ভাইয়ের সাথে কুশল বিনিময় শেষে আমরা অটো রিলশায় করে রওনা দিলাম। আমারা সবাই অটোতে বসে গল্প করতে শুরু করলাম। প্রথম বারের বিমানভ্রমণ, বাড়ির কথা সহ অনেক কথা। তবে কোথায় যাচ্ছি আমারা তা জানা ছিল না। ভাই আমাদেরকে আবারও অবাক করে দিলেন। আমাদের অটো গিয়ে সমুদ্র সৈকতের একদম পাশে এক বিরাট ৩তারকা হোটেলের সামনে গিয়ে থামলো। ভাই নেমে বল্লেন ভাই চলে আসছি। আমারা এখানে ২রাত থাকব। এরপরে আমাদের হোটেলের রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। তারপর ভাই বললেন আমি একটু মিটিংয়ে যাবো তোমরা সবাই থাকো। তিনি আমাদের জন্য খাবারের ওডার দিয়ে মিটিংয়ে চলে গেলেন। আমারা ফ্রেশ হয়ে খাবার খায়ে নিলাম ততখনে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আমরা আর বাহিরে বের হইলাম না।
ভাই রাতের বেলা ফিরে আসল। তারপর আমরা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বের হইলাম। রাতের বেলা খুবই সুন্দর লাগছিল সমুদ্র সৈকতটা। হালকা বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো খুবই শান্তির অনুভূতি। এরপর আমারা সমুদ্র সৈকতের পাশ ঘেসে হাটতে লাগলাম। হালকা ঠান্ডা পানি পায়ে এসে লাগছিল। হাটতে হাটতে সামনের দিকে অনেকটা যাওয়ার পর দেখা হয় কলেজের এক বন্ধুর সাথে। তাহার সাথে কুশল বিনিময়ের পরে আমরা আবার ঘুরতে শুরু করলাম। বিভিন্ন জাইগা ঘুরলাম তারপর কিছু সময় সমুদ্র সৈকতের পাশে বেঞ্চে শুয়ে প্রকৃতির রুপ দেখছিলাম। তারপর রাত বাড়লে আবার হটেলের দিকে রওনা দিলাম। রাতটা আমারা সবাই মিলে গল্পে গল্পে কাটিয়ে দিলাম।
পরের দিন সকালে উঠে আমরা আমাদের সকালের নাস্তা করে নিলাম হটেলের বাফেট থেকে। তারপর আমারা রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম ঘুরতে বের হবার জন্য। আমরা একটা অটো ভাড়া করলাম সারাদিনের জন্য। তারপর আমরা অটো তে করে কক্সবাজারের বিভিন্ন আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান গুলো ঘুরলাম।
আমরা সারাদিন জুরে হিমছড়ি ও ইনানী বিচ বিচ সহ অনেক রকমের পর্যটন স্থান গুলো ঘুরলাম।
এরপর ঘুরাঘুরি শেষ করে পালা আসে হোটেলে ফিরে আসার। ঠিক সেই সময় আমাদের সাথে দেখা হয় বাংলাদেশের অন্যতম Food vloger পেটুন কাপলের সাথে। অতপর তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদের সাথে ছবি তুল্লাম ও কথা বল্লাম। এরপর আমরা হোটেলে ফিরে এলাম।
এরপরে আমারা হোটেল ছেড়ে দিয়ে মহেশখালি দ্বীপে ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হইলাম। আমারা স্পীড বোডে করে ভাইয়ের মহেশখালী দ্বীপে গেলাম গিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে উঠলাম। তারপর সন্ধ্যা বেলা এলাকাটা ঘুরে দেখলাম ও নাস্তা খেতে বাড়ি এলাম। রাতে খাবার খায়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম কারন আমাদের এর পরের দিন সোনাদিয়া দ্বীপে যাওয়ার কথা ছিল।
পরেরদিন সকালে উঠে আমরা স্পীড বোডে করে সোনাদিয়া দ্বীপের জন্য রওনা হলাম। আমাদের সাথে আরও যোগ দিলেন ভাইয়ের ককয়েকজন বন্ধু ও তার স্ত্রী, তার স্ত্রীর ছোট ও বড় বোন। আমরা দ্বীপে গিয়ে ফুটবল খেলি সাতার কাটি ও বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে যাওয়া খাবার সবাই মিলে খাই।
সারাদিন মজা করার পর ও অনেকগুলো কাকড়া ও শামুক কুড়ানোর পর আমারা বাড়ি ফিরে আসি ও ভাইয়ের মায়ের হাতের রান্না করা বিভিন্ন সমুদ্রিক খাবার দিয়ে রাতের খাবার খাই।
যা আমার কাছে প্রথম বারের মতো ছিল। খাবারগুলো আসলেই খুবই মজাদার ছিল। যা ভুলবার মতো নয়। অতপর আমরা ভাই তার মা, স্ত্রী ও সন্তানের সাথে বসে রাতে গল্প করে রাতে ঘুমিয়ে যায়।
পরের দিন আমরা আবার নতুন কোথাও ঘুরতে বের হই। আমরা শেষ দিনে মহেশখালী দ্বীপের বিভিন্ন ঐতিহাসিক যায়গা ও এলাকাটা দিনের আলোতে ঘুরে দেখলাম। এর মধ্যে ছিল কালো পাহাড়, সোনা মন্দির ও মহেশখালী ব্রিজ সহ আরো অনেক জায়গা।
এখানেই আমাদের ঘুরাঘুরি শেষ হলো ও পরের দিন ছিল আমাদের বাড়ি ফিরে আসার পালা। রাতে তার এক বন্ধুর বাড়িতে আমারা দাওয়াত খায়ে পরেরদিন আমারা ভাই ও তার পরিবার ও তার বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কক্সবাজারে চলে আসি। কক্সবাজারে এসে আমরা বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করে রাতে বাড়ির পথে রওনা দেই ও আমাদের টুরের সমাপ্তি ঘটে।
Congratulations @troublemakerrr! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 400 replies.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
@troublemakerrr, thank you for supporting the HiveBuzz project by voting for our witness.
Here Is a small present to show our gratitude
Click on the badge to view your Board of Honor.
Once again, thanks for your support!
Your welcome!
Thanks again 😊👍