বাংলাদেশের ফুটবল দলের কোচের চাকরিটা রীতিমতো রাজার চাকরি। এখানে কোচরা আসেন কেবল জাতীয় দলের ম্যাচ চলাকালীন নিজেদের ফরমায়েসি দায়িত্বটা পালন করতে। এরপর মাসের পর মাস নিজের দেশে বসে গুনতে থাকেন বেতনের টাকা। দেশীয় লিগ কিংবা কোনো টুর্নামেন্টে টিকিটটাও খুঁজে পাওয়া যায় না বিদেশি স্টাফদের।
অথচ পৃথিবীর সব জায়গাতেই, লিগের ম্যাচ পর্যবেক্ষণ করেন তাদের কোচরা। কারণ, এটাই যে জাতীয় দলের পাইপলাইন। নিজের দল ঠিক রাখতে হলে, ম্যাচ দেখার যে কোনো বিকল্পই নেই। কিন্তু এসবের ধার ধারেন না আমাদের কোচরা। একটা করে ম্যাচের আগে বাফুফে থেকে লিস্ট করা হয় ফুটবলারদের। সেই বহর থেকে ছোট একটা দল বানিয়ে ক্যাম্প চালানোটাকেই এখানে একমাত্র কাজ ধরা হয় কোচদের।
কিন্তু কাতারের বিপক্ষে হারের পর কিছুটা বোধোদয় হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। ছুটিতে থাকা বিদেশি কোচিং স্টাফদের দেশে ডেকে পাঠায় তারা। জানিয়ে দেয়, বাধ্যতামূলক দেখতে হবে লিগের ম্যাচ। তবে, একই সময় প্রধান কোচের চাকরিটাই জেমির থাকবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে বিভিন্ন মহলে। যদিও, বাফুফে থেকে বারবারই তার প্রশংসা করে এসেছেন কর্তারা।
সে ধারাবাহিকতায় অবশেষে ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে আসলেন জেমি। আপাতত থাকবেন কোয়ারেন্টিনে।
প্রধান কোচ জেমি ডে বলেন, ‘বাংলাদেশ সবাইকে ধন্যবাদ। আমি কিছুক্ষণ আগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছলাম। আমি, যেহেতু ইংল্যান্ড থেকে এসেছি, তাই সরকারি নিয়ম মেনে আপাতত হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকব। এরপর সবার সঙ্গে দেখা হবে।’
জেমির আগে দেশে এসেছেন তার সহকারী স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। গত ৭ জানুয়ারি থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন তিনিও। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন শেষ হলে, লিগের ম্যাচ দেখতে নিয়মিত মাঠে যাবেন দুজন। এরপর ফেব্রুয়ারির লিগ বিরতিতে, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ উপলক্ষে ক্যাম্প করবেন জাতীয় দলের।
জেমি ডে আরও বলেন, 'বাংলাদেশ ওয়াটকিসও চলে এসেছে। সে আমার আগেই মুক্ত হয়ে যাবে। এরপর লিগ ম্যাচগুলো দেখবে নিয়মিত। আমার কোয়ারেন্টিন শেষে তার সঙ্গে যোগ দেব। দুজনে মিলে জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের কাজটাও শুরু হবে এরপর। ফেব্রুয়ারিতে আমাদের ক্যাম্প করার কথা রয়েছে।'
Congratulations @wenj3! You received a personal badge!
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking