বন্ধুরা,
আজকের শীর্ষক সাথে তারাই সহমত হবেন যারা বাস্তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছেন।
একটা বয়স পর্যন্ত আমাদের কাছে সব কিছু রঙিন এবং সব ব্যক্তিকেই বিশ্বস্ত বলে মনে হয়।
কারণ তখন পর্যন্ত আমরা বাস্তব এর সম্পর্কে ততটা ওয়াকিবহল হতে শিখিনা।
সেটা অনেকসময় পরিবারের বড়দের কারণেও হয়।
সব মা বাবাই চায় তার সন্তান কে আগলে রাখতে, যাতে বাস্তবতার ঝাপটা তার সন্তানকে মলিন না করে দিতে পারে।
কারণ তারা জানেন একটা সময় সবাইকেই বাস্তবিক তার সন্মুখীন হতেই হবে।
সময় কারোর জন্য থেকে থাকে না, কাজেই আজ যে শিশু সে আগামীতে পূর্ণ বয়স্ক হবে এটাই বাস্তব।
কথাগুলো বলছি কারণ এখন আমি নিজে জীবনের সব সময় গুলো মোটামুটি পার করে এসেছি এবং সেই জন্যই আমার এই শীর্ষক নির্বাচন।
পুঁথিগত শিক্ষা আমাদের যে শিক্ষা দেয় সেটা হয়তো অর্থ উপার্জনে সহায়ক হয় কিন্তু জীবনের পাঠশালা যে শিক্ষা দেয় সেটা আমাদের মানুষ হিসেবে সমাজে স্বীকৃতি দেয়।
এবং একজন ভালো মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি উপার্জন করতে হলে জীবনের পাঠশালায় ঠকতে ও হবে আমার ঠেকতে ও হবে।
জীবনের প্রকৃত মনে তারাই বোঝে যারা এই দুটি পরিস্থিতির সন্মুখীন হয়েছেন।
প্রকৃত মানুষ চেনা কঠিন কারণ অমানুষ গুলো দেখতেও হুবহু মানুষের মত।
তাই হয়তো তাদের হাতে ঠকে এবং ঠেকেই আমরা
জীবনের সঠিক এবং বেঠিক এর পার্থক্য চিনতে পারি।
কাজেই চলার পথে বোধ হয় সবরকম অভিজ্ঞতা না থাকলে জীবনের মূল্য বা সার্থকতা উপলব্ধি করা যায় না।
আমি জীবন এর কাছ থেকে শিখেছি, নিজে আধপেটা থেকে অন্যকে পেট ভরাতে, নিজের ক্ষতি হলে দোষ নেই তবে জেনেশুনে অন্যের ক্ষতি না করতে।
ঠকে এবং ঠেকে শিক্ষা জীবন এই জন্য দিয়ে থাকে যাতে আমরা বুঝি, কাউকে ঠকালে নিজেকেও ঠকতে হয়।
আমার কোনো বিষয় ঠেকেই মানুষ শেখে কোনটা করা উচিত এবং কোনটা করা উচিৎ নয়।
মানুষ হিসেবে একটাই কথা বলবো শেষে, যেকোনো কাজ করবার আগে নিজের মনকে প্রশ্ন করুন, যদি উত্তর ইতিবাচক হয় তবেই কাজটি করুন কিন্তু যদি নেতিবাচক হয় তাহলে সেটা না করা ই শ্রেও।
আজ এখানেই লেখনীর ইতি টানলাম।
নমস্কার, ভালো থাকবেন সবাই।