মা-বাবা দেখ দেখ আমার লেখা ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমার লেখা খুব পছন্দ করেছে। তাই তারা ম্যাগাজিনের তৃতীয় পাতায় আমার লেখা ছাপিয়েছে। আমার কি যে আনন্দ লাগছে, মা জান আমি এ যাবৎ অবধি শ-খানেক লেখা পাঠাইছি এই ম্যাগাজিনে। যে লেখাটা ছাপানো হয়েছে, আমার নিজের ভিতরে খুব আত্মবিশ্বাস ছিল যে লেখাটা খুব ভালো হয়েছে এবং এটা ম্যাগাজিনে ছাপানোর খুব সম্ভাবনা আছে। মা, সৃষ্টকর্তা আমার আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন। আমি আজকে খুব খুশি। বাবা জান আমি না কখনোই হাল ছাড়ি নাই, নিরানব্বইটা লেখা আমি সমপরিমান আত্মবিশ্বাসের সহিত প্রেরন করেছিলাম। জানি না কর্তৃপক্ষ আজকে আমার প্রতিভাকে সম্মানিত করল না আমার আত্মবিশ্বাস এবং নিরলস প্রচেষ্টার উপহার দিল। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন বাবা, আজকে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান শিক্ষাটা অর্জন করলাম। আত্মবিশ্বাসের সমন্বয় এবং অসীম ধৈর্ষ শক্তি মানুষকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে অবশ্যই অধিষ্ঠিত করে।
উপরের গল্পটি সম্পূর্ণরুপে কাল্পনিক। কিন্তু এর মাঝে কঠিন বাস্তবতা লুকিয়ে আছে। প্রিন্টিং মিডিয়া, আজ অবধি আমাদের অনুভুতির জোড়ালো দাবিদ্বার। ইন্টারনেটের এই বিশাল জগত আমাদের প্রতিভা প্রকাশের অনেকটা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কিন্তু পার্থক্যটা অনেক বড় মাপের। ইন্টারনেট দুনিয়া আমার পোস্ট প্রতিভার পরিমাপক আর প্রিন্ট মিডিয়া আমার প্রি-প্রতিভার পরিমাপক। যাই হোক না কেন এই দুটোর মাঝে কমন যে বিষয়, সেটা হচ্ছে আমার এবং আপনার প্রতিভা। প্রি আর পোস্ট যেই জাস্টিফাইয়ার হোক না কেন, আমি আমার নিজস্ব প্রতিভায় বিকশিত। শুধু প্রয়োজন মজবুত ভিত্তির আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্ষ ধারনের অসীম ক্ষমতা।
কে বলে আমরা পারি না, আমাদের দ্বারা কিছু হবে না। আমরা যে পারি, তুর্নি আজ তার জ্বলন্ত উদাহরন। বাংলার কয়টা এমন ম্যাগাজিন আছে যেটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পঠিত হয়। হোক না এটা ইন্টারনেট নামের ভার্চুয়াল জগত, তাতে কি আসে যায়, প্রিন্ট ম্যাগাজিনের মতো হয়তোবা এর চোখ ধাধানো কাভার পেইজ নাই, তাতে কি আসে যায়, হোক না এই ম্যাগাজিনের লেখকেরা তথাকথিত লেখকশ্রেনির সূত্রের বাইরের লেখক, তুর্নির প্রতিটা শব্দেই রয়েছে সেই সূত্রের বাইরের লেখকদের ভিত্তসম্পন্ন আত্মবিশ্বাস এবং ধৈর্ষ শক্তির সঠিক সন্নিবেশ ।
শুভকামনা রইলো তুর্নি তোমার জন্য, তোমার পথ চলা হোক সফলতার সিঁড়ি নির্মানের কারিগর।