উপন্যাসঃ গাভী বিত্তান্ত
লেখকঃ আহমদ ছফা
প্রথম প্রকাশঃ বইমেলা ১৯৯৫
প্রকাশকঃ সন্দেশ
When the book was first seen at the University Book Fair, the name seemed to be perhaps a book written about the cow's classification or its meticulous analysis. Not only me but many readers may think so. Not really. A question was playing in my mind when I had the good fortune to know a little bit about the book. Is there really a cow in the novel Gavi Bittanta? The answer to this question is "yes, there are cows".
আহমদ ছফার অন্য উপন্যাস গুলোর মতই গাভী বিত্তান্ত চলতে শুরু করে খুব ধীর গতিতে। তবে পাঠক যদি গল্পের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করতে পারে তবে এই উপন্যাসটি হবে - "আনপুটডাউনাবেল" অর্থাৎ শেষ না হওয়া অবদি পাঠক বইটি ছাড়তে পারবে না।
পুরো লেখনী-তে কালজয়ী গুণী লেখক আহমদ ছফা একটিবারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উচ্চারণ করেননি। অথচ এই উপন্যাসের উপজীব্য বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন জৈব রসায়নের অধ্যাপক আবদুল মান্নান। ছাত্রদের বিশৃঙ্খলার কবলে পরে নিহত হয় উপাচার্যের গর্ভবতী গাভীটি। সত্য এ ঘটনাকে উপজীব্য করেই ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় গাভী বিত্তান্ত। কিন্তু পাঠকের মনে হবে লেখাটি যেন বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কুটিলতা,চাতুরতা কিংবা ছ্যাচড়ামির ফল বা ফসল। মনে হবে লেখক ১৯৯৫ সালেই ২০২০ সাল নিয়ে লিখেছেন।
কাহিনী সংক্ষেপঃ দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব, চাটুকারিতা, রাজনীতি,স্বার্থপরতা কিংবা তেলবাজির মত নোংরা পরিবেশে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মিয়া মুহম্মদ আবু জুনায়েদ একজন সাধারন,নিষ্ক্রিয়, গোবেচারা ধরনের মানুষ। তার জীবনযাপন, চিন্তাধারাও অতি সাধারন। রসায়ন বিভাগের সুন্দরী শিক্ষিকা দিলরুবা খানমের আকর্ষনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। দিলরুবা খানমের প্রভাবে জুনায়েদ দেশের প্রাচীনতম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের উপাচার্য প্যানেলে ঢুকে যান এবং বিশেষ যোগ্যতায় অনেকটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে অতি-রাজনীতির ঘোরাটপে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন।
Junaid's life changed dramatically after he was appointed vice-chancellor. Always silent, the burden of an aristocratic university falls on the shoulders of the person who does not even say a word unless very necessary. Hindu-Muslim resentment, roar of processions centered on party politics, gun battles, murders, the cutting of a friend's hand and foot by the extraordinary skill of the Chinese ax took place at this university. Abu Junaid also realizes that teacher politics, promotion, absorbing opportunistic crooks, and dissatisfaction with his own party members make it harder for him to use his power than to gain power.
এছাড়াও তার পারিবারিক জীবনে চলে আসে অশান্তি। নিজের স্ত্রীর নানা সন্দেহ এবং করায়ত্তে তিনি ভীষনভাবে অসুখী হয়ে পরেন। এমতাবস্থায় তার দীর্ঘদিনের শখ ইচ্ছা একটি গাভী পালন করা। এবং সে ইচ্ছা পূরণে উপাচার্যের বাসভবনে একটি গোয়ালঘর বানিয়ে পুষতে থাকেন এক দূর্লভ জাতের গাভী। এবং একসময়ে এই গোয়ালঘর পরিণত হয় সমস্ত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। শিক্ষক রাজনীতি, ছাত্ররাজনীতি বা অন্য যেকোন ধরনের প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হতে থাকে এই গোয়ালঘর থেকে। সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় গাভীটি এবং গোয়ালঘর।
কিন্তু কিভাবে? গাভীটির শেষ পরিণতিই বা কি হয়? আবু জুনায়েদ এর অসুখী জীবনে কি শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারে এই প্রাকৃতিক পরিবেশের গোয়ালঘর? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে পড়তে হবে এই আনপুটডাউনাবেল উপন্যাসটি। নিমন্ত্রণ রইলো গাভী বিত্তান্তের প্রতিটি অক্ষর,শব্দ,বাক্য এবং পাতায়-পাতায়।