অনেকদিন আগে থেকেই সুনামগঞ্জ যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। এটা আমার একটা ড্রিম হলিডের মতো ছিলো। যাই হোক আল্লাহর কৃপায় কয়েকদিন আগে সুনামগঞ্জ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল এবং তার অভিজ্ঞতাই আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আশাকরি আপনারা সবাই অনেক অনেক অনেক ভালো আছেন। আশাকরি একটু সময় নিয়ে আপনারা এই ব্লগ টি পড়বেন।
সুনামগঞ্জ যাওয়ার প্লেন হঠাৎ করে হয়েছিল যার কারনে বেশি বন্ধুবান্ধব যায় নাই। আমরা ছিলাম মাত্র ৬ জন। আমরা ট্রেন দিয়ে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিলাম। আমরা সবাই রাত ১১ টা নাগাত রেল স্টেশনে গেলাম( টিকেট আগেই কাটা ছিলো। ট্রেন ছাড়ার সময় ছিলো ১.১৫ তে কিন্তু ট্রেন ছাড়ছে ১২.৩০ টায়🙂। যাই হোক, সিলেট পৌছাতেই আমাদের সকাল হয়ে যায়। তারপর স্টেশনের বাইরে নাস্তা করে সুনামগঞ্জের বাসে উঠলাম।
সুনামগঞ্জ পৌছাতেই আরো ৫ জনের একটা গ্রুপ দেখতে পেলাম যারা কুমিল্লা থেকে এসেছে। তাদের সাথে আমরা লাঞ্চ করলাম।
আমাদের প্রথম গন্তব্য হলো টাংগুয়ার হাওর। হাওর বিলাসের ইচ্ছে আমার অনেক আগের। যেহেতু আমরা রাতে হাওরে কাটাবো। সেহেতু আমাদের একটা নৌকা লাগবে মানে গরীবের ক্রুজ, যেখানে খাওয়া দাওয়া সবকিছুর ব্যবস্থাই থাকবে। টাকা বাচানোর জন্য আমরা কুমিল্লা থেকে আসা ওই গ্রুপের ৫ জনের সাথে শেয়ার করে একটা নৌকা ভাড়া করলাম।
হাওড়ে রাত কাটানোর ইচ্ছে অনেক আগে থেকেই আমার ছিলো৷ আলহামদুলিল্লাহ কয়েকদিন আগে আমার সে ইচ্ছে পূরন হয়েছে।হাওড়ের সবকিছুই আমার পছন্দের। হাওড়ের বুকে বয়ে চলা নৌকা, হাওড়ের মাঝে লড়াই করা কিছু গাছ সবকিছুই আমার মন কাড়ে। হাওড়ের সব থেকে ভালো লাগার সময়টা ছিলো রাতে। পানির স্রোত, স্রোতের আওয়াজ আর বন্ধুদের গানের সুর সবকিছুই আমার কানে এখনো বাজে।
এ স্মৃতি ভুলার মতো নয়। আবারো যাতে চাই সেখানে। আর একটা অভিজ্ঞতা তহ বলতেই ভুলে গেলাম সেটা হলো হাওড়ে বৃষ্টি। নৌকায় শুয়ে শুয়ে বৃষ্টি দেখার আনন্দ আমি বলে বুঝাতে পারবো না।সবকিছু ঠিক থাকলে আবারো যাবো হাওড় বিলাসে।
এটা ছিলো টাংগুয়ার হাওড়ের অভিজ্ঞতা। আমরা পরবর্তীতে তাহিরপুর, নিলান্দ্রী লেক, জাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান এসব জায়গাতেই গিয়েছিলাম যেগুলো পরবর্তী ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো ব্লগে ততক্ষন পর্যন্ত সবার সুস্থতা কামনা করি। ধন্যবাদ সময় নিয়ে ব্লগটি পড়ার জন্য।