মাছ একটি জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার, যা রান্না করে খাওয়া হয়। আজব হলেও সত্য যে, লোহার মাছ বা আয়রণ ফিসও রান্না করে খাওয়া হয়।
শরীরে আয়রণের অভাব দুর করতে লোহার মাছ বা আয়রণ ফিস দিয়ে রান্নার কৌশলটি আবিস্কার করেছেন কানাডার বিজ্ঞানী ড. ক্রিষ্টোফার চার্লস।
জানা যায়, কম্বোডিয়ার মত উন্নয়নশীল দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু রক্তশূণ্যতায় ভোগে। আর এ রক্তশূণ্যতা দূরীকরণে ডাক্তারগণ আয়রণ সমৃদ্ধ খাবার বা আয়রণ ট্যাবলেট খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু আয়রণ ট্যাবলেটে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর এ ঔষধ সেখানে সহজলভ্যও নয়। আবার অনেকেরই এ ঔষধ কিনে খাওয়ার সামর্থ নেই।
ড. চার্লসের মতে লোহার মাছ বা আয়রণ ফিস তরকারি বা অন্যান্য মাছের সাথে মাত্র ১০-১২ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই উপকার পাওয়া যাবে। এরপর লোহার মাছটিকে তুলে নিয়ে একটু লেবুর রস যোগ করতে হবে, যা আয়রণ শোষণের জন্য খুবই প্রয়োজন। লোহার মাছ বা আয়রণ ফিসের পরিবর্তে সমপরিমান লোহার টুকরো দিলেও একই ফল মিলবে।
ড. চার্লসের নির্দেশ মতো কম্বোডিয়ার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা রান্নার সময় লোহার তৈরী মাছ ছেড়ে দিয়ে ফুটিয়ে নেন। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে এক বছরের মধ্যে সেই সব গ্রামের বাসিন্দাদের রক্তশূণ্যতা সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানা যায়। কম্বোডিয়ার প্রায় আড়াই হাজার পরিবার এ পদ্ধতি অনুসরণ করে উপকার পেয়েছেন।
লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ইমেল্ডা বেটস ড. ক্রিষ্টোফার চার্লসের এ পদ্ধতির কার্যকারিতা মেনে নিয়েছেন।
----------------------------০০০----------------------------
You have been defended with a 80.00% upvote!
I was summoned by @jalal-uddin.
thanks