|| Poetry :- "কেও কথা রাখেনি" লিখেছেন - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। covered by @nusuranur

[nusuranur]

🌼হেলোও,আসসালামু আলাইকুম।

---

আজকে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম একটি নতুন কবিতা আবৃত্তি নিয়ে অর্থাৎ আমি ই নতুন আবৃত্তি করলাম আজ নতুবা কবিতাটি খুবই জনপ্রিয়, পরিচিত একটি কবিতা।আশা করি সবাই আমার কবিতা আবৃত্তির ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখবেন।

---

কবিতার নামঃ কেও কথা রাখেনি

কবির নামঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

আবৃত্তিতেঃ নূসুরা নূর

---

My Poetry Recitation Video Link

---

---

কবিতার মূলভাব বা কবি কবিতায় যা বুঝাতে চেয়েছেন তা আমি আপনাদের সুবিধার্তে সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝিয়ে দিচ্ছি।কবিতার প্রথম লাইনটি হলো তেত্রিশ বছর কেটে গেলো কিন্তু কেও কথা রাখেনি অর্থাৎ কবি বুঝিয়েছেন কবির বয়স তেত্রিশ পেরিয়ে গেলো কিন্তু কবিকে দেওয়া কথাটি কেও রাখেনি,কবিকে ছোট বেলায় এক বোষ্টমী গান শুনাচ্ছিলো কিন্তু বোষ্টমী হঠাৎ তার গান করা থামিয়ে দিয়ে বললেন যে তিনি কবিকে শুল্কা দ্বাদশীর দিন অন্তরা শুনিয়ে যাবেন কিন্তু এরপর বহু বছর কেটে গেছে কিন্তু ওই বোষ্টমী আর ফিরে আসেনি আর অন্তরা টুকুও কবির আর শুনা হয়নি।এরপর কবির যখন ছোটবেলা তখন তার মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী তাকে বলোছিলো বড় হলে তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবে কিন্তু নাদের আলীও তার কথা রাখেনি তাই কবি অভিমান করে বলেছেন আমি আর কত বড় হবো মাঝি?আমার মাথা বাড়ির ছাদ ফুড়ে উপরে উঠে আকাশ ছোঁয়ার পর কি আমাকে তুমি নিয়ে যাবে?লাইনটিতে সহজেই বুঝা যাচ্ছে যে কবি কথাটি নিছক অভিমান থেকেই বলেছে কারণ কখনো আকাশ ছোঁয়া লম্বা হওয়া যায়না এটা তো আমরা সবাই জানি।
কবি চৌধুরী বাড়ির গেইট ধরে দাঁড়িয়েছিলো আর ভেতরকার সাজসজ্জা, উৎসব দেখছিলো ঠিক তখন কবির বাবা এসে কাঁধে হাত রেখে বললো তাদের ও হবে এসব কিন্তু এরপর বাবাই অন্ধ হয়ে গেলো তার মানে কবির বাবাও কথা রাখেনি।কবির প্রেমিকা বরুণা কবিকে বলেছিলেন যে বুকের উপর এভাবে সুগন্ধি রুমাল রাখলে যেমন একটা সুঘ্রাণ পাওয়া যায় তেমনটাই সুগন্ধ কবির বুক থেকেও আসবে যদি কবি বরুণাকে সত্যিকার ভালোবাসে।কবি জীবনমৃত্যু এক করে বরুণাকে ভালোবেসেছিলো কিন্তু বরুণা বা তার ভালোবাসা আর ফিরে আসেনি সেইসাথে কবি নিজের বুকে কখনো সেই সুগন্ধিও পায়নি। তাতেও কবির বড্ড অভিমান হয়েছে কিন্তু অভিমানের কোনো ফলাফল ও কবি পায়নি,শুধু গুণেছে অপেক্ষার প্রহর।দিনের পর দিন গিয়ে কবির এককাল থেকে তিনকাল ঠেকেছে কিন্তু কথা দিয়ে কথা আর কেও রাখেনি।আর এসবই কবি কবিতার মাধ্যমে বলেছেন। কবি এভাবেই একটার পর একটা অভিমানের ঝুলি খুলে বলেছেন যে কে কিভাবে কবির কথা রাখেনি আর কবি কতটা অপেক্ষা করে কাটিয়েছেন।কবি ব্যাপারগুলো সবার জনজীবনের সাথে মিল রেখেই কবিতাটি বুনেছেন।এইযে দেখেন আমাদের জীবনেও কত মানুষ কত কথা রাখেনা।এইযে ধরুন ছোটবেলায় বড়রা বলতো এখন খেয়ে নাও পরে আর খাওয়াবো না কিন্তু ভেবে দেখুন তা কি কখনো হতো?হতোনা! এরপর ধরুন মা বলতো, " এই বাবু ওখানে যাস নে,ওখানে অনেক ছেলেধরা আছে। " আসলে কি ছেলেধরা এভাবেই মাঠেঘাটে ঘোরে সবসময়? নিশ্চয় না?এমনটাই কবি বুঝিয়েছেন।

---

আশা করি সবাই আমার কবিতা শুনেছেন এবং পোস্টটিও পড়েছেন।সকলকে ধন্যবাদ এবং আমার কোনো ভুল হলে অবশ্যই তা শুধরানোর সুযোগ করে দিবেন।ধন্যবাদ সকলকে।
From,
@nusuranur

---