source
গল্পটা ২০১৫ সালের
সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পা দিলাম। নিজের মনের মত ভার্সিটি আর সাথে একদম পছন্দসই বিষয়ে পড়বার সুযোগ পেয়েতো আমি খুব খুশি ।
নিয়মিতই ক্লাসে যেতাম, তেমনই রোজকার মতন একদিন বের হলাম ক্লাসের উদ্দ্যেশে। ঐ দিনটা ছিল রোজ বুধবার ঠিক সকাল ১০.৩০, ছিলাম ক্যাফেটেরিয়াতে। হঠাৎ চোখ পড়ল একটা ছেলের দিকে। কি জানি খুব মন দিয়ে শুনছিল। আমাদের এর মধ্যে চোখাচুখি হয়ে গিয়েছে। লজ্জা পেলাম কেন জানি । সাধারণত এভাবে কারোর দিকে তাকায়নি অনেকক্ষণ। যাই হক কিছুক্ষন পর উঠে গেলাম বিল দিতে।
বিপাকে পরে গেলাম ... আরে টাকা কোথায় ! মনে হচ্ছে পকেটমারের পাল্লায় পরে সব গেছে। বিরক্ত আর হতাশা নিয়ে ব্যাগ হাতরে যাচ্ছি আর তখনই কেও একজন পাশে থেকে বলে উঠলো ... “ দিয়ে দিয়েছি তোমারটা”
হঠাৎ গম্ভীর আর ভারি একটা গলা শুনলাম কিন্তু কোন শাসন ছিল না । ভরসা পেলাম কোথা থেকে জানি। তাকিয়ে দেখি সেই ছেলেটা ... একটু করে হার্টবিট বেরে গেলো ।। তাও সামলে বলে উঠলাম, না ভাইয়া লাগবে না। আমি দেখছি, পেয়ে যাব ।
না পাবে না... পকেটমারের কেস।। কাল সকালে এই জায়গায় এসো ।
বলেই হনহন করে হাওয়া !!
যাহ্ বাবা নাম ধাম কিছুইতো জানি না । তাও বলেছে যেহেতু থাকবে অবশ্যই । সে ভরসা নিয়ে পরেরদিন আবার ক্যাফেটেরিয়াতে যাওয়া ।
“উফফ,... কতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছি আসবে নাকি”
“হাই আমি অন্য।“
মুখ ফিরিয়ে আমি, “ জি আপনার টাকাটা ......
হাতে না নিয়েই বলে উঠলো , চা খাবে ?
একটু ইতস্তত হয়ে বললাম- হ্যা খাওয়া যায়
চলো বাহিরে বসি
তারপর থেকেই আমাদের একসাথে পথ চলা ... কি যেন এক মায়াতে আমিও পিছন ফিরতে পারলাম না। ভালও লাগছিল কেন জানি উনার পাশে হাটতে। মানুষটা একটু অন্যরকম সৌন্দর্য নিয়ে রেখেছে নিজের মধ্যে । চোখে একটা মোটা চশমা আর একটু পর পর ঠিক করে যাচ্ছে , এটাও ভাল লাগছে বাহ!
চা তে চুমুক দিয়ে এসব ভেবে চলা আমার সব চিন্তা ভাবনার অবসান করেই হঠাৎ কানে অন্যের কন্ঠ,
আজকে রাতে আমাদের ক্যাম্পাসে কনসার্ট আছে জানোতো ? ... ঠিক আঁটটায় বটতলার মোড়ে চলে এসো । আর হ্যা শাড়ি পরবা ? না ঠিক আছে তোমার যেভাবে সুবিধা হয়। চা প্রায় শেষের দিকে, চল ক্লাসের জন্য বের হই ।
আমিও কিছু বললাম না।
ক্লাস শেষে হলে গিয়ে প্লেন করতে লাগলাম কিভাবে কি সাজব । আমার রুমমেটদের হেল্পে শাড়ি পরা হল। বেরিয়ে পরলাম ঠিক আটটায়। দেখাও হয়ে গেল অন্যের সাথে।
তোমাকে সুন্দর লাগছে ! চল আমার সাথে তোমাকে একটা জিনিস দেখাব।
আচ্ছা তুমি অনেক চুপচাপ তাই না ?
আমি একটু হাসি দিয়ে ভাবলাম নাহ কিছু বলা উচিত-
আচ্ছা আপনি আমার নাম জানবেন না !
হ্যা তুলি বল কি নাম তোমার !
অনেকটা শক খেয়ে তাকিয়ে থাকতেই আমার মুখ দেখে হেসে দিল অন্য ...
সে হাসির মায়া এখনও জড়িয়ে আছে আমার জীবনে। আমাকে কারনে অকারনে চমকে দেওয়ার অভ্যাস এখনো আছে ওর । যাই হক যা বলছিলাম-
অন্য বলে উঠলো – “তোমার দুই ব্যাচ সিনিয়র আমি আবার তোমারই ডিপার্টমেন্টের। সে সুবাধে তোমার নাম জানা। তুমিই বলেছিলে কিন্তু ।“
আমি একটু লজ্জা নিয়ে মুখ নিচে রাখেতেই অন্য বলে উঠলো ,
রাতের আকাশ কেমন লাগে তোমার, আমি ছোট থাকতে তারা গুনার ট্রাই করতাম, এখনো করি। দেখো চাঁদটা সুন্দর। ভাবছি তোমাকে নিয়ে যাবো। কি বল ! চাঁদে যাওয়া নিয়ে রাশিয়া আমেরিকার বিবাদ হলেও আমার তোমার যাওয়া নিয়ে কিন্তু বিবাদ হবে না ।
আমি হেঁসে উঠি, অকারণেই সাথে অন্যও
চল রাত হল সুখ কুড়াবো ,
মানে !
চলো বলছি, আর আমিও চললাম ওর সাথে
সেই থেকে আমাদের জোনাকি নামের সুখ কুড়ানোর পালা।
!
change ashbe brother . perai nai <3