Image source
যারা শিক্ষা গ্রহণ করে তাদের শিক্ষার্থী বলা হয়। দেশের প্রায় উন্নয়নের পিছনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা দেশের উন্নয়নের জন্য সকল বাধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত। দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীরা ঢাল হয়ে দাড়ায়। দেশের সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বজ্রকঠিন। দেশ যখন দুর্যোগ বা মহামারির কবলে পড়ে তখন শিক্ষার্থীরা তাদের সেবার হাত বাড়িয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা এসকল কাজের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতেও প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা নিজের জীবনের পরোয়া না করে শত্রুর হাত থেকে দেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে। স্বাধীনতা যুদ্ধ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। স্বাধীনতা যুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল সর্বোচ্চ। কিন্তু এতো কিছু করার পরও শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবেই নির্যাতিত।
শিক্ষক:-
- কাল পড়া না করে আসলে খবর আছে।
- যারা হোমওয়ার্ক করিস নাই তাদের ১০ টা করে বেতের আঘাত দেওয়া হবে।
- যা বারান্দায় গিয়ে কান ধরে দাড়িয়ে থাক।
- আমার জুতা পরিষ্কার করে দে। দোকান থেকে ১ লিটার কোকা কোলা কিনে নিয়ে আয়। নইলে তোর প্র্যাক্টিক্যাল খাতা স্বাক্ষর করব না।
- রাতে আমার বাসায় দেখা করবি নইলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেব।
- আমার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল।
অভিভাবক:-
- যা কৃষিকাজ কর গিয়ে।
- পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হলে তোকে মেরে ফেলব।
- তোকে দিয়ে আর কিছু হবেনা। তার চেয়ে বিয়ে দিয়ে শশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।
- পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ করলি কেন? বাড়ি থেকে বের হ এক্ষুনি। তোর মতো সন্তান আমার লাগবে না।
প্রায় সব শিক্ষার্থীই শিক্ষক এবং অভিভাবকদের এসকল কথার সাথে পরিচিত। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের এরূপ আচরণ শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তারা নিজেদের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় এসব আচরণের প্রভাবে দেশের একদল উজ্জ্বল সম্ভাবনা নেশার জগতে বিলীন হয়ে যায়। আবার অনেকে আত্নহত্যার মতো পন্থাও বেছে নেয়। দেশের সকল পাবলিক পরীক্ষার পর নিউজ চ্যানেলে শিক্ষার্থীদের আত্নহত্যার খবর এখন একটা সাধারন বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এসকলের জন্য দায়ী শিক্ষক এবং অভিভাবকদের আপত্তিকর মনোভাব। আবার নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রায়ই শোনা যায় শিক্ষক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার ঘটনা।
কেন শিক্ষার্থীদের ওপর এতো অত্যাচার? কেন তাদের ওপর এতো নির্যাতন? শিক্ষা অর্জনই কি তাদের দোষ?