্যবস্থা পরিবর্তন আনতে চলেছে। পূর্বে CNSBD ট্রেনের টিকিট বিক্রয়ের দায়িত্ব নিয়েছিল, কিন্তু আমরা এটার প্রতি অসন্তুষ্ট। যার ফলে বাংলাদেশে এটিকে পরিবর্তন করতে চলেছে। এর কারণবশত আগামী ২১ থেকে ২৫ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে বিক্রয় করা হবে।
উক্ত সময়ে কাউন্টার থেকে শতভাগ টিকেট বিক্রয় করা হবে। অর্থাৎ এই কয়দিন আমরা অনলাইনে টিকিট কাটতে পারছিনা। তবে এটি আমাদের ভালোর কথা বিবেচনা করেই করা হচ্ছে। এই সময় ট্রেনের অগ্রীম টিকিট যাত্রার পূর্বের দিন ক্রয় করতে পারবেন।
অর্থাৎ,
২১ তারিখের টিকিট ২০ তারিখে
২২ তারিখের টিকিট ২১ তারিখে
২৩ তারিখের টিকিট ২২ তারিখে
২৪ তারিখের টিকিট ২৩ তারিখে
২৫ তারিখের টিকিট ২৪ তারিখে
এই নিয়ম শুধুমাত্র এই ক'দিনের জন্যই।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ডিজাইন খুবই সুন্দর। এটির স্থপতি লুই আই কান।
আমি গতকাল ঢাকা থেকে জামালপুর এসেছি। এই সময় আমি কিছু নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হই। সেসব ই আপনাদের সাথে তুলে ধরছি।
আমি অনলাইন থেকে তিন দিন পূর্বে টিকিট কেটে থাকি।তবে যেহেতু এবার কিছুটা সমস্যা হয়েছে যার ফলে আমি পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে টিকিট কাউন্টার এসেছিলাম। পরে এখানে এসে দেখি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে টিকিটের লাইন এবং কিছু নির্দিষ্ট ট্রেনের লাইন। আপনাদের সাথে একটি ছবি শেয়ার করি।
দেখুন কত মানুষ, তাদের সময় টাকে নষ্ট করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি প্রায় এক ঘণ্টা 20 মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকিট পেয়েছিলাম।আলহামদুলিল্লাহ আমার ট্রেনটি ছিলো 4:45 মিনিটে এবং আমি 4.25 মিনিটের মধ্যেই আমার হাতে টিকিটে পেয়েছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশের আবহাওয়া অনেক গরম। তারপরও আমরা কষ্ট করে ট্রেন টিকিট কেটে ছিলাম। তবে কিছু মানুষ অন্য দিক থেকে এসে লাইনে ঢুকে টিকিট কেটে নিয়েছিল। আবার কিছু মহিলা এসে টিকিট কেটে নিয়েছিল।কিন্তু আমরা যে দাঁড়িয়ে আছি এত কষ্ট করে আমাদের এ কষ্টর মূল্য একটু কম পেয়েছিলাম। আমি বিষয়টিকে হ্যা বোধক ভাবে নিয়েছি। মহিলাদের একটু অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তবে এখানে কিছু পুরুষ মানুষ মহিলাদের দিয়ে টিকিট কেটে নিয়েছিল। আবার কিছু মহিলা টিকিট কেটে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করি। যেটা আমরা আশা করিনি। যাই হোক তারপর আমি ১৬০ টাকার টিকিট ২০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করে ছিলাম । একজন ট্রেনের লোক হয়েও তিনি ১৬০ টাকার টিকিট ২০০ টাকা নিলেন যেটা সত্যি নিন্দনীয়। তবে কিছু করার নেই যাইহোক টিকিট পেয়েছি আমি আর একটু খুশি ছিলাম। অনেক সাধনার পর আমি কাঙ্খিত টিকিটটি পেয়েছিলাম।
এরপর যমুনা এক্সপ্রেসে উঠে দেখি, আমার সিটে অন্য একজন মহিলারা বসে আছে।তবে আমি আগে আগে যাওয়াই তারা সিটটি ছেড়ে দিলো এবং ওই মহিলারা অন্য আরেকটি সিটে চলে গেল।তারপর ওই সিটের লোক আসার পর, তারা বলে যে, তারা জয়দেবপুর নামবে। যেহেতু তারা মহিলা , তাদেরকে আমরা বসতে দিলাম এবং আমরা কষ্ট করে দুজনের সিটে তিনজন বসলাম।
এরপর ট্রেন খুবই সুন্দরভাবে সময়মতো যাচ্ছিল। ময়মনসিং জংশন এসে ট্রেনটি 40 মিনিট বিলম্ব করেছিল। পাশাপাশি ট্রেনের বিদ্যুৎ বারবার চলে যাচ্ছিল। পাশাপাশি গতকাল ছিল অনেক গরম। এবং আমি যেই সিটে বসেছিলাম ,সেই সিটের জানালা খুলতে ছিল না।
অবশেষে আল্লাহর রহমতে আমি ১০.৩০ মিনিটে জামালপুর এসে পৌঁছায়।
ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমি একটি নতুন তথ্য পাই। আমি মনে করি এটি ট্রেনে যারা যাতায়াত করে তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে। আমি এর আগেও কথাটি শুনেছিলাম ,কিন্তু আমি এটি গতকাল দেখতে পেলাম।
আমরা অনেকে ভাবি ট্রেনটি বিলম্ব কিনা ,ট্রেনটি সঠিক সময় পৌঁছেছে, কিনা নানান প্রশ্ন। যাতায়াতের সঠিক সময় দেখে আমরা বুঝতে পারি ট্রেনটি আগামীকাল সঠিক সময়ে পৌঁছাবে কি না।এমনকি ঈদের সময় ট্রেন অনেক বিলম্ব হয় সে ক্ষেত্রে আমি গিয়ে ট্রেনটি ধরতে পারবো কিনা। তাদের জন্য এই ব্যবস্থাটি।
এই ইউটিউব চ্যানেলটি তে গেলে আপনারা যে কোন সময় ট্রেনের আপডেট জানতে পারবেন।এটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার সময়সূচী এবং প্ল্যাটফর্ম নম্বর।
YouTube channel name: Saleh Ahmed Monti
YouTube Link :(https://youtube.com/c/montiahmed)
এই ইউটিউব চ্যানেলে লিংকটি আমি সংযুক্ত করে দিয়েছি।
তো সবদিক মিলিয়ে আমি মূলত চাচ্ছিলাম ট্রেনের আপডেট টি আপনাদের জানাতে। এবং ইউটিউব চ্যানেল টির সম্পর্কে বলতে। আশা করি এর মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন।
Hi @minhaz007, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON