যেসব অভিনেতা বলিউড চলচ্চিত্রে নতুন মোড় ঘুরিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম শাহরুখ খান। আমরা যারা নব্বই দশকে জন্মগ্রহণ করেছি, তাদের কাছে শাহরুখ খান অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র অভিনেতা, টেলিভিশন উপস্থাপক, প্রযোজক ও সমাজসেবী। অভিনয়ের মাধ্যমে যিনি দর্শকমহলে আনন্দের জোয়ার সৃষ্টি করতেন তিনি হলেন কিংবদন্তি শাহরুখ খান। নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে তাঁকে 'এসআরকে' নামে ডাকা হয়।
আইপিএল-এ অন্যতম আলোচিত দল কলকাতা নাইট রাইডার্স'র মালিক তিনি।
সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পাঠান পরিবারে তাঁর জন্ম। খুব সাধারণ পরিবার থেকে এসে পরিশ্রমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করা যায়, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ শাহরুখ খান। ৮০'র দশকের শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে
শুরু হয় তাঁর অভিনয় জীবন। কর্মজীবনের শুরুতে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও, কিছুদিনের ব্যবধানে তাঁর অবস্থান তৈরি হয়ে দাঁড়ায় নায়কের আসনে।
কর্মজীবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত একের পর এক নতুন নতুন সুপারহিট মুভি উপহার দিয়ে দর্শক হৃদয়ে যে ভক্তি ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। প্রশংসনীয় চরিত্রের অধিকারী এই কালজয়ী অভিনেতাকে 'বলিউডের বাদশাহ', 'বলিউডের কিং' ও 'কিং খান' বিবেচনা করা হয়।
কিং খান যেসব সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন, তন্মধ্যে রয়েছে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, দিল তো পাগল হ্যায়, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, মোহাব্বাতে, কাভি খুশি কাভি গাম, ওম শান্তি ওম ইত্যাদি। অভিনয়ের মাধ্যমে অর্জন করেছেন এওয়ার্ডস, তেমনি জনপ্রিয়তা ও ভালবাসা কোনো অংশেই কম নেই। এসব মুভি যেনো তাঁকে একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে তুলে ধরে।
এছাড়াও দেবদাস, স্বদেশ, চাক দে ইন্ডিয়া, চেন্নাই এক্সপ্রেস, রাইস, কাভি আলবিদা না কেহনা, বাদশা, জোশ, হাম তুমারে হ্যায় সানাম, কাল হো না হো, ম্যায় হু না, বীর জারা মুভিগুলো দর্শকের হৃদয়ে এখনো ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম। তাঁর সমসাময়িক এমন অনেক অভিনেতা আছেন যারা পর্দার আড়াল হয়েছেন কিংবা অনেকেই পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। কিন্তু শাহরুখ খান তাঁর কর্মের মাধ্যমে এখনো ধরে রেখেছেন তাঁর অবস্থানকে। আমার দেখা একটা প্রাণবন্ত মুভি 'ম্যায় হু না'। এই মুভি প্রায় কুরি বার দেখা হয়েছে।
ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখে জীবন পার করছেন এই কিংবদন্তি। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি মাঝেমাঝে তাঁকে পড়তে হয়েছে কিছু সমালোচনার মুখে। যাকে ভালবাসা যায়, যার জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে ভক্তি শ্রদ্ধার জন্ম হয় তাঁর সমালোচনা চোখে দেখা যায় না। তাই ভালবাসি এই প্রিয় অভিনেতাকে। আজ তাঁর ৫৫তম জন্মদিন। জন্মদিনের অগণিত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা কিং খান। সর্বদাই তাঁর জন্য ভালবসা থাকবে।