বন্ধুরা,
আজ কবিগুরুর জন্ম বার্ষিকী কাজেই আমার লেখনীর শুরুটা তাঁর কবিতার কিছু লাইন দিয়ে শুরু করছি।
"সংকটের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান;
সংকটের কল্পনাতে হয়না ম্রিয়মাণ।
মুক্ত করো ভয়,
আপনা মাঝে শক্তি ধরো,
নিজেরে করি জয়।"
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কতটা বাস্তবতা লেখনীতে, সত্যি তো সংকট জীবনের একটা অঙ্গ, কিন্তু সেই সময় ভেঙে না পড়ে নিজের মনোবল কে পাথেও করে এগিয়ে গিয়ে জয়লাভ করতে পারাটাই তো নিজের জয়।
আজ আমরা যে পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছি , এটা একটি সংকটকালীন পরিস্থিতি সবার জন্য।
কাজেই নিজেদের ভয় কে মুক্ত করে, নিজেদের মনোবল কে শক্তি করে এগিয়ে যেতে হবে।
পরিণামের চিন্তা না করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এগিয়ে চলার নাম জীবন।
সংকট আসলে ম্রিয়মাণ বা দুর্বল হয়ে পড়লে চলবে না।
কঠিন পরিস্হিতি দুর্বলতা দেবার জন্য নয় নিজেকে শক্ত হাতে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবার শিক্ষা দেবার জন্য আসে।
সংকট আসলে বিহ্বল বা অস্থিরতা দেখালে চলবে না।
ধৈর্য এবং ভয় মুক্ত হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার মনোবল জোগাতে হবে।
জীবন সুন্দর কিন্তু কখনোই সংকট মুক্ত নয়।
নিজেকে সঠিক মূল্যায়ন তখন ই করা সম্ভব যখন এই পরিস্হিতি গুলোকে মোকাবিলা করার সাহস দেখিয়ে জয়লাভ করা যায়।
সময় এর সাথে সাথে জীবন আমাদের দিকে কিছু নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে, সেগুলোকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে।
এর আগেও মহামারী এসেছিল, অনেক মানুষ তাদের জীবন ও হারিয়েছে।
কাজেই বিষয়টাকে সেই ভাবেই দেখতে হবে।
শেষের আগে কিছু শেষ হয় না।
দেশ পরাধীন থেকে স্বাধীন হয়েছে, অনেক বলিদানের বিনিময়।
ঠিক তেমনি এই মহামারী থেকে মুক্ত হতে গিয়ে প্রচুর মানুষ কে আমরা হারিয়েছি।
তার মানে থেমে যাওয়া বা হেরে যাওয়া নয়।
এগিয়ে গিয়ে মহামারীর মোকাবিলা করা।
অবশেষে বলতে চাই, সাহস হারাবেন না, যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।
চলুন এই লড়াইটা ও সবাই জিতে দেখাই।