পৃথিবীতে আগমনের ১১তম দিন আজ। আজ থেকে ঠিক ১১ দিন আগে পৃথিবীর মুখ দেখেছিল সে। সময় একটু একটু করে পার হয়ে যাচ্ছে। কিভাবে যেন সবকিছু কেটে যাচ্ছে। হাসি খুশিতেই কাটছে। নামও ঠিক ক্ল্রে ফেলেছি ইতিমধ্যে। পরিবারের সবাই মিলে জোহা নাম রাখা হয়েছে ওর। অবশ্য এই নামটা আমার ছোট বোন রেখেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া প্রথম ছাত্রীর নাম নাকি জোহা ছিল। সেখান থেকেই আমার ছোট বোন এই নামটা পছন্দ করে নিয়েছে।
জোহা নামের অরিজিন কি, তা অবশ্য আমি নিশ্চিত না৷ কোথাও দেখলাম এটি উর্দু শব্দ, আবার কোথাও আরবি। জোহা শব্দের অর্থ হল লাইটিং বা আলো। আশা করি আমার মেয়েটা পৃথিবীতে তার নামটাও উজ্জ্বল করতে পারবে।
শুরুতেই বলেছি, আমাদের দিনগুলো খুব সুন্দর হেসে খেলে পার হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন যেমন তেমন ভাবে পার হলেও রাতগুলো দীর্ঘ মনে হয়। এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে৷ আমাদের জোহা মোটামুটি সারাদিন ঘুমিয়েই কাটায়। ডাক্তার বলেছিল নবজাতকেরা সাধারণত প্রথম দিকে দিনে প্রায় ১৬-১৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। মাঝে মাঝে খাবারের জন্য কিছু মিনিটের জন্য ঘুম থেকে উঠে। এরপর খাওয়া দাওয়া করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
তবে রাতের বেলার গল্পটা একটু ভিন্ন। সারাদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ক্লান্ত হয়ে শেষ রাতের দিকে আর ঘুমাতে চায় না। জেগে থাকে, হাত ছুড়াছুড়ি করে। মনে হয় যেন আমার সাথে খেলতে চাচ্ছে। আমিও একটু একটু চেষ্টা করি ওর সাথে খেলার জন্য। যদিও এখনো ঠিকঠাক মতো ওর খেলা বুঝে উঠতে পারছি না। এজন্যই হয়তো বিরক্ত হয়ে কিছুক্ষণ পর পর কান্নাকাটি শুরু করে।
যেহেতু রাতের বেলা, বিশেষ করে মাঝরাতের দিকে জোহা জেগে উঠে আর ঘুমাতে চায় না, তাই প্রায় প্রতিদিনই আমার জেগে থাকতে হয়। রাত জেগে ওর কাঁথা একটু পর পর চেইঞ্জ করতে হয়। অনেকে অবশ্য এখনই বাচ্চাকে ডায়াপার পরিয়ে রাখতে বলছে। কিন্তু ডাক্তার আরো কিছুদিন পর ডায়াপার পরানোর পরামর্শ দিয়েছেন৷ কারন এখন থেকেই পরানো শুরু করলে নাকি বাচ্চার র্যাশ এর সমস্যা হতে পারে। তাই আমরাও এমুহুর্তে রিস্ক নিচ্ছি না আর। আর যেহেতু হাতে সময়, সুযোগ দুইটাই আছে, তাই আপাতত ডায়াপার পরানো থেকে বিরত রইলাম।
যায় হোক, ইদানিং বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন আর্টিক্যাল আর ভিডিও দেখে সময় কাটছে। নবজাতক ও বাচ্চাদের সম্পর্কে যতটুকু সম্ভব, তথ্য নিয়ে রাখছি। কখন কোনটা কাজে আসে বলা যায় না। তবে এতটুকু বুঝতে পারছি যে একটা ছোট বাচ্চাকে একটু একটু করে বড় করে তোলা যথেষ্ঠ কষ্ট ও পরিশ্রমের ব্যাপার৷ এবং সেই চেষ্টাটুকুই আমরা করে যাচ্ছি।
এখন অবশ্য বুঝতে পারছি যে ছোটবেলায় আমার মা-বাবাকেও কতটা কষ্ট করতে হয়েছে আমাদের জন্য। সেইটা এখন খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছি। আজ সকালে মাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ছোটবেলায় কি আমরাও এভাবে জ্বালাতাম কিনা। মা অবশ্য কোনো জবা দেয় নি, শুধু হাসতেছিল।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালই যাচ্ছে সময়। আশা করি আগামীর দিনগুলোও এত সুন্দর করে কেটে যাবে...
Congratulations @reza-shamim! You have completed the following achievement on the Hive blockchain And have been rewarded with New badge(s)
Your next target is to reach 53000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Check out our last posts:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
Hi @reza-shamim, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON