প্রশ্ন
লিখতে গিয়ে ভাষা খুঁজতে হবে,
নাকি লিখতে লিখতে ভাষা হারিয়ে ফেলবো,
এই দুটি প্রশ্নের মতই আমার জীবনের দুটি দিক।
যাকে ভালোবেসে এসেছি,
তার অবহেলা নিয়ে বাঁচতে হবে,
না হয় যে ভালবাসে না,তাকে ফেলে চলে যেতে হবে।
যে পথেই চলবো কষ্ট আমার প্রাপ্য।
শুধু এটুকু বুঝতে পারি না,
কোন পথে চললে কষ্টটা একটু কম।
আমাকে ছাড়াও যার জীবন কেটে যায়,
তার জীবনের জটিলতা বাড়িয়ে লাভ নেই জানি।
তবে সহ্য করলে সুখ আসে একথাও মানি।
তবুও ভয় হয়...........
যদি আমার জীবনও মায়ের জীবনের মত মজা করে,
যখন সব সুখ পাওয়ার সময় হবে, তখনই যদি জীবন হাতটা ছেড়ে দেয়?
জানি,মৃত্যু দুহাত ভরে কাছে টেনে নেবে আমায়,
আর জীবনও হাসি মুখে দেবে বিদায়।
তারপর.......
সব শেষ, পড়ে রবে শুধু কিছু ছবি,
কিছু স্মৃতি, আর কিছু কথা।
আমার আর সুখ পাওয়া হবে না, মনে রবে.....
শুধু না পাওয়ার ব্যাথা।
সমাপ্ত
দিনের পরে যেমন রাত্রি আসে, তেমনি মানুষের জীবনেও ভালো সময়ের পরে খারাপ সময় আসে। আমাদের জীবনে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, সুখের পরে দুঃখ আর দুঃখের পরে সুখ,সবটাই ক্ষণস্থায়ী। তবুও আমাদের ধৈর্য্য বড় কম, আমাদের প্রত্যেকের মনে হয়,দুঃখের সময় যেন কাটতেই চায় না। আর ভালো সময় যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়।
জীবনটা সবসময় একই সরলরেখায় চলুক এটা আমরা সবাই চাই, কিন্তু সেই চাওয়াটা একেবারেইঅবাস্তবিক। তবে এটাও সত্যি যে কষ্ট না থাকলে সুখের অনুভুতি আলাদা করে পাওয়া যায় না।
তাই কেউ যদি বলে সে সবসময় সুখি,সবসময় খুশী তবে আমরা সবাই বুঝি সে মিথ্যে বলছে কারণ এই পৃথিবীতে থেকে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। হ্যাঁ সবার দুঃখ, কষ্টে পরিমাণ সমান হয়না সেটা ঠিক।
আমাদের কখোনো কখোনো মনে হয় আর বোধ হয় ভালো কিছু হবে না আমার জীবনে, মনে হয় কেউ আমায় আমার মত করে বুঝতে পারছে না, কিছু সময়ের জন্য আমাদের দিশেহারা লাগে, বুঝে উঠতে পারি না, কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। আমার সাথেও এমনটা হয়, সেই রকমই কোনো এক মুহূর্তে,কোনো একটি কারণে মন খারাপের সাক্ষী আমার এই কবিতা।
জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে, তবুও সবাই পড়বেন, কেমন লাগলো নিশ্চয় জানাবেন। ভালো থাকবেন।শুভরাত্রি।