১৩ দিন আগের কথা। বিকেলের দিকে সব বন্ধুবান্ধব মিলে চা খেতে যাই , "আশিকের চায়ের আড্ডা " . অনেকেই হয়তো নাম শুনেছেন। আর এটাতো আমাদের বাড়ির পাশেই। আর এই জন্যই হয়তো শুধু ১ বারই যেতে পেরেছি। হ্যা , মাত্র ১ বার। আর এটাই প্রথম বার। আর আমিই মত দিয়েছিলাম ওদেরকে,আমাকে চায়ের দোকানে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রায় ৩০০ রকমের চা পাওয়া যায় সেখানে। আর সেখানে মোট ৩ টি দোকান রয়েছে। দোকান বলতে উনাদের চা খেতে আশা লোকজন এত যে ১ টি দোকানে বা ১ জায়গায় বসে খাওয়া সম্ভব না। চা বানানো হয়তো ১টিই কিন্তু লোকজন বসার দোকান মোট ৩টি। আমি প্রথমে কিছু বুঝে উঠেতে পারিনি।
আমরা কেন এইখানে বসলাম পরে দেখি যে শুধু এই দোকানটাই খালি আর সব দোকান কাস্টমার দিয়ে ভরা। তারপর আমার একটা বন্ধু গিয়ে চায়ের অর্ডার দিয়ে আসে। সত্যি কথা আমি এতদিন ভাবতাম যে শুধু একটা চায়ের দোকানের এত নাম। আর এখন আমি নিজেই ঐখানে গিয়ে ওই চায়ের দোকানের ফিদা হয়ে গিয়েছি। সব থেকে আবার করা বিষয় হচ্ছে ৩০০ রকম চায়ের ধরন।
পুরো দোকানের চারি দিক দিয়ে শুধু চায়ের ধরণ গুলাই একটা ব্যানার এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করা। আর আমরা যে চা তা অর্ডার দিয়েছিলাম সেটা ছিল " মালাই চা " ১ কাপ ৩০ টাকা। আর সত্যিই এই চা তা দারুন ছিল আর এটা ঐখানকার বিখ্যাত একটা চা ছিল।
প্রথমে ভেবেছিলাম আরো এক কাপ চা খাবো কিন্ত ঐটা শেষ করতেই আমার কষ্ট হচ্ছিলো , আসলে আমি মিষ্টি তেমন বেশি একটা খেতে পারিনা। একটু খাবার পরই এটার প্রতি কেমন একটা অরুচি চলে আসে। আমার বন্ধুবান্ধবদেড় সাথে ঘুরতে সত্যিই অনেক মজা লাগে। ঐদিনই চা খাওয়া শেষে আমরা আমাদের "শাহবাজ পুর ব্রিজ " এ যাই ঘুরতে। ঐদিন প্রচুর ভিড় ছিল।
এটা কিন্তু কোনো পর্যটন কেন্দ্র না বা কোনো পার্ক না। এটা শুধু একটা ব্রিজ তাতেই এত মানুষ ভিড় করে এটাকে দেখার জন্য। আর হ্যা , আর ব্রিজটাই কিন্তু সব থেকে বড় আকর্ষণ , ব্রিজটা বলতেতিতাস নদীটা আরকি।
প্রচন্ড ভিড় ছিল। প্রথমে ভাবিনি যে এত ভিড় হবে আর যদি আগে থেকে জানতাম যে ভিড় হবে তাহলে যেতামই না। আর শুধু ভিড় না প্রচন্ড ভিড় ছিল। বেশি সময় থাকিনি সেই জন্য। আর আমরা গিয়েছিলামও শুক্রবার। সেই জন্য হয়তো বেশি ভিড় হয়েছিল। আচ্ছা যাই হোক , সব থেকে বড় বেপার হচ্ছে আমি যে ওই চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেয়ে আসতে পেরেছি।
আসলেই এটা অনেক সুন্দর ছিল। এত টুকু একটা দোকান এত বড় নাম করে ফেলবে আসলেই অনেক আশ্চর্যের। আবার হয়তো যাবো পরবর্তীতে যখন আবার গ্রামে যাবো তখন।