প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেলাম।ওর কাছে যাবার পর, দেখি সে জামার হাতা উপরে তুলছে।আমি বললাম,এই এটা উপরে তুলছো কেনো?
তোমাকে একটা জিনিস দেখাবো।
কি দেখাবে?
আরে দেখোইনা।
দেখেতো আমি অবাক।হাতের উপরের দিকে ব্লেড দিয়ে কেটে আমার নাম লিখেছে।
এইরকম পাগলামি কেউ করে!আমি কি তোমাকে বলছি আমার নাম তোমার হাত কেটে লিখতে?ভালোবাসা প্রমাণের জন্য কি হাত কাটতে হয়!বোকা মেয়ে।
আমার মন চাইছে আমি লিখছি,তোমার তাতে কি।
আমি বললাম,আমার আর কি!তুমি ব্যাথা পাও এটা কি আমি চাই?হাত যে কাটছো ব্যাথা লাগে নাই?
ও বললো,হ্যাঁ ব্যাথাতো একটু লেগেছেই।রক্ত বের হয়েছে।জ্বলেছে পরে অনেক।
আর এইরকম পাগলামি করবানা।হাতে কাটাকাটির দরকার নাই।তুমি যে আমাকে খুব বেশি ভালোবাসো এটা আমি জানি।
চলে আসার পথে আমি ভাবতে থাকলাম,ও মেয়ে হয়ে হাত কাটলো,আর আমি ছেলে হয়ে হাত কেটে ওর নাম লিখতে পারলাম না!কালকে দেখা করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই আমি আমার হাত কেটে ওর নাম লিখে নিয়ে তাকে চমকে দিবো।
যথারীতি পরের দিন দেখা করতে যাওয়ার আগে মনে পড়লো,আরে আজকেতো আমার হাতে কেটে ওর নাম লিখার কথা।ঘরে বসেতো আর পরিবারের মানুষের সামনে হাত কাটা যাবে না।তাই চলে গেলাম বন্ধুর বাড়িতে।
বন্ধুকে বললাম,বন্ধু একটা উপকার কর,ব্লেড দিয়ে হাতে একটু আমার প্রেমিকার নামটা লিখে দে।
বন্ধু বললো,না বাবা আমি পারবোনা।ব্লেড আমার ভয় করে।রক্তও ভয় করে।
আমি বললাম,কাপুরুষ।দেখ কিভাবে হাত কাটতে হয়।
হাতের কাছে ব্লেড নিয়ে গেলাম।ব্লেড দিয়ে টান দিবো,ওমা দেখি সাহসে কুলোয় না।কিছুতেই টান দিতে পারছি না।কয়েকবার টান দিলাম কিন্তু কাটলো না।অর্থাৎ জোরে গভীরভাবে টান দেওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না।
বন্ধু হাসতেছে।
আমি বললাম,না আমাকে পাড়তেই হবে।আমার পুরুষত্বের প্রমাণ আমাকে দিতেই হবে।
একটু সাহস নিয়ে জোরে আঁচড় দিলাম।অল্প একটু কেটে রক্ত বের হতেই,রক্ত দেখে ভয়ে আমার বমি পেয়ে গেলো।
হাতমুখ ধুয়ে এসে বললাম।ব্যস অনেক হয়েছে।আমার ধারা হাতে কাটাকাটি সম্ভব না।বন্ধু একটা বুদ্ধি দে কি করা যায়।
বন্ধু বললো,সিনেমায় দেখিস না।মুরগি,খাসির রক্ত দিয়ে নাম লিখে নিয়ে যায়। তুই তাই কর।
আরে এখন মুরগি বা খাসির রক্তই বা কোথায় পাবো।
বন্ধু বললো,একটা বুদ্ধি পাইছি,ফ্যান বন্ধ কর।
আরে ফ্যান বন্ধ করে কি হবে বলতে বলতে ফ্যান বন্ধ করলাম।
বন্ধু বললো,এখন আমরা চুপচাপ বসে থাকবো।মশা আমাদের কামড়াবে।তারপর মশার পেট থেকে রক্ত বের করে তোর হাতে নাম লিখবো।
ধারুন বুদ্ধি,বন্ধু।
দুইজন হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়লাম,নড়াচড়া বন্ধ। অনেকগুলো মশা এসে হাত পায়ে বসলো।প্রায় দশ-পনেরটার মতো মশা,এমন মূর্তির মতো মানুষ পেয়ে আচ্ছা মতো কামড়িয়ে, রক্ত দিয়ে পেট টাইটুম্বুর করে ফেললো।এমন অবস্থা হয়েছে উড়ার মতো আর তাদের ক্ষমতা নেয়।
তারপর একটা একটা করে মশা ধরে,হাতের উপর রক্ত দিয়ে আমার প্রেমিকার নাম লিখলাম।
বাহ্ নিজের রক্ত দিয়েই নাম লিখেছি কোনো ব্যাথা ছাড়াই।
তারপর মুখে একটা ব্যাথা ব্যাথা ভাব নিয়ে প্রেমিকার কাছে গেলাম।হাতটা সামনে বাড়িয়েই রাখলাম যাতে খুব সহজেই দেখে।
দেখেইতো সে অস্তির হয়ে পড়লো।
এইসব কি করেছো!আমিতো শুধু অল্প একটু আঁচড় দিয়ে লিখেছি।আর তুমিতো দেখি রক্তারক্তি কান্ড করে বসলে।
দেখি ওর চোখ লাল হয়ে গিয়েছে।একটু পরেই হাউমাউ করে কান্না শুরু করলো।
আমি বললাম,আহ্ ব্যাথা লাগছে আমি এখন যাই,গিয়ে হাতে পানি দিতে হবে।
এরপর কয়েকদিন,ওর সামনে যাওয়ার আগে হাতে ব্যান্ডেজ করে গিয়েছি।যাতে বুঝতে না পারে ব্যান্ডেজের নিচে আসলে কোনো কাটার দাগ নাই।
Congratulations @shaonashraf! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @hivebuzz:
Hahaha. Talented man,