ধর্ষণ বন্ধে শরীয়াহ্ আদালতের বিকল্প নেই

in #knowledge7 years ago

ঘুরে ফিরে আবারো ধর্ষণ! ধর্ষণ!
কলঙ্কজনক অধ্যায়টা যেন পিছু ছাড়ছেনা জাতীকে।
লিবারেল সেকুলারজিম বা ধর্মহীন পশ্চিমা উদারনৈতিকতাবাদ আমাদের কালচারে দ্বিচারিতার এক অভিনব মিশ্রিত মুল্যবোধ তৈরী করেছে। বৈপরিত্বের এ মূল্যবোধ একদিকে নারীর অবাধ স্বাধীনতার জন্য নিরন্তর লড়াই করছে,যৌনতাবান্ধব নারীচরিত্র গুলোকে হজম করে যাচ্ছে। অপরদিকে ধর্ষণ ও রকমারি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদে মাতিয়ে রাখছে আলোচনার মঞ্চ।
আজকে আমরা এ বিষয়ে গতানুগতিক পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ না দিয়ে একটা ভিন্নধর্মী তবে বাস্তববাদী প্রস্তাব দিতে চাই, যেদিকে ইতিপূর্বে দৃষ্টি আকর্ষণ করাই হয়নি।
এ দেশে ইসলামী রাজনীতি,ইসলামী শিক্ষা ও ইসলামী অর্থনীতি ও ব্যাংকিং-এসবের কি সাংবিধানিক স্পেস নেই? সেকুলার কাঠামোর মধ্যেই কি উক্ত ক্ষেত্র গুলোতে ইসলাম তার জায়গা করে নেয়নি?
তাহলে ইসলামী শরীয়াহ্ আইনের জন্য কেন স্পেস দেয়া হবেনা। প্রয়োজনে তা হোকনা ঐচ্ছিক পর্যায়ের!
আমরা প্রাথমিক পর্বে দেওয়ানী ও পারিবারিক কেইস গুলোর জন্য ঐচ্ছিক শরীয়াহ্ আদালতের প্রস্তাব করছি। এবং ধর্ষণ যদিও ফৌজদারী আইনের অন্তর্ভুক্ত, যার বিচার দেওয়ানী আদালতে সম্ভব নয় তথাপি পারিবারিক আদালতের সুনাম ও সাফল্য ধর্ষনের মত স্পর্শকাতর সমস্যার শরীয়াহ্ ফৌজদারী সমাধানের প্রতি জনগণের কৌতুহল সৃষ্টিতে একটা ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে।
আমি দৃঢ় প্রত্যয় ও আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি শরীয়াহ আইনে ধর্ষণের বিচারের কার্যকর বিকল্প প্রচলিত আইনী ব্যবস্থার মধ্যে নেই।
আমার আত্মবিশ্বাসের কারণ গুলোর মধ্য একটি হলো; বিভিন্ন সময়ে একাধিক বিচারপতি ধর্ষণের বিচারকালীন সময়ে আল্লামা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী সহ আলেমদের শরীয়াহ্ বক্তব্য গ্রহণ করেছেন পরমার্শ হিসেবে।
আমাদের আইন প্রাচীন ইংরেজ কাঠামোর মধ্য দিয়ে চলছে যা নানা কারণে সমকালীন বাস্তবতায় মারাত্মক অরাজকতার শিকার হয়ে আছে।
উল্লেখ্য যে, আইন ব্যবস্থা একটা বিবর্তনশীল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান থাকে। বাংলাদেশে এরুপ নজীরের অভাব নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার, দ্রুত বিচার আইন, নারী নির্যাতন আইনসহ আইনী বিবর্তনের নজীর গুলো বহাল রেখে সেকুলাররা কোন যুক্তিতে আমাদের শরীয়াহ্ আইনের বিরোধিত করবেন। তাহলে এরাষ্ট্র কি তালেবান হয়ে যাবে? এমন প্রশ্নকে আমরা ইসলামোফোবিয়াই মনে করি।
আসুন! এটাকে জাতীয় দাবীতে পরিণত করুন। সরকার দাবী না মানুক! কিন্তু জনগনের কাছে একটা নতুন বার্তা পৌছুক!